ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

হার্টের সুস্থতায় যে তেল নিরাপদ

  • আপডেট সময় : ০৮:০২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: সম্প্রতি অনেক কমবয়সী মানুষ ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হার্ট-অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসে সতর্ক না থাকলে, বাইরের তেলেভাজা, প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার, বাড়ির তেল সবই হার্টের জন্য হুমকি। শুধু বাড়ির খাবারই নয়, রান্নায় ব্যবহৃত তেল-এর ধরনও এখন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদদের মতে, হার্টের রোগ প্রতিরোধে এমন তেল বেছে নিতে হবে যা: আনরিফাইন্ড (অপরিশোধিত), স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট আইটেমে খুবই কম, মোনো- ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি। এসব ফ্যাট হার্ট-বন্ধ ও স্নায়ুবিক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

প্রস্তাবিত তিনটি নিরাপদ তেল-

অলিভ তেল: এতে মোনো এবং পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে; যা খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে দেয় না।

বাদাম তেল: চিনাবাদামের তেল ট্রান্স ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটে কম, ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে বাদামে অ্যালার্জি আছে- এসব মানুয়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সরিষার তেল: অনেকেই মনে করেন সরিষার তেল হার্টের রোগীদের উপযোগী নয়। তবে এতে ফ্যাট যেমন বেশি, তেমন রাসায়নিক ইউরিসিক অ্যাসিডের মাত্রাও থাকতে পারে। তাই পর পর মাত্রায় ব্যবহারে সুবিধা, বিশেষ করে যারা গাঁটে ব্যথায় ভোগেন। এই তিন তেলের নিয়মিত ব্যবহার খারাপ কোলেস্টেরল কমায়, ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং তেলেভাজা এড়ালে শরীরে প্রদাহও কম হয়।

পরিমাণ ও সতর্কতা: তেল স্বাস্থ্যকর হলেও অতিরিক্ত হলে ফল বিপরীত- তেলেভাজা কিংবা বেশি পরিমাণ তেলে রান্না করলে হার্ট রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই পরিমাণ রাখা জরুরি। পুরুষদের দৈনন্দিন রান্নায় ৪-৫ চা-চামচ, নারূদের জন্য ৩-৪ চা চামচ তেল যথেষ্ট।

বাহ্যিক তেল, ভাজাভুজি ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে কমানো জরুরি। আনরিফাইন্ড অলিভ, বাদাম ও সরিষার তেল নিরাপদ ও উপকারী। তবে শুধু তেলের নির্বাচনে জোর না দিয়ে পরিমাণ ও খাদ্য তালিকায় সামগ্রিক পরিবর্তন রাখতে হবে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হার্টের সুস্থতায় যে তেল নিরাপদ

আপডেট সময় : ০৮:০২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: সম্প্রতি অনেক কমবয়সী মানুষ ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হার্ট-অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসে সতর্ক না থাকলে, বাইরের তেলেভাজা, প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার, বাড়ির তেল সবই হার্টের জন্য হুমকি। শুধু বাড়ির খাবারই নয়, রান্নায় ব্যবহৃত তেল-এর ধরনও এখন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদদের মতে, হার্টের রোগ প্রতিরোধে এমন তেল বেছে নিতে হবে যা: আনরিফাইন্ড (অপরিশোধিত), স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট আইটেমে খুবই কম, মোনো- ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি। এসব ফ্যাট হার্ট-বন্ধ ও স্নায়ুবিক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

প্রস্তাবিত তিনটি নিরাপদ তেল-

অলিভ তেল: এতে মোনো এবং পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে; যা খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে দেয় না।

বাদাম তেল: চিনাবাদামের তেল ট্রান্স ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটে কম, ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে বাদামে অ্যালার্জি আছে- এসব মানুয়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সরিষার তেল: অনেকেই মনে করেন সরিষার তেল হার্টের রোগীদের উপযোগী নয়। তবে এতে ফ্যাট যেমন বেশি, তেমন রাসায়নিক ইউরিসিক অ্যাসিডের মাত্রাও থাকতে পারে। তাই পর পর মাত্রায় ব্যবহারে সুবিধা, বিশেষ করে যারা গাঁটে ব্যথায় ভোগেন। এই তিন তেলের নিয়মিত ব্যবহার খারাপ কোলেস্টেরল কমায়, ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং তেলেভাজা এড়ালে শরীরে প্রদাহও কম হয়।

পরিমাণ ও সতর্কতা: তেল স্বাস্থ্যকর হলেও অতিরিক্ত হলে ফল বিপরীত- তেলেভাজা কিংবা বেশি পরিমাণ তেলে রান্না করলে হার্ট রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই পরিমাণ রাখা জরুরি। পুরুষদের দৈনন্দিন রান্নায় ৪-৫ চা-চামচ, নারূদের জন্য ৩-৪ চা চামচ তেল যথেষ্ট।

বাহ্যিক তেল, ভাজাভুজি ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে কমানো জরুরি। আনরিফাইন্ড অলিভ, বাদাম ও সরিষার তেল নিরাপদ ও উপকারী। তবে শুধু তেলের নির্বাচনে জোর না দিয়ে পরিমাণ ও খাদ্য তালিকায় সামগ্রিক পরিবর্তন রাখতে হবে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ