ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

হেনোলাক্স পরিচালক ফাতেমার জামিন

  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে নিজ শরীরে আগুন দিয়ে কুষ্টিয়ার ঠিকাদার গাজী আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনার’ অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি হেনোলাক্সের পরিচালক ফাতেমা আমিনকে জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট। ফাতেমার জামিন আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার তা মঞ্জুর করে।
ফাতেমা আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিনের স্ত্রী। আদালতে তার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আক্তার রসুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ কামরুল হাসান খান আসলাম। এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল পর্যন্ত ফাতেমা আমিনকে হাই কোর্ট জামিন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী রসুল। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসলাম বলেন, “আদালতে শুনানিতে আমরা বলেছি, ফাতেমা আমিনের প্ররোচনায় ভিকটিম কোটি টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন, তাই তার জামিন দেওয়া যায় না। তবে তিনি নারী, সে বিবেচনায় আদালত জামিন দিয়েছে। আমরা এই জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করব।”
গত ৪ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের ফটকের ভেতরে খোলা জায়গায় আনিস নিজের গায়ে আগুন দেন। শোয়া অবস্থায় তার গায়ে আগুন জ্বলছে দেখে আশপাশ থেকে সবাই ছুটে যান। তারা পানি ঢেলে আগুন নেভান। তবে ততক্ষণে তার গায়ের পোশাক সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়। আনিসের আত্মহত্যায় ‘প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগে তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ৫ জুলাই হেনোলাক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। ওই দিনই রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ৫০ বছর বয়সী আনিসের বাড়ি কুষ্টিয়ায়, তিনি ঠিকাদারি ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সদস্য এক সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিও ছিলেন। পরিচিতজনরা তাকে গাজী আনিস নামেই চিনতেন। গাজী আনিস মারা যাওয়ার আগে গত ২৯ মে ঢাকায় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে হেনোলাক্স গ্রুপে সোয়া কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ‘প্রতারিত’ হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন আনিস। তার দুদিন পর ৩১ মে এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি হেনোলাক্স গ্রুপের মালিকের সঙ্গে তার সম্পর্কের সূত্রপাত এবং বিনিয়োগ করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগগুলো তুলে ধরেছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হেনোলাক্স পরিচালক ফাতেমার জামিন

আপডেট সময় : ১২:৫৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে নিজ শরীরে আগুন দিয়ে কুষ্টিয়ার ঠিকাদার গাজী আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনার’ অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি হেনোলাক্সের পরিচালক ফাতেমা আমিনকে জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট। ফাতেমার জামিন আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার তা মঞ্জুর করে।
ফাতেমা আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিনের স্ত্রী। আদালতে তার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আক্তার রসুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ কামরুল হাসান খান আসলাম। এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল পর্যন্ত ফাতেমা আমিনকে হাই কোর্ট জামিন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী রসুল। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসলাম বলেন, “আদালতে শুনানিতে আমরা বলেছি, ফাতেমা আমিনের প্ররোচনায় ভিকটিম কোটি টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন, তাই তার জামিন দেওয়া যায় না। তবে তিনি নারী, সে বিবেচনায় আদালত জামিন দিয়েছে। আমরা এই জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করব।”
গত ৪ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের ফটকের ভেতরে খোলা জায়গায় আনিস নিজের গায়ে আগুন দেন। শোয়া অবস্থায় তার গায়ে আগুন জ্বলছে দেখে আশপাশ থেকে সবাই ছুটে যান। তারা পানি ঢেলে আগুন নেভান। তবে ততক্ষণে তার গায়ের পোশাক সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়। আনিসের আত্মহত্যায় ‘প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগে তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ৫ জুলাই হেনোলাক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। ওই দিনই রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ৫০ বছর বয়সী আনিসের বাড়ি কুষ্টিয়ায়, তিনি ঠিকাদারি ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সদস্য এক সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিও ছিলেন। পরিচিতজনরা তাকে গাজী আনিস নামেই চিনতেন। গাজী আনিস মারা যাওয়ার আগে গত ২৯ মে ঢাকায় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে হেনোলাক্স গ্রুপে সোয়া কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ‘প্রতারিত’ হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন আনিস। তার দুদিন পর ৩১ মে এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি হেনোলাক্স গ্রুপের মালিকের সঙ্গে তার সম্পর্কের সূত্রপাত এবং বিনিয়োগ করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগগুলো তুলে ধরেছিলেন।