ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

হুট করেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা

  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: হুট করেই বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। একে তো চালের চড়া দাম, এরমধ্যে প্রতিকেজি ৮০ টাকার নিচে মিলছে না বেশিরভাগ সবজি। রাজধানী ঢাকার খুচরা বাজারে গত এক সপ্তাহে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দামই বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিশেষ করে ময়দা, ডাল, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আদা, ডিম, মুরগি, গরু-খাসির মাংস এবং ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে চাপ বাড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের ওপর।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুরের মাটিকাটা এলাকার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। বাজারে বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২১০০ টাকা পর্যন্ত। মাঝারি সাইজের ইলিশের দামও ১২০০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার কারণে মানুষের ভিড় কিছুটা বেশি, তাই বিক্রেতারা অন্যান্য মাছের দামও চাইছেন বেশি।

এদিকে মুরগির বাজারেও রয়েছে দামের ঊর্ধ্বগতি। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকায় পৌঁছেছে, যা সপ্তাহখানেক আগেও ১৪৫-১৫০ টাকার মধ্যে ছিল। পাকিস্তানি মুরগি ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা দামে। খাসির মাংস এখন ১২০০ টাকায়, আর গরুর মাংস ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রোটিনের আরেক উৎস ডিমের দামও বাড়ন্ত। বর্তমানে ফার্মের ডিম প্রতি হালি ৪৬-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, অর্থাৎ ডজনপ্রতি ১৪০-১৪৫ টাকা।

বেশি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মসলা ও তেলের বাজারে। সয়াবিন তেল (লুজ) বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৭২ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬২ টাকা। পাম অয়েল ও সুপার পাম অয়েলের দামও বেড়েছে যথাক্রমে ১০ ও ১১ টাকা করে। খোলা ময়দার দাম বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০-৫৫ টাকা।

ডালের বাজারেও রয়েছে দামের উর্ধ্বগতি। মাঝারি মানের মশুর ডাল এখন ১৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, ছোট দানার ডাল ১৫৫ টাকা। আর বড় দানার ডাল কিছুটা সস্তায় ৯৫-১১০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব ডালের দাম ছিল তুলনামূলক কম।

মসলার বাজারেও লাগাম নেই। দেশি পেঁয়াজ এখন ৮৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৬৫ টাকায়। দেশি রসুন ১৬০ টাকা কেজি, আমদানি করা রসুন ২২০ টাকায়। আদা (আমদানি) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। এলাচ কেজিপ্রতি ৫২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

তবে সব পণ্যের দাম যে বেড়েছে তা নয়। আলুর দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি আলু ২০ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা।

অন্যদিকে, সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ময়দা (খোলা), সয়াবিন তেল (লুজ), পাম অয়েল লুজ, সুপার পাম অয়েল লুজ, মসুর ডাল (মাঝারী, ছোট), মুরগী ব্রয়লার পেঁয়াজ (দেশি), রশুন (আম), আদা (আম), এলাচ এবং ডিমের দাম বেড়েছে। আর আলু, রসুন (দেশি), এম এস রডের (৬০, ৪০ গ্রেড) দাম কিছুটা কমেছে।

এসি/

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হুট করেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা

আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: হুট করেই বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। একে তো চালের চড়া দাম, এরমধ্যে প্রতিকেজি ৮০ টাকার নিচে মিলছে না বেশিরভাগ সবজি। রাজধানী ঢাকার খুচরা বাজারে গত এক সপ্তাহে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দামই বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিশেষ করে ময়দা, ডাল, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আদা, ডিম, মুরগি, গরু-খাসির মাংস এবং ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে চাপ বাড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের ওপর।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুরের মাটিকাটা এলাকার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। বাজারে বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২১০০ টাকা পর্যন্ত। মাঝারি সাইজের ইলিশের দামও ১২০০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার কারণে মানুষের ভিড় কিছুটা বেশি, তাই বিক্রেতারা অন্যান্য মাছের দামও চাইছেন বেশি।

এদিকে মুরগির বাজারেও রয়েছে দামের ঊর্ধ্বগতি। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকায় পৌঁছেছে, যা সপ্তাহখানেক আগেও ১৪৫-১৫০ টাকার মধ্যে ছিল। পাকিস্তানি মুরগি ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা দামে। খাসির মাংস এখন ১২০০ টাকায়, আর গরুর মাংস ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রোটিনের আরেক উৎস ডিমের দামও বাড়ন্ত। বর্তমানে ফার্মের ডিম প্রতি হালি ৪৬-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, অর্থাৎ ডজনপ্রতি ১৪০-১৪৫ টাকা।

বেশি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মসলা ও তেলের বাজারে। সয়াবিন তেল (লুজ) বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৭২ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬২ টাকা। পাম অয়েল ও সুপার পাম অয়েলের দামও বেড়েছে যথাক্রমে ১০ ও ১১ টাকা করে। খোলা ময়দার দাম বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০-৫৫ টাকা।

ডালের বাজারেও রয়েছে দামের উর্ধ্বগতি। মাঝারি মানের মশুর ডাল এখন ১৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, ছোট দানার ডাল ১৫৫ টাকা। আর বড় দানার ডাল কিছুটা সস্তায় ৯৫-১১০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব ডালের দাম ছিল তুলনামূলক কম।

মসলার বাজারেও লাগাম নেই। দেশি পেঁয়াজ এখন ৮৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৬৫ টাকায়। দেশি রসুন ১৬০ টাকা কেজি, আমদানি করা রসুন ২২০ টাকায়। আদা (আমদানি) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। এলাচ কেজিপ্রতি ৫২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

তবে সব পণ্যের দাম যে বেড়েছে তা নয়। আলুর দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি আলু ২০ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা।

অন্যদিকে, সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ময়দা (খোলা), সয়াবিন তেল (লুজ), পাম অয়েল লুজ, সুপার পাম অয়েল লুজ, মসুর ডাল (মাঝারী, ছোট), মুরগী ব্রয়লার পেঁয়াজ (দেশি), রশুন (আম), আদা (আম), এলাচ এবং ডিমের দাম বেড়েছে। আর আলু, রসুন (দেশি), এম এস রডের (৬০, ৪০ গ্রেড) দাম কিছুটা কমেছে।

এসি/