ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক সংলাপে প্রেস সচিব

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয় রাজনৈতিক দলগুলোকে স্পষ্ট করতে হবে

  • আপডেট সময় : ০১:০৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক সংলাপে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার বিষয়ে সবাইকে স্পষ্ট বলতে হবে। আমরা কী চাই? আজকেও দেখবেন সে বলছে ‘যারা জুলাইয়ের আন্দোলন করেছে সবাই টেরোরিস্ট’। কী ভয়াবহ!

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক এক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। শফিকুল আলম বলেন, সাইফুল ভাই (বাম নেতা) আন্দোলনে ছিলেন, তিনি টেরোরিস্ট। আমির খসরু ভাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আন্দোলনে ছিলেন, তাকে বলা হচ্ছে টেরোরিস্ট। আমরা যারা লেখালেখি করেছি, সবাই টেরোরিস্ট। ১৮ কোটি লোককে টেরোরিস্ট বলে তিনি (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছেন। টেরোরিস্ট শব্দটা বলা সহজ, কিন্তু যখন কাউকে টেরোরিস্ট বলছেন তাকে হত্যার যোগ্য করছেন। মানে তিনি চান ১৮ কোটি মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতায় আসবেন। এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর শক্ত একটা অবস্থান নিতে হবে। কেননা এটা আমাদের জন্য অস্তিত্বের ওপর হুমকি।

নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, অনেকে বলছেন, জুলাই সনদ নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। এই বিতর্কগুলো পুরো পৃথিবীতে অনেক জায়গায় ১০-১৫ বছর ধরেও চলে। এটা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নাই। সবাই যদি একমত হতো তাহলে দেশে বাকশাল হতো না। দ্বিমত থাকবেই, এর ভিত্তিতে ঐকমত্যে গিয়ে একটা সিদ্ধান্ত হবে। যদি রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, সে ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। এটা খুব দ্রুতই হবে। তিনি বলেন, আরেকটা বিষয় হলো, নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তার বিষয় যেন না থাকে। আমাদের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। কিছু কিছু থিংকট্যাংক বলতে চাচ্ছেন, এটা নিয়ে কৃষকের সঙ্গে, নারীদের সঙ্গে বা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়নি। যারা রাজনৈতিক দল, যাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের ঐকমত্য কমিশন কথা বললো-রাজনৈতিক দলগুলো কী এই গ্রুপগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে না? তাদের কী নারী উইং, শ্রমিক উইং নাই? থিংকট্যাংকগুলো নিজেরা নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য এসব মুখরোচক কথা বলেন। জুলাই সনদে সবকিছুই এসেছে। যেসব শাসনতান্ত্রিক বিষয় পত্রিকায় এসেছে আপনারা দেখছেন, কিন্তু অন্যান্য বিষয় সবই এসেছে। যদি ভাবেন আমরা ৯ মাসে সব ঠিক করে ফেলবো, সেটা হয় না।

নির্বাচনের পর নতুন করে সংলাপ হতে পারে মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, নেপালে দেখেন, তাদের বিপ্লবপরবর্তী সংবিধান করতে ৯ বছর লেগে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ একটা আরো উন্নত শাসনতন্ত্র চায়, একটা ভালো শাসনব্যবস্থা চায়, এখানে জবাবদিহি থাকবে, দুর্নীতি থাকবে না। সেটাকে একদিনে সংলাপ করে আমরা পাবো না। এটা একটা অভূতপূর্ব সংলাপ হয়েছে, আমাদের রাজনৈতিকদলগুলো সুচিন্তিত মতামত দিয়েছে, চার হাজার পাতা এটা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অনেকেই ভাবছেন, এই আলাপ একদিনে কেন সম্ভব না, আসলেই সম্ভব না। তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ দেশে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। আমাদের চ্যালেঞ্জ কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জুলাই যে আন্দোলন সেটা প্রথম শুরু হলো কর্মসংস্থান নিয়ে। লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। এমন সময় সেটা করতে হবে যেখানে আগ্রাসী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসছে আপনার চাকরি কেড়ে নেওয়ার জন্য।

প্রেস সচিব বলেন, লজিস্টিক আর অবকাঠামো নিয়ে আগামী সরকারের চ্যালেঞ্জ আছে। আমাদের প্রবৃদ্ধির জন্য এই অবকাঠামো দিয়ে টিকতে পারবো? আমরা ভুল জায়গায়…গোপালগঞ্জ কাশিয়ানি রেললাইন বানিয়ে রেখেছি। কেউ চড়ে না। পাবনা থেকে একটা রেল লাইন করা হয়েছে কেউ চড়ে না। যেখানে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হাই স্পিড রেললাইন করা দরকার বা একটা এলিভেটেড এক্সপ্রেওয়ে দরকার, সেটা আমরা করেছি ঢাকা থেকে খুলনা। এটা কি গ্রোথ এরিয়া? এটা করা হয়েছে, যাতে গোপালগঞ্জকে স্পর্শ করে যাওয়া যায়। ৫ বিলিয়ন ডলার এবং তার পক্ষের সাংবাদিকরা সে সময় প্রশংসা করেছেন– দক্ষিণ বাংলাদেশ গ্রোথে ভরে যাবে, কই কিছু হয়েছে? কয়টা কারখানা গিয়েছে সেখানে? আমরা সারা জীবন দেখছি, গ্রোথ করিডোর ঢাকা-চট্টগ্রাম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটা গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, পাঁচ বছর পর ১০ কিলোমিটারও দিতে পারবে না। গ্রোথ এই এলাকায়, গ্রোথ তো গোপালগঞ্জে না।

শফিকুল আলম বলেন, আমরা চাচ্ছি, এমন একটা রাজনৈতিক সমঝোতা করা যাতে সে ডানপন্থি হোক বা বামপন্থি, সে যেন গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল থাকে। এটাকে নিশ্চিত করা। না হলে দেশের বাইরে সঠিক বার্তা যাবে না। সঠিক বার্তা না গেলে এখানে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আসবে না। আর এফডিআই না হলে কর্মসংস্থান বাড়বে না।

নির্বাচনী ইশতেহারে থাকা ৪ দুর্বলতার কথা জানালো ট্রেস কনসাল্টিং লি.: রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানত চারটি দুর্বলতা রয়েছে বলে মনে করেন পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ট্রেস কনসাল্টিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফুয়াদ মোহাম্মদ খালেদ হাসান।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ট্রেস কাউন্সাল্টিং আয়োজিত ‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক এক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় তিনি এ তথ্য জানান। ফুয়াদ মোহাম্মদ খালেদ হাসান বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহার ঘোষণা করার ক্ষেত্রে ৪টি প্রধান দুর্বলতা রয়েছে। সেগুলো হলো, জনগণের সরাসরি মতামত না নেওয়া, পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর আসনের জন্য নির্দিষ্ট সুবিধা না রাখা, ব্যবসায়িক ও কৃষি অঞ্চলকে বিশেষ গুরুত্ব না দেওয়া এবং ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি রক্ষার হার কম হওয়া।

রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন ফুয়দ মোহাম্মদ খালেদ হাসান।

সংলাপে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি সাইফুল হক, ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব মো. আকতার হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য জেসমিন তুলি এবং বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মাদ হাতেম।

সানা/এসি/আপ্র/০৮/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতির ডাক প্রাথমিক শিক্ষকদের

‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক সংলাপে প্রেস সচিব

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয় রাজনৈতিক দলগুলোকে স্পষ্ট করতে হবে

আপডেট সময় : ০১:০৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার বিষয়ে সবাইকে স্পষ্ট বলতে হবে। আমরা কী চাই? আজকেও দেখবেন সে বলছে ‘যারা জুলাইয়ের আন্দোলন করেছে সবাই টেরোরিস্ট’। কী ভয়াবহ!

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক এক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। শফিকুল আলম বলেন, সাইফুল ভাই (বাম নেতা) আন্দোলনে ছিলেন, তিনি টেরোরিস্ট। আমির খসরু ভাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আন্দোলনে ছিলেন, তাকে বলা হচ্ছে টেরোরিস্ট। আমরা যারা লেখালেখি করেছি, সবাই টেরোরিস্ট। ১৮ কোটি লোককে টেরোরিস্ট বলে তিনি (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছেন। টেরোরিস্ট শব্দটা বলা সহজ, কিন্তু যখন কাউকে টেরোরিস্ট বলছেন তাকে হত্যার যোগ্য করছেন। মানে তিনি চান ১৮ কোটি মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতায় আসবেন। এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর শক্ত একটা অবস্থান নিতে হবে। কেননা এটা আমাদের জন্য অস্তিত্বের ওপর হুমকি।

নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, অনেকে বলছেন, জুলাই সনদ নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। এই বিতর্কগুলো পুরো পৃথিবীতে অনেক জায়গায় ১০-১৫ বছর ধরেও চলে। এটা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নাই। সবাই যদি একমত হতো তাহলে দেশে বাকশাল হতো না। দ্বিমত থাকবেই, এর ভিত্তিতে ঐকমত্যে গিয়ে একটা সিদ্ধান্ত হবে। যদি রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, সে ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। এটা খুব দ্রুতই হবে। তিনি বলেন, আরেকটা বিষয় হলো, নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তার বিষয় যেন না থাকে। আমাদের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। কিছু কিছু থিংকট্যাংক বলতে চাচ্ছেন, এটা নিয়ে কৃষকের সঙ্গে, নারীদের সঙ্গে বা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়নি। যারা রাজনৈতিক দল, যাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের ঐকমত্য কমিশন কথা বললো-রাজনৈতিক দলগুলো কী এই গ্রুপগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে না? তাদের কী নারী উইং, শ্রমিক উইং নাই? থিংকট্যাংকগুলো নিজেরা নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য এসব মুখরোচক কথা বলেন। জুলাই সনদে সবকিছুই এসেছে। যেসব শাসনতান্ত্রিক বিষয় পত্রিকায় এসেছে আপনারা দেখছেন, কিন্তু অন্যান্য বিষয় সবই এসেছে। যদি ভাবেন আমরা ৯ মাসে সব ঠিক করে ফেলবো, সেটা হয় না।

নির্বাচনের পর নতুন করে সংলাপ হতে পারে মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, নেপালে দেখেন, তাদের বিপ্লবপরবর্তী সংবিধান করতে ৯ বছর লেগে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ একটা আরো উন্নত শাসনতন্ত্র চায়, একটা ভালো শাসনব্যবস্থা চায়, এখানে জবাবদিহি থাকবে, দুর্নীতি থাকবে না। সেটাকে একদিনে সংলাপ করে আমরা পাবো না। এটা একটা অভূতপূর্ব সংলাপ হয়েছে, আমাদের রাজনৈতিকদলগুলো সুচিন্তিত মতামত দিয়েছে, চার হাজার পাতা এটা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অনেকেই ভাবছেন, এই আলাপ একদিনে কেন সম্ভব না, আসলেই সম্ভব না। তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ দেশে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। আমাদের চ্যালেঞ্জ কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জুলাই যে আন্দোলন সেটা প্রথম শুরু হলো কর্মসংস্থান নিয়ে। লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। এমন সময় সেটা করতে হবে যেখানে আগ্রাসী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসছে আপনার চাকরি কেড়ে নেওয়ার জন্য।

প্রেস সচিব বলেন, লজিস্টিক আর অবকাঠামো নিয়ে আগামী সরকারের চ্যালেঞ্জ আছে। আমাদের প্রবৃদ্ধির জন্য এই অবকাঠামো দিয়ে টিকতে পারবো? আমরা ভুল জায়গায়…গোপালগঞ্জ কাশিয়ানি রেললাইন বানিয়ে রেখেছি। কেউ চড়ে না। পাবনা থেকে একটা রেল লাইন করা হয়েছে কেউ চড়ে না। যেখানে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হাই স্পিড রেললাইন করা দরকার বা একটা এলিভেটেড এক্সপ্রেওয়ে দরকার, সেটা আমরা করেছি ঢাকা থেকে খুলনা। এটা কি গ্রোথ এরিয়া? এটা করা হয়েছে, যাতে গোপালগঞ্জকে স্পর্শ করে যাওয়া যায়। ৫ বিলিয়ন ডলার এবং তার পক্ষের সাংবাদিকরা সে সময় প্রশংসা করেছেন– দক্ষিণ বাংলাদেশ গ্রোথে ভরে যাবে, কই কিছু হয়েছে? কয়টা কারখানা গিয়েছে সেখানে? আমরা সারা জীবন দেখছি, গ্রোথ করিডোর ঢাকা-চট্টগ্রাম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটা গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, পাঁচ বছর পর ১০ কিলোমিটারও দিতে পারবে না। গ্রোথ এই এলাকায়, গ্রোথ তো গোপালগঞ্জে না।

শফিকুল আলম বলেন, আমরা চাচ্ছি, এমন একটা রাজনৈতিক সমঝোতা করা যাতে সে ডানপন্থি হোক বা বামপন্থি, সে যেন গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল থাকে। এটাকে নিশ্চিত করা। না হলে দেশের বাইরে সঠিক বার্তা যাবে না। সঠিক বার্তা না গেলে এখানে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আসবে না। আর এফডিআই না হলে কর্মসংস্থান বাড়বে না।

নির্বাচনী ইশতেহারে থাকা ৪ দুর্বলতার কথা জানালো ট্রেস কনসাল্টিং লি.: রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানত চারটি দুর্বলতা রয়েছে বলে মনে করেন পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ট্রেস কনসাল্টিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফুয়াদ মোহাম্মদ খালেদ হাসান।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ট্রেস কাউন্সাল্টিং আয়োজিত ‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক এক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় তিনি এ তথ্য জানান। ফুয়াদ মোহাম্মদ খালেদ হাসান বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহার ঘোষণা করার ক্ষেত্রে ৪টি প্রধান দুর্বলতা রয়েছে। সেগুলো হলো, জনগণের সরাসরি মতামত না নেওয়া, পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর আসনের জন্য নির্দিষ্ট সুবিধা না রাখা, ব্যবসায়িক ও কৃষি অঞ্চলকে বিশেষ গুরুত্ব না দেওয়া এবং ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি রক্ষার হার কম হওয়া।

রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন ফুয়দ মোহাম্মদ খালেদ হাসান।

সংলাপে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি সাইফুল হক, ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব মো. আকতার হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য জেসমিন তুলি এবং বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মাদ হাতেম।

সানা/এসি/আপ্র/০৮/১১/২০২৫