ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

হারিয়ে যাচ্ছে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সামাজিক বন্ধনের নবান্ন উৎসব

  • আপডেট সময় : ০৭:৩০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ক্যালেন্ডারের পাতায় অগ্রহায়ণ মানেই এক সময় গ্রাম বাংলায় ছিল উৎসবের আমেজ। কিন্তু ওই আমেজ এখন কেবলই স্মৃতি। আজকের প্রজন্মের কাছে ‘নবান্ন’ শব্দটি শুধুই পাঠ্যবইয়ের পাতা কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় সীমাবদ্ধ। মাঠে নতুন ধান উঠছে ঠিকই, কৃষকের চোখে-মুখে হাসিও আছে। অথচ নেই ওই প্রাণচাঞ্চল্য আর নবান্ন উৎসবের চিরায়ত অপেক্ষা। কালের বিবর্তন, আধুনিকতার যান্ত্রিকতা এবং ধর্মীয় কিছু ব্যাখ্যার বেড়াজালে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য নবান্ন আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।

হেমন্তের শেষে শীতের আগমনী বার্তার মধ্যেই কৃষক ব্যস্ত সোনালি ফসল ঘরে তুলতে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের ঘরে আশার আলো ফিরলেও নেই উৎসবের সেই পুরোনো রং। এক সময় ধান কাটা শেষ হওয়ামাত্রই গ্রামজুড়ে শুরু হতো পিঠা-পায়েসের আয়োজন। আত্মীয়-স্বজনের পদচারণায় মুখর হতো গৃহস্থের উঠান। কিন্তু এখন সেসব দৃশ্য শুধুই কল্পনা।

গ্রামের মাঠে সোনালি ধান হাওয়ায় দুলছে, কৃষকের গোলা ভরছে ফসলে। তবে নবান্নের ওই সর্বজনীন উৎসবের উচ্ছ্বাস আর নেই। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা আর যান্ত্রিক ব্যস্ততায় বাঙালির শিকড়ের এই চিরন্তন ঐতিহ্য আজ ইতিহাসের পাতায় আশ্রয় নিচ্ছে। কৃষকরা বলছেন- ধান আছে, চাল আছে। কিন্তু ‘আগের সেই আনন্দ আর নাই’।

শুধু উৎসব নয়, নবান্ন কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সামাজিক বন্ধন ছিল; তাও শিথিল হয়ে গেছে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

হারিয়ে যাচ্ছে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সামাজিক বন্ধনের নবান্ন উৎসব

আপডেট সময় : ০৭:৩০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ক্যালেন্ডারের পাতায় অগ্রহায়ণ মানেই এক সময় গ্রাম বাংলায় ছিল উৎসবের আমেজ। কিন্তু ওই আমেজ এখন কেবলই স্মৃতি। আজকের প্রজন্মের কাছে ‘নবান্ন’ শব্দটি শুধুই পাঠ্যবইয়ের পাতা কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় সীমাবদ্ধ। মাঠে নতুন ধান উঠছে ঠিকই, কৃষকের চোখে-মুখে হাসিও আছে। অথচ নেই ওই প্রাণচাঞ্চল্য আর নবান্ন উৎসবের চিরায়ত অপেক্ষা। কালের বিবর্তন, আধুনিকতার যান্ত্রিকতা এবং ধর্মীয় কিছু ব্যাখ্যার বেড়াজালে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য নবান্ন আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।

হেমন্তের শেষে শীতের আগমনী বার্তার মধ্যেই কৃষক ব্যস্ত সোনালি ফসল ঘরে তুলতে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের ঘরে আশার আলো ফিরলেও নেই উৎসবের সেই পুরোনো রং। এক সময় ধান কাটা শেষ হওয়ামাত্রই গ্রামজুড়ে শুরু হতো পিঠা-পায়েসের আয়োজন। আত্মীয়-স্বজনের পদচারণায় মুখর হতো গৃহস্থের উঠান। কিন্তু এখন সেসব দৃশ্য শুধুই কল্পনা।

গ্রামের মাঠে সোনালি ধান হাওয়ায় দুলছে, কৃষকের গোলা ভরছে ফসলে। তবে নবান্নের ওই সর্বজনীন উৎসবের উচ্ছ্বাস আর নেই। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা আর যান্ত্রিক ব্যস্ততায় বাঙালির শিকড়ের এই চিরন্তন ঐতিহ্য আজ ইতিহাসের পাতায় আশ্রয় নিচ্ছে। কৃষকরা বলছেন- ধান আছে, চাল আছে। কিন্তু ‘আগের সেই আনন্দ আর নাই’।

শুধু উৎসব নয়, নবান্ন কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সামাজিক বন্ধন ছিল; তাও শিথিল হয়ে গেছে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ