ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

হাসিনা-কাদেরসহ ৫৮১ জনের নামে মামলা

  • আপডেট সময় : ১২:৪১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

নরসিংদী সংবাদদাতা : নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আজিজুল মিয়া নামের এক ডাব বিক্রেতা হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল, সাবেক আইজিপি ও নরসিংদী সদর আসনের এমপি নজরুল ইসলাম হিরুসহ (বীর প্রতীক) আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৮১ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট নাহিদ নিয়াজীর আদালতে মামলাটি করেন নিহতের বাবা আলমাছ মিয়া। মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত নামা আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
আজিজুল মিয়া সদর উপজেলার বাদুয়াচর দড়িপাড়া গ্রামের আলমাছ মিয়ার ছেলে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৮ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নরসিংদীর জেলখানা মোড়ে আজিজুল অবস্থান করছিলেন। এসময় ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ করে তাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছুড়তে থাকেন। এসময় একাধিক গুলি আজিজুলের শরীরে বিদ্ধ হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুলাই রাত ১টায় তিনি মারা যান। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের বাবা আলমাস তার ছেলে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনাসহ ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। বিচারক সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বাসচালক শামসু হত্যায় ওবায়দুল কাদেরের নামে মামলা
ফরিদপুর সংবাদদাতা
ফরিদপুরে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলি করে বাসচালক শামসু মোল্লাকে (৬২) হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের ৪০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে নিহত শামসু মোল্লার স্ত্রী মেঘলা বেগম (৩১) বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন। কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এ মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে (ওবায়দুল কাদের) এ হত্যা মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেক লীগ ও শ্রমিক লীগের অজ্ঞাতনামা তিনশ থেকে চারশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাশার বলেন, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ হত্যা মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পর বিকেল ৫টা দিকে একদল মানুষ ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করতে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় থানা ঘেরাও করতে যাওয়া ব্যক্তিদের। পুলিশ টিয়ারশেল ও মুহুর্মুহু গুলি ছুড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে নিহত হন পথচারী শামসু। গুলিটি তার নাক ও ঠোঁটের মাঝ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। এরপর তার মরদেহ থানার প্রধান ফটক থেকে আনুমানিক ৪০ মিটার দূরে পরে ছিল।শামসু শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লা এলাকার বাসিন্দা মৃত মোবারক মোল্লার ছেলে। শামসু-মেঘলা দম্পতির একমাত্র মেয়ে ছয় বছরের সাম্মি। সাম্মি স্থানীয় বায়তুল আমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। নিহত শামসু মোল্লা ফরিদপুরের করিম গ্রুপের মালিকানাধীন গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাসের চালক ছিলেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাসিনা-কাদেরসহ ৫৮১ জনের নামে মামলা

আপডেট সময় : ১২:৪১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

নরসিংদী সংবাদদাতা : নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আজিজুল মিয়া নামের এক ডাব বিক্রেতা হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল, সাবেক আইজিপি ও নরসিংদী সদর আসনের এমপি নজরুল ইসলাম হিরুসহ (বীর প্রতীক) আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৮১ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট নাহিদ নিয়াজীর আদালতে মামলাটি করেন নিহতের বাবা আলমাছ মিয়া। মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত নামা আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
আজিজুল মিয়া সদর উপজেলার বাদুয়াচর দড়িপাড়া গ্রামের আলমাছ মিয়ার ছেলে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৮ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নরসিংদীর জেলখানা মোড়ে আজিজুল অবস্থান করছিলেন। এসময় ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ করে তাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছুড়তে থাকেন। এসময় একাধিক গুলি আজিজুলের শরীরে বিদ্ধ হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুলাই রাত ১টায় তিনি মারা যান। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের বাবা আলমাস তার ছেলে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনাসহ ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। বিচারক সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বাসচালক শামসু হত্যায় ওবায়দুল কাদেরের নামে মামলা
ফরিদপুর সংবাদদাতা
ফরিদপুরে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলি করে বাসচালক শামসু মোল্লাকে (৬২) হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের ৪০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে নিহত শামসু মোল্লার স্ত্রী মেঘলা বেগম (৩১) বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন। কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এ মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে (ওবায়দুল কাদের) এ হত্যা মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেক লীগ ও শ্রমিক লীগের অজ্ঞাতনামা তিনশ থেকে চারশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাশার বলেন, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ হত্যা মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পর বিকেল ৫টা দিকে একদল মানুষ ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করতে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় থানা ঘেরাও করতে যাওয়া ব্যক্তিদের। পুলিশ টিয়ারশেল ও মুহুর্মুহু গুলি ছুড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে নিহত হন পথচারী শামসু। গুলিটি তার নাক ও ঠোঁটের মাঝ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। এরপর তার মরদেহ থানার প্রধান ফটক থেকে আনুমানিক ৪০ মিটার দূরে পরে ছিল।শামসু শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লা এলাকার বাসিন্দা মৃত মোবারক মোল্লার ছেলে। শামসু-মেঘলা দম্পতির একমাত্র মেয়ে ছয় বছরের সাম্মি। সাম্মি স্থানীয় বায়তুল আমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। নিহত শামসু মোল্লা ফরিদপুরের করিম গ্রুপের মালিকানাধীন গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাসের চালক ছিলেন।