ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

হেফাজতের রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল

  • আপডেট সময় : ১০:১০:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক : হেফাজতে ইসলামের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে’ থাকার কথা থাকলেও সংগঠনটির সাম্প্রতিক তা-বের পেছনে ‘রাজনৈতিক অভিলাষ’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, হেফাজতের এসব কর্মকা-ের ‘অর্থের যোগানদাতা’ কারা এবং কীভাবে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সেসব এসেছে, তা ‘অনেকখানি’ জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
গতকাল বুধবার ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট লেখা আছে তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন না এবং তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন। ‘কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, তারা সব সময় রাজনৈতিক বেড়াজালের মধ্যে আটকে বিভিন্ন অপকৌশলে চিহ্নিত যে জঙ্গি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, যারা সব সময় রাষ্ট্রের একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, তাদের মধ্যে সম্পৃক্ত হয়ে যায় মাঝে মাঝেই।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে মার্চে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তা-ব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থক মাদ্রাসার ছাত্ররা। চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণহানিও ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনী সে পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যথেষ্ট ভাঙচুর হয়েছে- ভূমি অফিস, এসি ল্যান্ড আফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ডিসির বাংলায় আক্রমণ করা হয়েছে, পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
‘মূল উদ্দেশ্যটা, সব যদি একসঙ্গে মূল্যায়ন করেন- অবশ্যই রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এদের (হেফাজতের) মাধ্যমে একটা কিছু করানো যায় কিনা, যেটা আমরা বিগত দিন শাপলা চত্বরে দেখেছিলাম, সেই রকম একটা কিছু করার দূরভিসন্ধি ছিল বলে আমরা এখন পর্যন্ত … আমাদের তদন্তে চলে এসেছে।’ ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
হেফাজতে ইসলামের অর্থ যোগানদাতা কারা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আমরা কিছু কিছু উপাদান পাচ্ছি, এখনই ঘোষণা করার মতে… আরো কিছুদিন তদন্ত করে আমরা ঘোষণা করব।
‘কার অ্যাকাউন্টে কোথা থেকে কীভাবে এসেছে, সেগুলি আমরা তদন্ত করছি; পরে পুরো বিষয়টি জানাব।’ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আকতার গত মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সংগঠনটির ৩১৩ জন দাতার একটি তালিকার সন্ধান তারা পেয়েছেন। কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক এ সংগঠনটির সদ্য সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক হিসাবেও ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হেফাজতের রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল

আপডেট সময় : ১০:১০:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১


নিজস্ব প্রতিবেদক : হেফাজতে ইসলামের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে’ থাকার কথা থাকলেও সংগঠনটির সাম্প্রতিক তা-বের পেছনে ‘রাজনৈতিক অভিলাষ’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, হেফাজতের এসব কর্মকা-ের ‘অর্থের যোগানদাতা’ কারা এবং কীভাবে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সেসব এসেছে, তা ‘অনেকখানি’ জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
গতকাল বুধবার ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট লেখা আছে তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন না এবং তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন। ‘কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, তারা সব সময় রাজনৈতিক বেড়াজালের মধ্যে আটকে বিভিন্ন অপকৌশলে চিহ্নিত যে জঙ্গি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, যারা সব সময় রাষ্ট্রের একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, তাদের মধ্যে সম্পৃক্ত হয়ে যায় মাঝে মাঝেই।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে মার্চে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তা-ব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থক মাদ্রাসার ছাত্ররা। চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণহানিও ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনী সে পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যথেষ্ট ভাঙচুর হয়েছে- ভূমি অফিস, এসি ল্যান্ড আফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ডিসির বাংলায় আক্রমণ করা হয়েছে, পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
‘মূল উদ্দেশ্যটা, সব যদি একসঙ্গে মূল্যায়ন করেন- অবশ্যই রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এদের (হেফাজতের) মাধ্যমে একটা কিছু করানো যায় কিনা, যেটা আমরা বিগত দিন শাপলা চত্বরে দেখেছিলাম, সেই রকম একটা কিছু করার দূরভিসন্ধি ছিল বলে আমরা এখন পর্যন্ত … আমাদের তদন্তে চলে এসেছে।’ ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
হেফাজতে ইসলামের অর্থ যোগানদাতা কারা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আমরা কিছু কিছু উপাদান পাচ্ছি, এখনই ঘোষণা করার মতে… আরো কিছুদিন তদন্ত করে আমরা ঘোষণা করব।
‘কার অ্যাকাউন্টে কোথা থেকে কীভাবে এসেছে, সেগুলি আমরা তদন্ত করছি; পরে পুরো বিষয়টি জানাব।’ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আকতার গত মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সংগঠনটির ৩১৩ জন দাতার একটি তালিকার সন্ধান তারা পেয়েছেন। কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক এ সংগঠনটির সদ্য সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক হিসাবেও ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে বলে জানান তিনি।