বিনোদন ডেস্ক: পাঁচদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ‘রেস’ তারকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। খবর এনডিটিভির। এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৫৪ বছরের সাইফ আলী খান এখনো হাসপাতাল থেকে বের হননি। কারণ তার মা-প্রবীণ অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে তাকে সাহায্য করছেন।
সাইফ আলী খানের স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান হাসপাতালে ছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে তিনি বাড়ি চলে গেছেন। আগামী সাতদিন সাইফ আলী খানকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে কোনো ভিজিটর অনুমতি না দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে সাইফ আলী খানকে।
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন সকালে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয় সাইফকে।
এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার অভিযোগে মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদ ওরফে বিজয় দাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। গত ১৯ জানুয়ারি ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। আদালত তাকে পাঁচদিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন শেহজাদ। গ্রেপ্তারের পরই মুম্বাই পুলিশ দাবি করে, “শেহজাদ বাংলাদেশের নাগরিক।” কিন্তু শেহজাদের আইনজীবীর দাবি, “এ তথ্য সত্য নয়, মামলাটিকে পরিবর্তন করে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছে পুলিশ।” তবে পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।