ঢাকা ১১:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
ডিবি হেফাজতে মৃত্যু

হেজাজের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, শরীরে আঘাতের চিহ্ন

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

ছ বি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া হেজাজ বিন আলিমের (৩৭) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।

নিহত হেজাজ বিন আলমের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার সদর থানা এলাকায়। তিনি ধানমন্ডি শেরেবাংলা রোডের একটি বাসায় থাকতেন। তার বাবার নাম শাহ আলম খান।

নিহত হেজাজের ভাই আবিদ বিন আলম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে আমার বড় ভাই হেজাজের মরদেহ গ্রহণ করেছি। তাকে এখন ধানমন্ডির দিকে নিয়ে যাচ্ছি, সেখানে জানাজা শেষে দাফন করা হবে। এদিকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রৌশন আহমেদের উপস্থিতিতে তৈরি করা সুরতহাল প্রতিবেদনে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ কাদের আহমেদ উল্লেখ করেছেন, গত ১১ মার্চ সি ও এল ও সেনাবাহিনীর একটি টিম হেজাজকে গ্রেফতারপূর্বক মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করলে অসুস্থ থাকায় তাকে দুইবার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মৃত হেজাজ পরদিন আদালত থেকে জামিন প্রাপ্ত হন এবং শনিবার (১৫ মার্চ) জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে ডিবি গ্রেফতার করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেফ্রোলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের ৯০১ নম্বর ওয়ার্ডের মারা যান।

সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি আরো উল্লেখ করেন, গলার ডান পাশে সিভি লাইন, যা ব্যান্ডেজ করা। বুক ও পেটের মাঝামাঝি পুরোনো দাগ, বুক-পেট স্বাভাবিক। পিঠে রক্ত জমা লাল সাদা দাগ আছে। ডান হাতের কব্জির উপরে ক্যানোলা এবং দুই হাতের কব্জিতে হ্যান্ডকাফ লাগানোর দাগ আছে। ডান ও বাম উরুর পেছন দিয়ে নিতম্ব পর্যন্ত রক্ত জমা কালশিরা দাগ রয়েছে, পা সামান্য ফোলা রয়েছে।
এসআই শেখ কাদের জানান, এজাজ বিন আলমের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগের হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ক্যাপ্টেন ইমনের অন্যতম সহযোগী হেজাজ বিন আলিম ওরফে ফাহিম আহমেদের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিবি হেফাজতে মৃত্যু

হেজাজের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, শরীরে আঘাতের চিহ্ন

আপডেট সময় : ০৭:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া হেজাজ বিন আলিমের (৩৭) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।

নিহত হেজাজ বিন আলমের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার সদর থানা এলাকায়। তিনি ধানমন্ডি শেরেবাংলা রোডের একটি বাসায় থাকতেন। তার বাবার নাম শাহ আলম খান।

নিহত হেজাজের ভাই আবিদ বিন আলম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে আমার বড় ভাই হেজাজের মরদেহ গ্রহণ করেছি। তাকে এখন ধানমন্ডির দিকে নিয়ে যাচ্ছি, সেখানে জানাজা শেষে দাফন করা হবে। এদিকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রৌশন আহমেদের উপস্থিতিতে তৈরি করা সুরতহাল প্রতিবেদনে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ কাদের আহমেদ উল্লেখ করেছেন, গত ১১ মার্চ সি ও এল ও সেনাবাহিনীর একটি টিম হেজাজকে গ্রেফতারপূর্বক মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করলে অসুস্থ থাকায় তাকে দুইবার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মৃত হেজাজ পরদিন আদালত থেকে জামিন প্রাপ্ত হন এবং শনিবার (১৫ মার্চ) জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে ডিবি গ্রেফতার করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেফ্রোলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের ৯০১ নম্বর ওয়ার্ডের মারা যান।

সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি আরো উল্লেখ করেন, গলার ডান পাশে সিভি লাইন, যা ব্যান্ডেজ করা। বুক ও পেটের মাঝামাঝি পুরোনো দাগ, বুক-পেট স্বাভাবিক। পিঠে রক্ত জমা লাল সাদা দাগ আছে। ডান হাতের কব্জির উপরে ক্যানোলা এবং দুই হাতের কব্জিতে হ্যান্ডকাফ লাগানোর দাগ আছে। ডান ও বাম উরুর পেছন দিয়ে নিতম্ব পর্যন্ত রক্ত জমা কালশিরা দাগ রয়েছে, পা সামান্য ফোলা রয়েছে।
এসআই শেখ কাদের জানান, এজাজ বিন আলমের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগের হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ক্যাপ্টেন ইমনের অন্যতম সহযোগী হেজাজ বিন আলিম ওরফে ফাহিম আহমেদের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।