ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

হালকা ব্যায়ামেও কাটবে বিষণ্নতা

  • আপডেট সময় : ১০:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: কর্মচঞ্চল থাকা শরীর ও মনের জন্য ভালো। এর ফলে মানসিক চাপ কমে। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে- পঞ্চাশোর্ধদের মধ্যে যারা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা দীর্ঘ কোনো রোগের কারণে বিষণ্নতায় ভোগেন, তারা যদি সপ্তাহে পাঁচদিন অল্প করে হলেও ২০ মিনিটের শারীরিক কর্মকা- চালান তবে উপকার পাওয়া যায়। ‘ডায়াবেটিস ইউকে’র তথ্যানুসারে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের বিষণ্নতায় ভোগার মাত্রা দ্বিগুন। আয়ারল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অফ লিমারিক’য়ের ‘ফিজিকাল অ্যাক্টিভিটি ফর হেল্থ রিসার্চ সেন্টার’য়ের গবেষক ও এই গবেষণার প্রধান এইমন লেয়্যর্ড সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “গবেষণার ক্ষেত্রে যাদের দীর্ঘকালীন রোগ নেই তাদের প্রতিদিন দুই ঘণ্টা মাঝারি মাত্রায় ‘ভিগোরাস’ বা বলিষ্ঠ ব্যায়াম করার প্রয়োজন ছিল।” যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রিয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা জানাচ্ছে- মাঝারি মাত্রার শারীরিক কসরত হল, যেখানে শ্বাস নিতে হয় বা হাঁপাতে হয় কথা বলার সময়। এই ধরনের শরীরচর্চার মধ্যে আছে দ্রুত হাঁটা, সাইকেল চালানো, নাচ, টেনিস খেলা, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা। আর এই মাত্রা যদি বাড়িয়ে ‘ভিগোরাস’ পর্যায়ে নেওয়া হয় তবে সেসবের মধ্যে আসবে- জগিং বা দৌড়ানো- যেখানে দ্রুত শ্বাস নেওয়ার পাশাপাশি হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে ব্যায়াম করার সময়ের মাত্রা কমতে পারে। লেয়্যর্ড বলেন, “আমরা কোনো জনগষ্ঠিকে তাদের নিজস্ব শারীরিক কর্মকা-ের বাইরে কিছু করার পরামর্শ দিচ্ছি না। তবে আমাদের কথা হল- প্রয়োজনের তুলনায় অল্প ব্যায়াম করলেও সময়ের সাথে বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্যে নিরাপত্তা দেওয়া যায়।”
‘জামা নেটওয়ার্ক ওপেন’ অনলাইন সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণার জন্য ৪ হাজার আইরিশ পূর্ণবয়স্কের ওপর ১০ বছর পর্যালোচনা করা হয়; যাদের বয়স গড়ে ছিল ৬১ বছর। এই অংশগ্রহণকারীদের বাছাই করা হয়েছে যারা ‘আইরিশ লনজিটিউডেনল স্টাডি অন এইজিং’য়ে অংশ নিয়েছেন, আর এই তথ্য প্রতি দুই বছর পর পর পুর্ণমূল্যায়ন করা হয়। বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীরা যত বেশি শরীরচর্চায় অংশ নিয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের ততই উন্নতি হতে দেখা গেছে। যারা সপ্তাহের প্রতিদিন মাঝারি মাত্রায় ২০ মিনিট ব্যায়াম করেছেন তাদের বিষ্ণণ্নতার মাত্রা কমেছে ১৬ শতাংশ। আর যারা ব্যায়াম করেনি তাদের তুলনায় বিষণ্নতার মাত্রা কমেছে ৪৯ শতাংশ।
লেয়্যর্ড বলেন, “এই ফলাফলে আসলে আমরা অবাক হইনি। আগের করা বিভিন্ন গবেষণাতেও একই রকম ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।” ‘জামা সাইকিয়াট্রি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ২০২২ সালে করার গবেষণার ফলাফল বলে- সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টা দ্রুত হাঁটার ব্যায়াম করলে বিষণ্নতার মাত্রা ২৫ শতাংশ কমানো যায়। ব্যায়াম শুধু শারীরিক উপকার নয় মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরেও চমৎকার প্রভাব ফেলে। এর সঙ্গে বেশি পরিমাণে উদ্ভিজ্জ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমে অভ্যস্ত হলে ফুরেফুরে থাকতে জাদুর মতো কাজ করে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

হালকা ব্যায়ামেও কাটবে বিষণ্নতা

আপডেট সময় : ১০:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: কর্মচঞ্চল থাকা শরীর ও মনের জন্য ভালো। এর ফলে মানসিক চাপ কমে। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে- পঞ্চাশোর্ধদের মধ্যে যারা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা দীর্ঘ কোনো রোগের কারণে বিষণ্নতায় ভোগেন, তারা যদি সপ্তাহে পাঁচদিন অল্প করে হলেও ২০ মিনিটের শারীরিক কর্মকা- চালান তবে উপকার পাওয়া যায়। ‘ডায়াবেটিস ইউকে’র তথ্যানুসারে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের বিষণ্নতায় ভোগার মাত্রা দ্বিগুন। আয়ারল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অফ লিমারিক’য়ের ‘ফিজিকাল অ্যাক্টিভিটি ফর হেল্থ রিসার্চ সেন্টার’য়ের গবেষক ও এই গবেষণার প্রধান এইমন লেয়্যর্ড সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “গবেষণার ক্ষেত্রে যাদের দীর্ঘকালীন রোগ নেই তাদের প্রতিদিন দুই ঘণ্টা মাঝারি মাত্রায় ‘ভিগোরাস’ বা বলিষ্ঠ ব্যায়াম করার প্রয়োজন ছিল।” যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রিয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা জানাচ্ছে- মাঝারি মাত্রার শারীরিক কসরত হল, যেখানে শ্বাস নিতে হয় বা হাঁপাতে হয় কথা বলার সময়। এই ধরনের শরীরচর্চার মধ্যে আছে দ্রুত হাঁটা, সাইকেল চালানো, নাচ, টেনিস খেলা, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা। আর এই মাত্রা যদি বাড়িয়ে ‘ভিগোরাস’ পর্যায়ে নেওয়া হয় তবে সেসবের মধ্যে আসবে- জগিং বা দৌড়ানো- যেখানে দ্রুত শ্বাস নেওয়ার পাশাপাশি হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে ব্যায়াম করার সময়ের মাত্রা কমতে পারে। লেয়্যর্ড বলেন, “আমরা কোনো জনগষ্ঠিকে তাদের নিজস্ব শারীরিক কর্মকা-ের বাইরে কিছু করার পরামর্শ দিচ্ছি না। তবে আমাদের কথা হল- প্রয়োজনের তুলনায় অল্প ব্যায়াম করলেও সময়ের সাথে বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্যে নিরাপত্তা দেওয়া যায়।”
‘জামা নেটওয়ার্ক ওপেন’ অনলাইন সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণার জন্য ৪ হাজার আইরিশ পূর্ণবয়স্কের ওপর ১০ বছর পর্যালোচনা করা হয়; যাদের বয়স গড়ে ছিল ৬১ বছর। এই অংশগ্রহণকারীদের বাছাই করা হয়েছে যারা ‘আইরিশ লনজিটিউডেনল স্টাডি অন এইজিং’য়ে অংশ নিয়েছেন, আর এই তথ্য প্রতি দুই বছর পর পর পুর্ণমূল্যায়ন করা হয়। বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীরা যত বেশি শরীরচর্চায় অংশ নিয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের ততই উন্নতি হতে দেখা গেছে। যারা সপ্তাহের প্রতিদিন মাঝারি মাত্রায় ২০ মিনিট ব্যায়াম করেছেন তাদের বিষ্ণণ্নতার মাত্রা কমেছে ১৬ শতাংশ। আর যারা ব্যায়াম করেনি তাদের তুলনায় বিষণ্নতার মাত্রা কমেছে ৪৯ শতাংশ।
লেয়্যর্ড বলেন, “এই ফলাফলে আসলে আমরা অবাক হইনি। আগের করা বিভিন্ন গবেষণাতেও একই রকম ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।” ‘জামা সাইকিয়াট্রি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ২০২২ সালে করার গবেষণার ফলাফল বলে- সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টা দ্রুত হাঁটার ব্যায়াম করলে বিষণ্নতার মাত্রা ২৫ শতাংশ কমানো যায়। ব্যায়াম শুধু শারীরিক উপকার নয় মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরেও চমৎকার প্রভাব ফেলে। এর সঙ্গে বেশি পরিমাণে উদ্ভিজ্জ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমে অভ্যস্ত হলে ফুরেফুরে থাকতে জাদুর মতো কাজ করে।