ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সন্ধ্যা রায়

  • আপডেট সময় : ১২:১৯:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক: সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন কলকাতার অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। আনন্দবাজার লিখেছে, বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার উডসল্যান্ড হাসপাতালে গত ১৫ জুন ভর্তি হন এই অভিনেত্রী। এরপর তিন জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি টিমের তত্ত্বাবধানে এই অভিনেত্রীর চিকিৎসা শুরু হয়। প্রথম দুদিন তার অবস্থা ‘অস্থিতিশীল’ থাকলেও নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেই অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা রায়কে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। তিনি খাওয়াদাওয়া করেছেন স্বাভাবিকভাবে। পরে বিপদ কাটিয়ে উঠলে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। সন্ধ্যা রায়ের বয়স হয়েছে ৭৮ বছর। গত শতকের ষাট ও সত্তরের দশকে অনুপ কুমার-সন্ধ্যা রায় জুটি বাংলা চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় ছিল।
১৬ বছর বয়সে সিনেমা জগতে পা রাখেন সন্ধ্যা। তার প্রথম সিনেমা ‘মামলার ফল’ মুক্তি পায় ১৯৫৭ সালে। সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ এবং তরুণ মজুমদারের ‘ঠগিনি’ এ অভিনেত্রীর অন্যতম কাজ। এছাড়া ‘বাবা তারকনাথ’, ‘দাদার কীর্তি’ , ‘ছোট বউ’, ‘মায়া মৃগয়া’, ‘কঠিন মায়া’, ‘বন্ধন’, ‘পলাতক’, ‘তিন অধ্যায়’, ‘আলোর পিপাসা’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘সংসার সীমান্তে’, ‘নিমন্ত্রণ’সহ আরও অনেক সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। সন্ধ্যা রায়ের পরিবারের আদিবাস ছিল বাংলাদেশের যশোরের বেজপাড়ায়। তিনি বিয়ে করেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারকে। ২০১৪ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর আসনে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচন করে জয়ী হন সন্ধ্যা রায়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সন্ধ্যা রায়

আপডেট সময় : ১২:১৯:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

বিনোদন প্রতিবেদক: সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন কলকাতার অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। আনন্দবাজার লিখেছে, বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার উডসল্যান্ড হাসপাতালে গত ১৫ জুন ভর্তি হন এই অভিনেত্রী। এরপর তিন জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি টিমের তত্ত্বাবধানে এই অভিনেত্রীর চিকিৎসা শুরু হয়। প্রথম দুদিন তার অবস্থা ‘অস্থিতিশীল’ থাকলেও নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেই অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা রায়কে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। তিনি খাওয়াদাওয়া করেছেন স্বাভাবিকভাবে। পরে বিপদ কাটিয়ে উঠলে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। সন্ধ্যা রায়ের বয়স হয়েছে ৭৮ বছর। গত শতকের ষাট ও সত্তরের দশকে অনুপ কুমার-সন্ধ্যা রায় জুটি বাংলা চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় ছিল।
১৬ বছর বয়সে সিনেমা জগতে পা রাখেন সন্ধ্যা। তার প্রথম সিনেমা ‘মামলার ফল’ মুক্তি পায় ১৯৫৭ সালে। সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ এবং তরুণ মজুমদারের ‘ঠগিনি’ এ অভিনেত্রীর অন্যতম কাজ। এছাড়া ‘বাবা তারকনাথ’, ‘দাদার কীর্তি’ , ‘ছোট বউ’, ‘মায়া মৃগয়া’, ‘কঠিন মায়া’, ‘বন্ধন’, ‘পলাতক’, ‘তিন অধ্যায়’, ‘আলোর পিপাসা’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘সংসার সীমান্তে’, ‘নিমন্ত্রণ’সহ আরও অনেক সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। সন্ধ্যা রায়ের পরিবারের আদিবাস ছিল বাংলাদেশের যশোরের বেজপাড়ায়। তিনি বিয়ে করেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারকে। ২০১৪ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর আসনে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচন করে জয়ী হন সন্ধ্যা রায়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন।