ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

হিরো আলমকে জিততে দেয়নি সরকার: জোনায়েদ সাকি

  • আপডেট সময় : ০১:২৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার সদ্য অনুষ্ঠিত ছয়টি আসনের উপ-নির্বাচনও ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য করতে পারেনি। উত্তরবঙ্গে হিরো আলম দাঁড়িয়েছিলেন। মানুষ আগ্রহী হয়ে ভোট দিয়েছিল। তাকে স্যার বলতে হবে, এটা প্রশাসনের লোকেরা মানতে পারলো না। তাই হিরো আলম জিতলেও, তাকে জিততে দেওয়া হয়নি।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন। জনগণকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়ন আর স্মার্ট বাংলাদেশের চক্রান্তে বিভ্রান্ত না হয়ে আপনারা (জনগণ) রাজপথে নামুন। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য, দেশকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন। জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার মানুষকে উন্নয়নের বাংলাদেশ বলেছে। এখন বলছে স্মার্ট বাংলাদেশ। উন্নয়নের নামে সরকারের পোষ্য লোকেরা, ভাই-ব্রাদার, আত্মীয়-স্বজনরা সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে নিয়ে হোটেল কিনছে, ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে। তিনি বলেন, কথা ছিল ২০১৪ সালের মধ্যে বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হবে। এই বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, তখন আর ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আর কোনো দরকার হবে না। কিন্তু সরকার ভাড়া করা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ না করে, তাদের বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার গত কয়েকদিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এর ১৯ দিন আগে একবার বাড়ানো হয়েছিল। আগামী মাসে তারা আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। দেশের যেসব মানুষ খেতে পায় না তাদের ঝোলা থেকে টাকা নিয়ে সরকার তাদের আত্মীয়-স্বজন, ভাই-ব্রাদারদের পকেট ভরানোর ব্যবস্থা করছে। এই হলো উন্নয়ন।
‘সরকারের স্মার্টনেস মানে তাদের চাকরি করা, মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া, ভোট চুরি করে সেটাকেই গণতন্ত্র বলা। দেশের মানুষ আর এই মিথ্যাচার নেবে না। মানুষ জেগে উঠছে। রাজপথ মানুষে সয়লাব হবে। পদভারে প্রকম্পিত হবে সরকার, চক্রান্ত, দমন-পীড়ন, ভয়কে ডিঙিয়ে এই দেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থান করে তাদের ক্ষমতা থেকে নামাবে। সেই লড়াই গড়ে উঠছে।’
তিনি জনগণের প্রতি উন্নয়ন আর স্মার্ট বাংলাদেশের চক্রান্তে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা (জনগণ) রাজপথে নামেন। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য, দেশকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ও আকাশ পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ঢাবির সাবেক ভিপি নুরুল হক।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হিরো আলমকে জিততে দেয়নি সরকার: জোনায়েদ সাকি

আপডেট সময় : ০১:২৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার সদ্য অনুষ্ঠিত ছয়টি আসনের উপ-নির্বাচনও ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য করতে পারেনি। উত্তরবঙ্গে হিরো আলম দাঁড়িয়েছিলেন। মানুষ আগ্রহী হয়ে ভোট দিয়েছিল। তাকে স্যার বলতে হবে, এটা প্রশাসনের লোকেরা মানতে পারলো না। তাই হিরো আলম জিতলেও, তাকে জিততে দেওয়া হয়নি।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন। জনগণকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়ন আর স্মার্ট বাংলাদেশের চক্রান্তে বিভ্রান্ত না হয়ে আপনারা (জনগণ) রাজপথে নামুন। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য, দেশকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন। জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার মানুষকে উন্নয়নের বাংলাদেশ বলেছে। এখন বলছে স্মার্ট বাংলাদেশ। উন্নয়নের নামে সরকারের পোষ্য লোকেরা, ভাই-ব্রাদার, আত্মীয়-স্বজনরা সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে নিয়ে হোটেল কিনছে, ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে। তিনি বলেন, কথা ছিল ২০১৪ সালের মধ্যে বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হবে। এই বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, তখন আর ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আর কোনো দরকার হবে না। কিন্তু সরকার ভাড়া করা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ না করে, তাদের বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার গত কয়েকদিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এর ১৯ দিন আগে একবার বাড়ানো হয়েছিল। আগামী মাসে তারা আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। দেশের যেসব মানুষ খেতে পায় না তাদের ঝোলা থেকে টাকা নিয়ে সরকার তাদের আত্মীয়-স্বজন, ভাই-ব্রাদারদের পকেট ভরানোর ব্যবস্থা করছে। এই হলো উন্নয়ন।
‘সরকারের স্মার্টনেস মানে তাদের চাকরি করা, মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া, ভোট চুরি করে সেটাকেই গণতন্ত্র বলা। দেশের মানুষ আর এই মিথ্যাচার নেবে না। মানুষ জেগে উঠছে। রাজপথ মানুষে সয়লাব হবে। পদভারে প্রকম্পিত হবে সরকার, চক্রান্ত, দমন-পীড়ন, ভয়কে ডিঙিয়ে এই দেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থান করে তাদের ক্ষমতা থেকে নামাবে। সেই লড়াই গড়ে উঠছে।’
তিনি জনগণের প্রতি উন্নয়ন আর স্মার্ট বাংলাদেশের চক্রান্তে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা (জনগণ) রাজপথে নামেন। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য, দেশকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ও আকাশ পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ঢাবির সাবেক ভিপি নুরুল হক।