ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

হিলির বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : দুটি ফিফটি, পাঁচ ইনিংসে ব্যর্থ। বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বে ঠিক চেহারায় দেখা যায়নি অ্যালিসা হিলিকে। অবশেষে বড় ম্যাচে দেখা গেল তার সেরাটা। মেয়েদের ক্রিকেটের সবচেয়ে বিশ্বংসী ব্যাটারদের একজন জ্বলে উঠলেন সেমি-ফাইনালে। হিলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও র‌্যাচেল হেইন্সের সঙ্গে ডাবল সেঞ্চুরি জুটি অস্ট্রেলিয়াকে পৌঁছে দিল ফাইনালে।
মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫৭ রানে উড়িয়ে প্রত্যাশিতভাবেই ফাইনালে পা রাখল অস্ট্রেলিয়া।
ওয়েলিংটনে বুধবার বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে ৪৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৩ উইকেটে ৩০৫ রান। ১৭ চার ও ১ ছক্কায় হিলি খেলেন ১০৭ বলে ১২৯ রানের ইনিংস। হেইন্সের সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটিতে রান আসে ২১৬।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান তাড়ায় যেতে পারেনি ওই জুটির কাছাকাছিও। ৩৭ ওভারে তারা ৮ উইকেটে ১৪৮ রান তোলার পর বৃষ্টিতে শেষ হয় ম্যাচ। ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়া জেতে ১৫৭ রানে।
চলতি বিশ্বকাপে একমাত্র অপরাজিত দল অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে উঠল টানা ৮ জয়ে। সব মিলিয়ে তারা জিতল টানা ১১ ওয়ানডে। সবশেষ ৩৮ ওয়ানডেতে তাদের পরাজয় স্রেফ একটি, গত সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে।
হিলির ১২০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসের শুরুটা ছিল বেশ মন্থর। এমনিতে প্রথম থেকে বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে পছন্দ করলেও এ দিন তিনি ছিলেন আশ্চর্যরকম শান্ত। অবিশ্বাস্যভাবে নিজের প্রথম বাউন্ডারি পেতে তার লেগে যায় ১২ ওভার। ওই বাউন্ডারির আগ পর্যন্ত তার রান ছিল ২৯ বলে ১১।
তখন রান বাড়ানোর কাজটি করেন মূলত হেইন্স। পরে ছন্দ পেয়ে হিলি হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। ফিফটিতে পৌঁছে যান তিনি হেইন্সের চেয়ে কম বল খেলে। ৬৬ বলে পঞ্চাশ হয় হেইন্সের। হিলি ৬ চারে ফিফটি স্পর্শ করেন ৬৩ বলে।
পঞ্চাশ থেকে একশতে যেতে হিলির লাগে স্রেফ ২৮ বল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি ৯১ বলে। পরে আরও দারুণ কিছু শট খেলে আউটও হন তিনিই আগে।
২১৬ রানে থামে জুটি, এবারের বিশ্বকাপে এটিই এখনও পর্যন্ত সেরা জুটি।
ফিফটির পর দুই দফায় জীবন পেলেও শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি পর্যন্ত যেতে পারেননি হেইন্স। ১০০ বলে ৮৫ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। পরে বেথ মুনির ৩১ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার রান ছাড়ায় তিনশ।
রান তাড়ায় ওপেনার রাশাদা উইলিয়ামসকে শূন্য রানে হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ তেমন কোনো সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি। বড় ভরসা ডিয়েন্ড্রা ডটিন আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করলেও থেমে যান ৩৫ বলে ৩৪ করে। আরেক ভরসা হেইলি ম্যাথুজও থামেন ৩৪ রানেই।
এরপর অধিনায়ক স্টেফানি টেইলর এক প্রান্তে থাকলেও আরেক পাশে কোনো ব্যাটার ছুঁতে পারেননি দু অঙ্ক। টেইলরের ৪৮ রানেও লেগে যায় ৭৫ বল। অস্ট্রেলিয়া জিতে যায় অনায়াসেই।
দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনাল আগামী রোববার ক্রাইস্টচার্চে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হিলির বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

আপডেট সময় : ১২:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : দুটি ফিফটি, পাঁচ ইনিংসে ব্যর্থ। বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বে ঠিক চেহারায় দেখা যায়নি অ্যালিসা হিলিকে। অবশেষে বড় ম্যাচে দেখা গেল তার সেরাটা। মেয়েদের ক্রিকেটের সবচেয়ে বিশ্বংসী ব্যাটারদের একজন জ্বলে উঠলেন সেমি-ফাইনালে। হিলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও র‌্যাচেল হেইন্সের সঙ্গে ডাবল সেঞ্চুরি জুটি অস্ট্রেলিয়াকে পৌঁছে দিল ফাইনালে।
মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫৭ রানে উড়িয়ে প্রত্যাশিতভাবেই ফাইনালে পা রাখল অস্ট্রেলিয়া।
ওয়েলিংটনে বুধবার বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে ৪৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৩ উইকেটে ৩০৫ রান। ১৭ চার ও ১ ছক্কায় হিলি খেলেন ১০৭ বলে ১২৯ রানের ইনিংস। হেইন্সের সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটিতে রান আসে ২১৬।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান তাড়ায় যেতে পারেনি ওই জুটির কাছাকাছিও। ৩৭ ওভারে তারা ৮ উইকেটে ১৪৮ রান তোলার পর বৃষ্টিতে শেষ হয় ম্যাচ। ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়া জেতে ১৫৭ রানে।
চলতি বিশ্বকাপে একমাত্র অপরাজিত দল অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে উঠল টানা ৮ জয়ে। সব মিলিয়ে তারা জিতল টানা ১১ ওয়ানডে। সবশেষ ৩৮ ওয়ানডেতে তাদের পরাজয় স্রেফ একটি, গত সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে।
হিলির ১২০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসের শুরুটা ছিল বেশ মন্থর। এমনিতে প্রথম থেকে বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে পছন্দ করলেও এ দিন তিনি ছিলেন আশ্চর্যরকম শান্ত। অবিশ্বাস্যভাবে নিজের প্রথম বাউন্ডারি পেতে তার লেগে যায় ১২ ওভার। ওই বাউন্ডারির আগ পর্যন্ত তার রান ছিল ২৯ বলে ১১।
তখন রান বাড়ানোর কাজটি করেন মূলত হেইন্স। পরে ছন্দ পেয়ে হিলি হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। ফিফটিতে পৌঁছে যান তিনি হেইন্সের চেয়ে কম বল খেলে। ৬৬ বলে পঞ্চাশ হয় হেইন্সের। হিলি ৬ চারে ফিফটি স্পর্শ করেন ৬৩ বলে।
পঞ্চাশ থেকে একশতে যেতে হিলির লাগে স্রেফ ২৮ বল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি ৯১ বলে। পরে আরও দারুণ কিছু শট খেলে আউটও হন তিনিই আগে।
২১৬ রানে থামে জুটি, এবারের বিশ্বকাপে এটিই এখনও পর্যন্ত সেরা জুটি।
ফিফটির পর দুই দফায় জীবন পেলেও শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি পর্যন্ত যেতে পারেননি হেইন্স। ১০০ বলে ৮৫ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। পরে বেথ মুনির ৩১ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার রান ছাড়ায় তিনশ।
রান তাড়ায় ওপেনার রাশাদা উইলিয়ামসকে শূন্য রানে হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ তেমন কোনো সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি। বড় ভরসা ডিয়েন্ড্রা ডটিন আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করলেও থেমে যান ৩৫ বলে ৩৪ করে। আরেক ভরসা হেইলি ম্যাথুজও থামেন ৩৪ রানেই।
এরপর অধিনায়ক স্টেফানি টেইলর এক প্রান্তে থাকলেও আরেক পাশে কোনো ব্যাটার ছুঁতে পারেননি দু অঙ্ক। টেইলরের ৪৮ রানেও লেগে যায় ৭৫ বল। অস্ট্রেলিয়া জিতে যায় অনায়াসেই।
দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনাল আগামী রোববার ক্রাইস্টচার্চে।