ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

হিরো আলম আর ‘বিকৃতভাবে’ রবীন্দ্র-নজরুলসংগীত গাইবেন না

  • আপডেট সময় : ০১:২২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক কয়েকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশে আলোচিত আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলমকে জিজ্ঞাবাসাদ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আর কখনো অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক পরবেন না এবং বিকৃত করে রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত গাইবেন না বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ডিবিকে মুচলেকা দিয়েছেন হিরো আলম।
ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ডাকে গতকাল বুধবার সকালে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হন হিলো আলম। সেখানে তাঁকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ।
মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ বলেন, হিরো আলমের বিরুদ্ধে ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে অজস্র অভিযোগ। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ডাকা হয়। মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘হিরো আলমের কথা আর কী বলব! পুলিশের যে পোশাক, যে ধরন, ডিআইজি-এসপির যে পোশাক, তা না পরে কনস্টেবলের পোশাক পরে ডিআইজি, এসপির অভিনয় করছে।’ ডিএমপির কমিশনার শিল্পী সমিতিতে বলেছেন, পুলিশের পোশাক পরে অভিনয় করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। হিরো আলম শিল্পী সমিতির সদস্যও নন। অথচ তিনি অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক পরছেন। কনস্টেবলের ড্রেস পরে এসপি-ডিআইজির অভিনয় করছেন। এটা তিনি জানেনও না। হিরো আলমের গাওয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নজরুল ইসলামের গানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
বুধবার সে বিষয়ে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের যে কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রয়েছে, তাতে আমরা গান গাই-শুনি রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত। কিন্তু হিরো আলম যেভাবে গান, তাতে এসব কৃষ্টি-কালচার পুরোটাই বদলে দিয়েছেন। আমরা জিজ্ঞাসা করেছি, “আপনি এসব কেন করেন?” উনি আমাদের বলেছেন, “আমি আর জীবনে এসব করব না। আমি আর পুলিশের পোশাক পরব না। কোনো ধরনের রবীন্দ্র-নজরুলসংগীত গাইব না।”’
হিরো আলম নামে অধিক পরিচিতি পাওয়া এই ব্যক্তি বাংলাদেশি মিউজিক ভিডিওর মডেল, অভিনেতা ও গায়ক হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত ও সমালোচিত। ২০১৮ সালে হিরো আলম একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে প্রার্থী হয়ে পুনরায় আলোচনায় আসেন।
ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ সূত্রে জানা যায়, একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার হিরো আলমকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়। এ জন্য তিনি মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হন। তাঁকে নানা অভিযোগে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সর্বশেষ বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত হিরো আলম ডিবি কার্যালয়েই ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হিরো আলম আর ‘বিকৃতভাবে’ রবীন্দ্র-নজরুলসংগীত গাইবেন না

আপডেট সময় : ০১:২২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক কয়েকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশে আলোচিত আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলমকে জিজ্ঞাবাসাদ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আর কখনো অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক পরবেন না এবং বিকৃত করে রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত গাইবেন না বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ডিবিকে মুচলেকা দিয়েছেন হিরো আলম।
ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ডাকে গতকাল বুধবার সকালে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হন হিলো আলম। সেখানে তাঁকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ।
মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ বলেন, হিরো আলমের বিরুদ্ধে ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে অজস্র অভিযোগ। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ডাকা হয়। মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘হিরো আলমের কথা আর কী বলব! পুলিশের যে পোশাক, যে ধরন, ডিআইজি-এসপির যে পোশাক, তা না পরে কনস্টেবলের পোশাক পরে ডিআইজি, এসপির অভিনয় করছে।’ ডিএমপির কমিশনার শিল্পী সমিতিতে বলেছেন, পুলিশের পোশাক পরে অভিনয় করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। হিরো আলম শিল্পী সমিতির সদস্যও নন। অথচ তিনি অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক পরছেন। কনস্টেবলের ড্রেস পরে এসপি-ডিআইজির অভিনয় করছেন। এটা তিনি জানেনও না। হিরো আলমের গাওয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নজরুল ইসলামের গানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
বুধবার সে বিষয়ে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের যে কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রয়েছে, তাতে আমরা গান গাই-শুনি রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত। কিন্তু হিরো আলম যেভাবে গান, তাতে এসব কৃষ্টি-কালচার পুরোটাই বদলে দিয়েছেন। আমরা জিজ্ঞাসা করেছি, “আপনি এসব কেন করেন?” উনি আমাদের বলেছেন, “আমি আর জীবনে এসব করব না। আমি আর পুলিশের পোশাক পরব না। কোনো ধরনের রবীন্দ্র-নজরুলসংগীত গাইব না।”’
হিরো আলম নামে অধিক পরিচিতি পাওয়া এই ব্যক্তি বাংলাদেশি মিউজিক ভিডিওর মডেল, অভিনেতা ও গায়ক হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত ও সমালোচিত। ২০১৮ সালে হিরো আলম একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে প্রার্থী হয়ে পুনরায় আলোচনায় আসেন।
ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ সূত্রে জানা যায়, একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার হিরো আলমকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়। এ জন্য তিনি মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হন। তাঁকে নানা অভিযোগে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সর্বশেষ বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত হিরো আলম ডিবি কার্যালয়েই ছিলেন।