ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

হেড ১৫২, স্মিথ ১০১, বুমরাহর ৫ উইকেট

  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: অ্যাডিলেইড টেস্ট যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই যেন ব্রিজবেনে শুরু করলেন ট্রাভিস হেড। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে তিনি খেললেন দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস। দীর্ঘ সেঞ্চুরি-খরা কাটালেন স্টিভেন স্মিথ। তাদের দুইশ ছাড়ানো জুটির পর অ্যালেক্স কেয়ারির আগ্রাসী ইনিংসে চারশ রানের সীমানা ছাড়াল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আলোচিত নাম আছে আরও একটি। অস্ট্রেলিয়ার রান উৎসবের মাঝেই দারুণ বোলিংয়ে ৭২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। সিরিজে পাঁচ ইনিংসে ভারতীয় পেসারের উইকেট হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত ১৭টি। গ্যাবায় বৃষ্টির কারণে ১৩.২ ওভারের প্রথম দিনের পর রোববার নির্বিঘ্নভাবে খেলা হয়েছে ৮৭.৪ ওভার। এই সময়ে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৩৭৭ রান। দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৪০৫ রান। এই মাঠে টেস্টে টানা তিন ইনিংসে প্রথম বলে আউট হওয়ার পর এবার ১৫২ রানের ইনিংস খেলেছেন হেড। তার ১৬০ বলের ইনিংস গড়া ১৮টি চারে। ২৬ ইনিংসের মধ্যে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়ে ১৯০ বলে ১২ চারে ১০১ রান করেছেন স্মিথ। ৩৩তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন স্টিভ ওয়াহকে (৩২ সেঞ্চুরি)। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্মিথের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে এখন কেবল রিকি পন্টিংয়ের, ৪১টি।
স্মিথের ৩৩ সেঞ্চুরির ১০টি ভারতের বিপক্ষে, উপমহাদেশের দলটির বিপক্ষে যা সর্বোচ্চ। সমান ১০টি সেঞ্চুরি আছে ইংল্যান্ডের জো রুটেরও। এজন্য রুটের লেগেছে ৫৫ ইনিংস, স্মিথের ৪১। সব সংস্করণ মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি কীর্তি এখন অবশ্য শুধুই স্মিথের, ১৫টি। অন্য পাঁচটি করেছেন ওয়ানডেতে। ১৪ সেঞ্চুরি নিয়ে এই তালিকায় দুইয়ে নেমে গেছেন পন্টিং। স্মিথ ও হেডের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩০২ বলে এসেছে ২৪১ রান। ভারতের বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটি এটি। দিনের শুরুটা ভারতের জন্য ছিল আশা জাগানিয়া। দ্রুতই পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনার উসমান খাওয়াজা ও ন্যাথান ম্যাকসুয়েনিকে বিদায় করে দেন বুমরাহ। অফ স্টাম্পের বলে আলগা শটে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন খাওয়াজা (৫৪ বলে ২১)। দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন ম্যাকসুয়েনি (৪৯ বলে ৯)। বুমরাহর মতো নিখুঁত লাইন-লেংথে অন্য প্রান্তে ভালো বোলিং করেন আরেক পেসার আকাশ দিপও। আঁটসাঁট বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তিতে ফেলেন মোহাম্মদ সিরাজ। তৃতীয় সাফল্য আসে অবশ্য নিতিশ কুমার রেড্ডির হাত ধরে। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করে স্লিপে ক্যাচ দেন মার্নাস লাবুশেন (৫৫ বলে ১২)। তখন ৭৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই অবশ্য চাপ ধরে রাখতে পারেননি ভারতের বোলাররা। প্রথম সেশনে ৩ উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় সেশনে কোনো বিপদই হতে দেননি হেড ও স্মিথ। হেড ফিফটি পূর্ণ করেন ৭১ বলে। সেখান থেকে পরের পঞ্চাশ করতে তার লাগে কেবল ৪৪ বল। ১১৫ বলে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ব্রিজবেনে গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্টের দুই ইনিংসেই প্রথম বলে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন হেড। ক্রিকেটের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘কিং পেয়ার।’ এক পঞ্জিকাবর্ষে একই মাঠে ‘কিং পেয়ার’ ও সেঞ্চুরি পাওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান তিনিই। তৃতীয় সেশনে স্মিথ ৫৩৫ দিনের সেঞ্চুরি-খরা কাটান ১৮৫ বলে। দল টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামার পর তার অষ্টম সেঞ্চুরি এটি, এক্ষেত্রে যা সর্বোচ্চ। ৭ সেঞ্চুরি নিয়ে এখানে দুইয়ে নেমে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর আর টেকেননি স্মিথ। তাকে স্লিপের ক্যাচ বানিয়ে মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন বুমরাহ। এরপর দ্রুত একই ওভারে মিচেল মার্শ ও হেডকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৬৬ বলে ৫৮ রান যোগ করেন কেয়ারি ও প্যাট কামিন্স। দিনের শেষ দিকে ২০ রান করা কামিন্সকে ফেরান সিরাজ। মিচেল স্টার্ককে নিয়ে বাকি সময়টুকু কাটিয়ে দেন কেয়ারি। ৫ চার ও এক ছক্কায় ৪৭ বলে ৪৫ রানে অরপাজিত আছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: (আগের দিন ২৮/০) ১০১ ওভারে ৪০৫/৭ (খাওয়াজা ২১, ম্যাকসুয়েনি ৯, লাবুশেন ১২, স্মিথ ১০১, হেড ১৫২, মার্শ ৫, কেয়ারি ৪৫*, কামিন্স ২০, স্টার্ক ৭*; বুমরাহ ২৫-৭-৭২-৫, সিরাজ ২২.২-৪-৯৭-১, আকাশ ২৪.৪-৫-৭৮-০, নিতিশ ১৩-১-৬৫-১, জাদেজা ১৬-২-৭৬-০)

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

হেড ১৫২, স্মিথ ১০১, বুমরাহর ৫ উইকেট

আপডেট সময় : ০৪:৩২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক: অ্যাডিলেইড টেস্ট যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই যেন ব্রিজবেনে শুরু করলেন ট্রাভিস হেড। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে তিনি খেললেন দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস। দীর্ঘ সেঞ্চুরি-খরা কাটালেন স্টিভেন স্মিথ। তাদের দুইশ ছাড়ানো জুটির পর অ্যালেক্স কেয়ারির আগ্রাসী ইনিংসে চারশ রানের সীমানা ছাড়াল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আলোচিত নাম আছে আরও একটি। অস্ট্রেলিয়ার রান উৎসবের মাঝেই দারুণ বোলিংয়ে ৭২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। সিরিজে পাঁচ ইনিংসে ভারতীয় পেসারের উইকেট হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত ১৭টি। গ্যাবায় বৃষ্টির কারণে ১৩.২ ওভারের প্রথম দিনের পর রোববার নির্বিঘ্নভাবে খেলা হয়েছে ৮৭.৪ ওভার। এই সময়ে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৩৭৭ রান। দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৪০৫ রান। এই মাঠে টেস্টে টানা তিন ইনিংসে প্রথম বলে আউট হওয়ার পর এবার ১৫২ রানের ইনিংস খেলেছেন হেড। তার ১৬০ বলের ইনিংস গড়া ১৮টি চারে। ২৬ ইনিংসের মধ্যে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়ে ১৯০ বলে ১২ চারে ১০১ রান করেছেন স্মিথ। ৩৩তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন স্টিভ ওয়াহকে (৩২ সেঞ্চুরি)। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্মিথের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে এখন কেবল রিকি পন্টিংয়ের, ৪১টি।
স্মিথের ৩৩ সেঞ্চুরির ১০টি ভারতের বিপক্ষে, উপমহাদেশের দলটির বিপক্ষে যা সর্বোচ্চ। সমান ১০টি সেঞ্চুরি আছে ইংল্যান্ডের জো রুটেরও। এজন্য রুটের লেগেছে ৫৫ ইনিংস, স্মিথের ৪১। সব সংস্করণ মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি কীর্তি এখন অবশ্য শুধুই স্মিথের, ১৫টি। অন্য পাঁচটি করেছেন ওয়ানডেতে। ১৪ সেঞ্চুরি নিয়ে এই তালিকায় দুইয়ে নেমে গেছেন পন্টিং। স্মিথ ও হেডের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩০২ বলে এসেছে ২৪১ রান। ভারতের বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটি এটি। দিনের শুরুটা ভারতের জন্য ছিল আশা জাগানিয়া। দ্রুতই পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনার উসমান খাওয়াজা ও ন্যাথান ম্যাকসুয়েনিকে বিদায় করে দেন বুমরাহ। অফ স্টাম্পের বলে আলগা শটে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন খাওয়াজা (৫৪ বলে ২১)। দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন ম্যাকসুয়েনি (৪৯ বলে ৯)। বুমরাহর মতো নিখুঁত লাইন-লেংথে অন্য প্রান্তে ভালো বোলিং করেন আরেক পেসার আকাশ দিপও। আঁটসাঁট বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তিতে ফেলেন মোহাম্মদ সিরাজ। তৃতীয় সাফল্য আসে অবশ্য নিতিশ কুমার রেড্ডির হাত ধরে। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করে স্লিপে ক্যাচ দেন মার্নাস লাবুশেন (৫৫ বলে ১২)। তখন ৭৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই অবশ্য চাপ ধরে রাখতে পারেননি ভারতের বোলাররা। প্রথম সেশনে ৩ উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় সেশনে কোনো বিপদই হতে দেননি হেড ও স্মিথ। হেড ফিফটি পূর্ণ করেন ৭১ বলে। সেখান থেকে পরের পঞ্চাশ করতে তার লাগে কেবল ৪৪ বল। ১১৫ বলে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ব্রিজবেনে গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্টের দুই ইনিংসেই প্রথম বলে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন হেড। ক্রিকেটের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘কিং পেয়ার।’ এক পঞ্জিকাবর্ষে একই মাঠে ‘কিং পেয়ার’ ও সেঞ্চুরি পাওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান তিনিই। তৃতীয় সেশনে স্মিথ ৫৩৫ দিনের সেঞ্চুরি-খরা কাটান ১৮৫ বলে। দল টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামার পর তার অষ্টম সেঞ্চুরি এটি, এক্ষেত্রে যা সর্বোচ্চ। ৭ সেঞ্চুরি নিয়ে এখানে দুইয়ে নেমে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর আর টেকেননি স্মিথ। তাকে স্লিপের ক্যাচ বানিয়ে মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন বুমরাহ। এরপর দ্রুত একই ওভারে মিচেল মার্শ ও হেডকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৬৬ বলে ৫৮ রান যোগ করেন কেয়ারি ও প্যাট কামিন্স। দিনের শেষ দিকে ২০ রান করা কামিন্সকে ফেরান সিরাজ। মিচেল স্টার্ককে নিয়ে বাকি সময়টুকু কাটিয়ে দেন কেয়ারি। ৫ চার ও এক ছক্কায় ৪৭ বলে ৪৫ রানে অরপাজিত আছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: (আগের দিন ২৮/০) ১০১ ওভারে ৪০৫/৭ (খাওয়াজা ২১, ম্যাকসুয়েনি ৯, লাবুশেন ১২, স্মিথ ১০১, হেড ১৫২, মার্শ ৫, কেয়ারি ৪৫*, কামিন্স ২০, স্টার্ক ৭*; বুমরাহ ২৫-৭-৭২-৫, সিরাজ ২২.২-৪-৯৭-১, আকাশ ২৪.৪-৫-৭৮-০, নিতিশ ১৩-১-৬৫-১, জাদেজা ১৬-২-৭৬-০)