ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হৃদয়-মায়ার্স ঝড়ে বড় জয় পেল বরিশাল

  • আপডেট সময় : ১০:১৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

ক্রীড়া ডেস্ক: চলতি বিপিএলের সিলেটপর্বে প্রথমদিন (সোমবার) বড় রানের দেখা মিললেও, মঙ্গলবার ((৭ জানুয়ারি) সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। দুই ম্যাচই হয়েছে লো-স্কোরিং। দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাত্র ১২৫ রানেই গুটিয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। স্বাগতিক দর্শকরা গ্যালারি ভরিয়ে ফেললেও, তাদের এখনও আনন্দের উপলক্ষ্য দিতে পারছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় তাওহীদ হৃদয় ও কাইল মায়ার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বরিশাল ৫৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জিতেছে।

বিপিএলে বরিশাল-সিলেটের মোট ছয়বারের মুখোমুখি দেখায় এটাই সর্বনিম্ন রানের (২৫১) ম্যাচ। এদিন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটাই বাজেভাবে করে স্বাগতিক সিলেট। দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই কাইল মায়ার্সের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার।

চলতি বিপিএলে প্রথমবার খেলতে নেমে রাহকিম কর্নওয়াল ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু শাহিন আফ্রিদির বলে ১২ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। মাঝে ৪৯ রানের জুটিতে সেই বিপদ কিছুটা সামলেছেন জাকির হাসান ও জর্জ মুনসি। ১৩ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে মুনসির বিদায়ে সেই জুটি ভাঙে। একইসঙ্গে নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও হারাতে থাকে সিলেট। ব্যাট হাতে অ্যারন জোন্স (০), জাকের আলিরা (১) দারুণ ব্যর্থ ছিলেন। অধিনায়ক আরিফুল একপ্রান্ত আগলে ৩৬ রান করলেও, দল অলআউট হয় ১৮.২ ওভারে। তাদেরও পুঁজি জমে মাত্র ১২৫ রানের।

বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও জাহান্দাদ খান। ফাহিম আশরাফ ২ এবং কাইল মায়ার্স ও শাহিন আফ্রিদি ১টি করে উইকেট নেন। বোলারদের কল্যাণে বরিশালের জয়ের পথটা কিছুটা সহজই হয়ে যায়।

এরপর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাকিম কর্নওয়ালের প্রথম বলেই তামিম ইকবাল ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক জাকির হাসানের হাতে। দলীয় ৬ রানে বিলাসী শট খেলতে গিয়ে ওপরে তুলে দেন এই ম্যাচে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় নামা নাজমুল হোসেন শান্তও (৪)। চলতি বিপিএলের তিন ম্যাচেই তিনি ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। দল বিপদে পড়লেও দমে যাননি হৃদয়-মায়ার্সরা। দুজন মিলে গড়েন ১১৬ রানের ম্যাচজয়ী জুটি। হৃদয় ২৭ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করে আউট হলেও, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মায়ার্স।

ক্যারিবীয় এই বিধ্বংসী ব্যাটার ৩১ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৯ রান করেছেন। আর তাতেই ১০.৩ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত হয়েছে বরিশালের। চলতি আসরে এটি চার ম্যাচে তাদের তৃতীয় জয়। অন্যদিকে, সিলেট ৩ ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে। আজকের ম্যাচে তাদের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হৃদয়-মায়ার্স ঝড়ে বড় জয় পেল বরিশাল

আপডেট সময় : ১০:১৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: চলতি বিপিএলের সিলেটপর্বে প্রথমদিন (সোমবার) বড় রানের দেখা মিললেও, মঙ্গলবার ((৭ জানুয়ারি) সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। দুই ম্যাচই হয়েছে লো-স্কোরিং। দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাত্র ১২৫ রানেই গুটিয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। স্বাগতিক দর্শকরা গ্যালারি ভরিয়ে ফেললেও, তাদের এখনও আনন্দের উপলক্ষ্য দিতে পারছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় তাওহীদ হৃদয় ও কাইল মায়ার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বরিশাল ৫৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জিতেছে।

বিপিএলে বরিশাল-সিলেটের মোট ছয়বারের মুখোমুখি দেখায় এটাই সর্বনিম্ন রানের (২৫১) ম্যাচ। এদিন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটাই বাজেভাবে করে স্বাগতিক সিলেট। দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই কাইল মায়ার্সের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার।

চলতি বিপিএলে প্রথমবার খেলতে নেমে রাহকিম কর্নওয়াল ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু শাহিন আফ্রিদির বলে ১২ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। মাঝে ৪৯ রানের জুটিতে সেই বিপদ কিছুটা সামলেছেন জাকির হাসান ও জর্জ মুনসি। ১৩ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে মুনসির বিদায়ে সেই জুটি ভাঙে। একইসঙ্গে নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও হারাতে থাকে সিলেট। ব্যাট হাতে অ্যারন জোন্স (০), জাকের আলিরা (১) দারুণ ব্যর্থ ছিলেন। অধিনায়ক আরিফুল একপ্রান্ত আগলে ৩৬ রান করলেও, দল অলআউট হয় ১৮.২ ওভারে। তাদেরও পুঁজি জমে মাত্র ১২৫ রানের।

বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও জাহান্দাদ খান। ফাহিম আশরাফ ২ এবং কাইল মায়ার্স ও শাহিন আফ্রিদি ১টি করে উইকেট নেন। বোলারদের কল্যাণে বরিশালের জয়ের পথটা কিছুটা সহজই হয়ে যায়।

এরপর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাকিম কর্নওয়ালের প্রথম বলেই তামিম ইকবাল ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক জাকির হাসানের হাতে। দলীয় ৬ রানে বিলাসী শট খেলতে গিয়ে ওপরে তুলে দেন এই ম্যাচে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় নামা নাজমুল হোসেন শান্তও (৪)। চলতি বিপিএলের তিন ম্যাচেই তিনি ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। দল বিপদে পড়লেও দমে যাননি হৃদয়-মায়ার্সরা। দুজন মিলে গড়েন ১১৬ রানের ম্যাচজয়ী জুটি। হৃদয় ২৭ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করে আউট হলেও, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মায়ার্স।

ক্যারিবীয় এই বিধ্বংসী ব্যাটার ৩১ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৯ রান করেছেন। আর তাতেই ১০.৩ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত হয়েছে বরিশালের। চলতি আসরে এটি চার ম্যাচে তাদের তৃতীয় জয়। অন্যদিকে, সিলেট ৩ ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে। আজকের ম্যাচে তাদের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।