ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন দুই ছিন্নমূল

  • আপডেট সময় : ০২:১৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা : ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ভবনের পাঁচ ও ছয় তলায় কোটা আন্দোলনে আহত রোগীদের রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ভবনের পাঁচ ও ছয় তলায় কোটা আন্দোলনে আহত রোগীদের রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চাশোর্ধ্ব বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম। নেই পিতৃ পরিচয় কিংবা বাসস্থান। ছোটবেলা থেকে অন্যের দুয়ারে দুয়ারে চেয়ে-চিন্তে বড় হয়েছেন। পাড়া-মহল্লার মসজিদের এক ইমাম তার নাম রেখেছিলেন মরিয়ম। পরিচয় হিসেবে এতটুকুই জানেন তিনি। দিনমজুরের কাজ করে দু’বেলা ভাত খেতেন। গত ২১ জুলাই এক গার্মেন্টসের ময়লা ফেলতে মালিবাগ রেলগেট এলাকায় যান মরিয়ম। সেখানে কোটা আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় তার ডান পায়ে গুলি লাগে। এরপর কয়েকজন পথচারী তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মরিয়মের পায়ে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হলেও পায়ের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় রড লাগিয়ে রেখেছেন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ভবনের গ্রিন ইউনিটের ৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। তাকে ওষুধ কিনে দেওয়া, খাবার খাইয়ে দেওয়া কিংবা টয়লেটে নিয়ে যাওয়া মতো কেউ নেই তার পাশে। হাসপাতালের নার্স, ওয়ার্ড বয় অথবা চিকিৎসকরাই তার ভরসা। শুধু মরিয়ম নয়, তার মতো আরও এক হতভাগা আলামিনও (৩৬) ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) বিকালে রিকশা নিয়ে যাওয়ার সময় রামপুরা থানার সামনে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন আলামিন। একটি গুলি তার বাম পা ভেদ করে বেরিয়ে যায়, আরেকটি গুলি ডান পায়ের হাড়ে আটকে থাকে। ঢামেকের বার্ন ইউনিট ভবনের পাঁচতলায় ৫০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন। গত রবিবার (১৮ আগস্ট) তার ডান পায়ে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়। ডাক্তার জানিয়েছেন তার একটি পা আর স্বাভাবিক হবে না। সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ভবনের পাঁচ ও ছয় তলায় কোটা আন্দোলনে আহত রোগীদের রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে পাঁচতলায় ৫০৩ নম্বর (পুরুষ) ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বিছানায় শুয়ে ব্যথা-যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন আলামিন। তাকে সান্ত্বনা কিংবা পানি খাইয়ে দেওয়া মতো তার পাশে কেউ নেই।
জানতে চাইলে আলামিন বলেন, কে তার বাবা-মা, কোথায় তার পিতৃস্থান! কিছুই তিনি জানেন না। ছোটবেলা থেকে ফুটপাতে বড় হয়েছেন। মানুষের ফেলে দেওয়া খাবার কুড়িয়ে খেয়েছেন। হোটেলে থালা-বাসন মাজা, হকারি এমনকি ময়লা পরিষ্কারের কাজও করেছেন। জীবনের অনেক সংগ্রামের পর ৯ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন আলামিন। দুই বছরের মাথায় তার সংসার ভেঙ্গে যায়। তাদের একটি কন্যা সন্তান রেখে স্ত্রী অন্যত্র চলে যায়। এরপর থেকে আলামিন তার মেয়ে মীমকে একটি আবাসিক মাদ্রাসায় রেখে পড়াশোনা করাচ্ছেন। বর্তমানে তার মেয়ে মীমের বয়স ৮ বছর। আলামিন আরও বলেন, জীবিকার তাগিদে অনেক কষ্ট করে একটি রিকশা কিনেছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়া দিন সেটিও হারিয়েছেন, সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনেরও কোনও খোঁজ নেই। তিনি যে মেসে থাকতেন সেখানের ম্যানেজারের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার করে চিকিৎসা চালাচ্ছেন। তাকে ওষুধ নিয়ে দেওয়া কিংবা একটু খাবার এনে দেওয়ার মতো কেউ নেই তার পাশে। হাসপাতালের বিছায় শুয়ে কান্না করতে করতে আলামিন বলছিলেন, ‘এই জীবন থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। কেন পঙ্গু হয়ে গেলাম। এই পৃথিবীতে আমার কেউ নেই। এখন আমার মেয়েটার কী হবে? কে দেখবে তাকে, কে দাঁড়াবে আমার মেয়ের পাশে।’ একই ফ্লোরের গ্রিন ইউনিটের বারান্দায় ৮ নম্বর শয্যায় দেখা মেলে আরেক ছিন্নমূল বৃদ্ধা মরিয়মের। হাসপাতালের একটি কর্নারে তিনি শুয়ে আছেন। তার ডান পায়ে লোহার রড লাগানো। জানতে চাইলে মরিয়ম বলেন, ‘আমি মানুষের দুয়ারে দুয়ারে বড় হইছি। একটি মাদ্রাসার হুজুর আমার নাম রাখছিল মরিয়ম। এর বাইরে নিজের পরিচয় দেওয়ার মতো আর কিছু জানি না। ছোটবেলায় যে যা খেতে দিছে তাই খাইছি। একটু বড় হওয়ার পর দিনমজুরের কাজ করতে থাকি। কী করমু দুইবেলা তো খাওন লাগবো।’ মরিয়ম বলেন, ‘হাসপাতালে আসার পর থেকে এখানেই শুয়ে আছি। চলাফেরা করতে পারি না। বৃদ্ধা মানুষ হিসেবে হাসপাতালের স্টাফরা দেখভাল করে। এর বেশি আর কী চাইমু, কার কাছেই বা বলমু? যে মাহজনের সঙ্গে লেবারি (দিনমজুর) করতাম, তারা দুই-একবার হাসপাতালে আসছিল। তখন কিছু খাবার নিয়ে আসছিল। খুবই ভালা লাগছিল। এসব খাবার খাইতে মন চায়, কিন্তু মন চাইলে কী আর হইবো! টাকা থাকা লাগবো না! উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ত্রিমুখী ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে কয়েক হাজার। তাদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখনও সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে ২ হাজার ২০০ জন চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে ৭৮৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল। এখনও ১৪৪ জন আহত রোগী ভর্তি আছে। এরমধ্যে আইসিইউতে থাকা ৭ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১৬৫ জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে ৭৬ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। বাকিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন দুই ছিন্নমূল

আপডেট সময় : ০২:১৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

বিশেষ সংবাদদাতা : ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ভবনের পাঁচ ও ছয় তলায় কোটা আন্দোলনে আহত রোগীদের রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ভবনের পাঁচ ও ছয় তলায় কোটা আন্দোলনে আহত রোগীদের রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চাশোর্ধ্ব বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম। নেই পিতৃ পরিচয় কিংবা বাসস্থান। ছোটবেলা থেকে অন্যের দুয়ারে দুয়ারে চেয়ে-চিন্তে বড় হয়েছেন। পাড়া-মহল্লার মসজিদের এক ইমাম তার নাম রেখেছিলেন মরিয়ম। পরিচয় হিসেবে এতটুকুই জানেন তিনি। দিনমজুরের কাজ করে দু’বেলা ভাত খেতেন। গত ২১ জুলাই এক গার্মেন্টসের ময়লা ফেলতে মালিবাগ রেলগেট এলাকায় যান মরিয়ম। সেখানে কোটা আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় তার ডান পায়ে গুলি লাগে। এরপর কয়েকজন পথচারী তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মরিয়মের পায়ে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হলেও পায়ের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় রড লাগিয়ে রেখেছেন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ভবনের গ্রিন ইউনিটের ৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। তাকে ওষুধ কিনে দেওয়া, খাবার খাইয়ে দেওয়া কিংবা টয়লেটে নিয়ে যাওয়া মতো কেউ নেই তার পাশে। হাসপাতালের নার্স, ওয়ার্ড বয় অথবা চিকিৎসকরাই তার ভরসা। শুধু মরিয়ম নয়, তার মতো আরও এক হতভাগা আলামিনও (৩৬) ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) বিকালে রিকশা নিয়ে যাওয়ার সময় রামপুরা থানার সামনে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন আলামিন। একটি গুলি তার বাম পা ভেদ করে বেরিয়ে যায়, আরেকটি গুলি ডান পায়ের হাড়ে আটকে থাকে। ঢামেকের বার্ন ইউনিট ভবনের পাঁচতলায় ৫০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন। গত রবিবার (১৮ আগস্ট) তার ডান পায়ে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়। ডাক্তার জানিয়েছেন তার একটি পা আর স্বাভাবিক হবে না। সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ভবনের পাঁচ ও ছয় তলায় কোটা আন্দোলনে আহত রোগীদের রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে পাঁচতলায় ৫০৩ নম্বর (পুরুষ) ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বিছানায় শুয়ে ব্যথা-যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন আলামিন। তাকে সান্ত্বনা কিংবা পানি খাইয়ে দেওয়া মতো তার পাশে কেউ নেই।
জানতে চাইলে আলামিন বলেন, কে তার বাবা-মা, কোথায় তার পিতৃস্থান! কিছুই তিনি জানেন না। ছোটবেলা থেকে ফুটপাতে বড় হয়েছেন। মানুষের ফেলে দেওয়া খাবার কুড়িয়ে খেয়েছেন। হোটেলে থালা-বাসন মাজা, হকারি এমনকি ময়লা পরিষ্কারের কাজও করেছেন। জীবনের অনেক সংগ্রামের পর ৯ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন আলামিন। দুই বছরের মাথায় তার সংসার ভেঙ্গে যায়। তাদের একটি কন্যা সন্তান রেখে স্ত্রী অন্যত্র চলে যায়। এরপর থেকে আলামিন তার মেয়ে মীমকে একটি আবাসিক মাদ্রাসায় রেখে পড়াশোনা করাচ্ছেন। বর্তমানে তার মেয়ে মীমের বয়স ৮ বছর। আলামিন আরও বলেন, জীবিকার তাগিদে অনেক কষ্ট করে একটি রিকশা কিনেছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়া দিন সেটিও হারিয়েছেন, সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনেরও কোনও খোঁজ নেই। তিনি যে মেসে থাকতেন সেখানের ম্যানেজারের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার করে চিকিৎসা চালাচ্ছেন। তাকে ওষুধ নিয়ে দেওয়া কিংবা একটু খাবার এনে দেওয়ার মতো কেউ নেই তার পাশে। হাসপাতালের বিছায় শুয়ে কান্না করতে করতে আলামিন বলছিলেন, ‘এই জীবন থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। কেন পঙ্গু হয়ে গেলাম। এই পৃথিবীতে আমার কেউ নেই। এখন আমার মেয়েটার কী হবে? কে দেখবে তাকে, কে দাঁড়াবে আমার মেয়ের পাশে।’ একই ফ্লোরের গ্রিন ইউনিটের বারান্দায় ৮ নম্বর শয্যায় দেখা মেলে আরেক ছিন্নমূল বৃদ্ধা মরিয়মের। হাসপাতালের একটি কর্নারে তিনি শুয়ে আছেন। তার ডান পায়ে লোহার রড লাগানো। জানতে চাইলে মরিয়ম বলেন, ‘আমি মানুষের দুয়ারে দুয়ারে বড় হইছি। একটি মাদ্রাসার হুজুর আমার নাম রাখছিল মরিয়ম। এর বাইরে নিজের পরিচয় দেওয়ার মতো আর কিছু জানি না। ছোটবেলায় যে যা খেতে দিছে তাই খাইছি। একটু বড় হওয়ার পর দিনমজুরের কাজ করতে থাকি। কী করমু দুইবেলা তো খাওন লাগবো।’ মরিয়ম বলেন, ‘হাসপাতালে আসার পর থেকে এখানেই শুয়ে আছি। চলাফেরা করতে পারি না। বৃদ্ধা মানুষ হিসেবে হাসপাতালের স্টাফরা দেখভাল করে। এর বেশি আর কী চাইমু, কার কাছেই বা বলমু? যে মাহজনের সঙ্গে লেবারি (দিনমজুর) করতাম, তারা দুই-একবার হাসপাতালে আসছিল। তখন কিছু খাবার নিয়ে আসছিল। খুবই ভালা লাগছিল। এসব খাবার খাইতে মন চায়, কিন্তু মন চাইলে কী আর হইবো! টাকা থাকা লাগবো না! উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ত্রিমুখী ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে কয়েক হাজার। তাদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখনও সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে ২ হাজার ২০০ জন চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে ৭৮৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল। এখনও ১৪৪ জন আহত রোগী ভর্তি আছে। এরমধ্যে আইসিইউতে থাকা ৭ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১৬৫ জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে ৭৬ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। বাকিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।