ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

হিজাববিহীন নারীদের নজরদারি করতে ইরানে ড্রোন ব্যবহার

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : সংবিধান অনুযায়ী খোলা স্থানে ইরানের সব নারীর হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। যদি কেউ হিজাব না পরে তাহলে তাকে গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরমধ্যে জানা গেলো, রাজধানী তেহরান ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ড্রোন উড়ানো হচ্ছে। যেগুলো দিয়ে চালানো হচ্ছে নজরদারি। নারীদের হিজাব পরতে বাধ্য করতে ড্রোনের পাশাপাশি ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম ও একটি অ্যাপও ব্যবহার করা হচ্ছে দেশটিতে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়। অ্যাপটির নাম হলো ‘নাজের’।

এটি মোবাইলে ব্যবহার করা যায়। যদি কোনো নারী হিজাব না পরেন এবং তাকে কেউ দেখেন, তাহলে এই অ্যাপটির মাধ্যমে তার বিস্তারিত তথ্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে পাঠানো যায়। সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশ যে কেউই এই অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে পারেন। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপটির মাধ্যমে হিজাব না পরা নারীর গাড়ির লাইসেন্স প্লেট, অবস্থান, এবং ওই নারী কোন সময়টায় হিজাব না পরে ছিলেন তার সব জানানো যায়।

এরপর অ্যাপটি তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশকে সতর্ক করে দেয়। এছাড়া লাইসেন্স প্লেটের তথ্য সংগ্রহ করে ওই গাড়ির মালিককে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। এতে সতর্কতা দিয়ে বলা হয়, আপনার গাড়িতে হিজাব আইন লঙ্ঘন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদি আপনি সতর্কতা উপেক্ষা করেন তাহলে গাড়ি জব্দ করা হবে। অ্যাপটির পরিধি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বাড়ানো হয়। এটি ইরানের পুলিশের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এটি মূলত অ্যাম্বুলেন্স, ট্যাক্সি এবং গণপরিবহনে থাকা নারীদের টার্গেট করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

হিজাববিহীন নারীদের নজরদারি করতে ইরানে ড্রোন ব্যবহার

আপডেট সময় : ০৭:৫৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : সংবিধান অনুযায়ী খোলা স্থানে ইরানের সব নারীর হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। যদি কেউ হিজাব না পরে তাহলে তাকে গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরমধ্যে জানা গেলো, রাজধানী তেহরান ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ড্রোন উড়ানো হচ্ছে। যেগুলো দিয়ে চালানো হচ্ছে নজরদারি। নারীদের হিজাব পরতে বাধ্য করতে ড্রোনের পাশাপাশি ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম ও একটি অ্যাপও ব্যবহার করা হচ্ছে দেশটিতে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়। অ্যাপটির নাম হলো ‘নাজের’।

এটি মোবাইলে ব্যবহার করা যায়। যদি কোনো নারী হিজাব না পরেন এবং তাকে কেউ দেখেন, তাহলে এই অ্যাপটির মাধ্যমে তার বিস্তারিত তথ্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে পাঠানো যায়। সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশ যে কেউই এই অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে পারেন। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপটির মাধ্যমে হিজাব না পরা নারীর গাড়ির লাইসেন্স প্লেট, অবস্থান, এবং ওই নারী কোন সময়টায় হিজাব না পরে ছিলেন তার সব জানানো যায়।

এরপর অ্যাপটি তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশকে সতর্ক করে দেয়। এছাড়া লাইসেন্স প্লেটের তথ্য সংগ্রহ করে ওই গাড়ির মালিককে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। এতে সতর্কতা দিয়ে বলা হয়, আপনার গাড়িতে হিজাব আইন লঙ্ঘন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদি আপনি সতর্কতা উপেক্ষা করেন তাহলে গাড়ি জব্দ করা হবে। অ্যাপটির পরিধি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বাড়ানো হয়। এটি ইরানের পুলিশের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এটি মূলত অ্যাম্বুলেন্স, ট্যাক্সি এবং গণপরিবহনে থাকা নারীদের টার্গেট করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।