প্রযুক্তি ডেস্ক : সংযোগ হারানো মহাকাশযান ‘ভয়েজার ২’ থেকে ‘হৃদ স্পন্দন’-এর সংকেত শুনতে পাওয়ার কথা জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে, মহাকাশে এর অবস্থান এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই সপ্তাহান্তে নাসা ঘোষণা দেয়, ১৯৭৭ সালে উৎক্ষেপিত নভোযানটির সঙ্গে তারা যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে। আর এটি ‘ঘোরাঘুরি’ করছে সৌরজগতের প্রান্তসীমায়। মূলত নভোযানটিকে ‘অসাবধানতাবশত’ একটি বার্তা পাঠায় মহাকাশ সংস্থাটি, যেখানে এর অ্যান্টেনাকে পৃথিবী থেকে দুই ডিগ্রি ঘোরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ঘোরানোর মানে দাঁড়ায়, বিভিন্ন দূরবর্তী মহাকাশযানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে তৈরি ‘ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক’ বা ‘ডিএসএন’ নামের ভূপৃষ্ঠের অ্যান্টেনাগুলোর সঙ্গে মহাকাশযানটি সংযোগ হারিয়ে ফেলেছে। সংস্থাটির প্রকৌশলদের শঙ্কা ছিল, তারা অক্টোবর শুরুর আগ পর্যন্ত ‘ভয়েজার ২’ থেকে কোনো সংকেত আসবে না। পরবর্তীতে, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘নিজেকে গুছিয়ে’ পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে। সংস্থাটি আশা করেছে, সে সময় তাদের সঙ্গে এটি পুনরায় যোগাযোগ করবে। শেষ পর্যন্ত নভোযানটি থেকে ‘সংকেত’ পেয়েছে নাসা। এর বিপরীতে, সংস্থাটি নিজেও সংকেত ফেরত পাঠিয়েছে। ডিএসএন-এর সহায়তায় আকাশেও স্ক্যানিং করছে সংস্থাটি। এই সংকেতকে ‘হৃদ স্পন্দনের’ সঙ্গে তুলনা করেছে নাসা। আর এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে মহাকাশযানটি এখনও নিরাপদ রয়েছে ও পৃথিবীতে বার্তা পাঠানোর মতো অবস্থায় আছে। তবে, নাসার বিভিন্ন নির্দেশিকা হয়ত নভোযানটির কাছে পৌঁছাবে না। এমনটি ঘটলে প্রকৌশলীরা ‘নিজ ভুল সংশোধনের সুযোগ’ পাবেন না বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’। এর মানে দাঁড়ায়, অক্টোবরের আগ পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, সে সময় নিজস্ব সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘রিসেট’ করে নিজের গতিবিধি বদলে পৃথিবীর দিকে ফেরত আসবে নভোযানটি।