ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

হালিতে ডিমের দাম কমলো ৫ টাকা

  • আপডেট সময় : ০২:৫২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। গত কয়েক দিন ধরে ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এ অবস্থায় বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দাম কমানোর স্বার্থে প্রয়োজন হলে ডিম আমদানি করা হবে। এমন বক্তব্যের পর একদিনের ব্যবধানে ডিমের দাম হালিতে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা কমেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাজারগুলোতে লাল ও সাদা ডিম বিক্রি হয় হালিপ্রতি ৫০ টাকা করে। যা বুধবার (১৭ আগস্ট) বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা হালিতে। কোথাও কোথাও বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা হালিতে। সেই হিসাবে খুচরা বাজারে একদিনের ব্যবধানে হালিপ্রতি ডিমের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। তবে যারা ডজন কিংবা এক কেস ডিম কিনছেন তারা আরও কম দামে কিনতে পারেন। এক্ষেত্রে ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় কিনতে পারেন তারা। মহাখালী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মুঞ্জু শেখ বলেন, ডিমের হালি বিক্রি করছি ৫০ টাকা। আগে ছিল ৫৫ টাকা। তিনি বলেন, তেজগাঁও আড়ত থেকে ডিম কম দামে কিনেছি। আমরাও তাই কম দামে বিক্রি করছি। খুব বেশি লাভ করি না, কেনা দামের সঙ্গে মিলিয়ে সীমিত লাভে বিক্রি করি। মধ্য বাড্ডা বাজারের ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম বলেন, হালিতে ডিমের দাম কমেছে ৫ টাকা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই দেশে একবার জিনিসের দাম বাড়লে সেটা কি সহজে কমে। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। তার ওপর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। ডিম আমদানি করা হবে বলে বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখন ডিমের দাম কমানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরাও চাই ডিমের দাম কমুক, কিন্তু আমাদের উপায় নেই। তিনি বলেন, ডিমের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি কমেছে। আমাদের ব্যবসাও কমেছে। বাজারগুলোতে লেয়ার মুরগির ডিমের দাম কমলেও দেশি মুরগি কিংবা হাঁসের ডিমের দাম কমেনি। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। মুদি দোকানি আফাজ উদ্দিন বলেন, দাম বাড়ার আগে প্রতিদিন ১০ কেস ডিম বিক্রি হতো। এখন বিক্রি হয় ৪-৫ কেস। দাম বাড়ায় অনেকে ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছে। আমাদের লস হচ্ছে। দেশের বাজারে ডিমের হালি ৫০ টাকা হলেও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কলকাতায় ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি টাকায় ২৫ টাকার আশপাশে (১ রুপি সমান ১ টাকা ২০ পয়সা ধরে)। পার্শ্ববর্তী আরেক দেশ পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি শহরে ফার্মের মুরগির ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০৮ পাকিস্তানি রুপি। যা বাংলাদেশি টাকায় ৯৪ টাকার মতো। সে হিসাবে প্রতি হালি ডিমের দাম দাঁড়ায় প্রায় ৩১ টাকা। অর্থাৎ কলকাতা ও রাওয়ালপিন্ডির তুলনায় ঢাকায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

হালিতে ডিমের দাম কমলো ৫ টাকা

আপডেট সময় : ০২:৫২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। গত কয়েক দিন ধরে ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এ অবস্থায় বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দাম কমানোর স্বার্থে প্রয়োজন হলে ডিম আমদানি করা হবে। এমন বক্তব্যের পর একদিনের ব্যবধানে ডিমের দাম হালিতে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা কমেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাজারগুলোতে লাল ও সাদা ডিম বিক্রি হয় হালিপ্রতি ৫০ টাকা করে। যা বুধবার (১৭ আগস্ট) বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা হালিতে। কোথাও কোথাও বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা হালিতে। সেই হিসাবে খুচরা বাজারে একদিনের ব্যবধানে হালিপ্রতি ডিমের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। তবে যারা ডজন কিংবা এক কেস ডিম কিনছেন তারা আরও কম দামে কিনতে পারেন। এক্ষেত্রে ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় কিনতে পারেন তারা। মহাখালী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মুঞ্জু শেখ বলেন, ডিমের হালি বিক্রি করছি ৫০ টাকা। আগে ছিল ৫৫ টাকা। তিনি বলেন, তেজগাঁও আড়ত থেকে ডিম কম দামে কিনেছি। আমরাও তাই কম দামে বিক্রি করছি। খুব বেশি লাভ করি না, কেনা দামের সঙ্গে মিলিয়ে সীমিত লাভে বিক্রি করি। মধ্য বাড্ডা বাজারের ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম বলেন, হালিতে ডিমের দাম কমেছে ৫ টাকা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই দেশে একবার জিনিসের দাম বাড়লে সেটা কি সহজে কমে। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। তার ওপর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। ডিম আমদানি করা হবে বলে বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখন ডিমের দাম কমানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরাও চাই ডিমের দাম কমুক, কিন্তু আমাদের উপায় নেই। তিনি বলেন, ডিমের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি কমেছে। আমাদের ব্যবসাও কমেছে। বাজারগুলোতে লেয়ার মুরগির ডিমের দাম কমলেও দেশি মুরগি কিংবা হাঁসের ডিমের দাম কমেনি। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। মুদি দোকানি আফাজ উদ্দিন বলেন, দাম বাড়ার আগে প্রতিদিন ১০ কেস ডিম বিক্রি হতো। এখন বিক্রি হয় ৪-৫ কেস। দাম বাড়ায় অনেকে ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছে। আমাদের লস হচ্ছে। দেশের বাজারে ডিমের হালি ৫০ টাকা হলেও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কলকাতায় ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি টাকায় ২৫ টাকার আশপাশে (১ রুপি সমান ১ টাকা ২০ পয়সা ধরে)। পার্শ্ববর্তী আরেক দেশ পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি শহরে ফার্মের মুরগির ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০৮ পাকিস্তানি রুপি। যা বাংলাদেশি টাকায় ৯৪ টাকার মতো। সে হিসাবে প্রতি হালি ডিমের দাম দাঁড়ায় প্রায় ৩১ টাকা। অর্থাৎ কলকাতা ও রাওয়ালপিন্ডির তুলনায় ঢাকায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম।