ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

হামাস সদস্যদের খুঁজে খুঁজে বের করা হবে, বললেন ট্রাম্প

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি চাইছে না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ধারণা, সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েল কী করবে তা নিয়ে আতঙ্কে আছে হামাস।

ট্রাম্প গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এদিন তিনি ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এখনই যুদ্ধ পুরোপুরি থামাতে চাইছে না। তারা শুধু অল্প সময়ের জন্য যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইছে; যেন ইসরায়েলি জিম্মিদের গাজা থেকে মুক্ত করা যায়। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চূড়ান্ত ধাপে জিম্মি মুক্তির অপেক্ষায় আছি। আর তারা (হামাস) জানে, সবশেষ বন্দীদের ছাড়া হলে এরপর কী হতে পারে। মূলত সে কারণেই তারা আসলে চুক্তি করতে চায়নি।’
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার জন্য হামাসকেই দায়ী করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, ‘হামাসকে এখন খুঁজে খুঁজে বের করা হবে।’

ট্রাম্প আরো বলেন, ‘হামাস সত্যিকার অর্থে কোনো চুক্তি করতে চায়নি। আমি মনে করি, তারা মরতে চায়। আর এটা খুব, খুব খারাপ।’ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ বৃহস্পতিবার বলেন, আলোচনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা কমিয়ে ফেলেছে ওয়াশিংটন। তাদের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাস খুব একটা আগ্রহী নয়।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, আলোচনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা কমিয়ে ফেলেছে ওয়াশিংটন। তাদের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাস খুব একটা আগ্রহী নয়। ইসরায়েলও বলেছে, তারাও কাতার থেকে তাদের আলোচক দল ফিরিয়ে নিয়েছে। কাতারে এ যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছিল। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিষয়ে হামাস বিস্ময় প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি বলেছে, তারা সত্যিই চাইছিল যেন মধ্যস্থতাকারীদের চেষ্টায় চুক্তি হয়। হামাস আরো বলেছে, মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিসর তাদের ‘গঠনমূলক ও ইতিবাচক’ অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, যুদ্ধবিরতির সময় তাঁরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি আটকশিবিরে সরিয়ে নেবেন; যেন পরে পুরো গাজা থেকে তাঁদের সরিয়ে ফেলা যায়।

গাজায় ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ রাখতে গত কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছে। এ যুদ্ধবিরতির আওতায় ১০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। তবে হামাসের দাবি, তারা একটা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায়।

স্টিভ উইটকফ এর আগে বলেছিলেন, এই যুদ্ধবিরতি গাজায় স্থায়ী শান্তির পথ খুলে দেবে। তবে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন, জিম্মিরা মুক্তি পাওয়ার পর তাঁরা আবার যুদ্ধ শুরু করবেন এবং গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে দেবেন।

এমনকি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, যুদ্ধবিরতির সময় তাঁরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি আটকশিবিরে সরিয়ে নেবেন; যেন পরে পুরো গাজা থেকে তাঁদের সরিয়ে ফেলা যায়। চলতি মাসের শুরুতে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনা হলেও গাজায় তাঁদের কাজ এখনো শেষ হয়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হামাস সদস্যদের খুঁজে খুঁজে বের করা হবে, বললেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি চাইছে না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ধারণা, সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েল কী করবে তা নিয়ে আতঙ্কে আছে হামাস।

ট্রাম্প গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এদিন তিনি ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এখনই যুদ্ধ পুরোপুরি থামাতে চাইছে না। তারা শুধু অল্প সময়ের জন্য যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইছে; যেন ইসরায়েলি জিম্মিদের গাজা থেকে মুক্ত করা যায়। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চূড়ান্ত ধাপে জিম্মি মুক্তির অপেক্ষায় আছি। আর তারা (হামাস) জানে, সবশেষ বন্দীদের ছাড়া হলে এরপর কী হতে পারে। মূলত সে কারণেই তারা আসলে চুক্তি করতে চায়নি।’
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার জন্য হামাসকেই দায়ী করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, ‘হামাসকে এখন খুঁজে খুঁজে বের করা হবে।’

ট্রাম্প আরো বলেন, ‘হামাস সত্যিকার অর্থে কোনো চুক্তি করতে চায়নি। আমি মনে করি, তারা মরতে চায়। আর এটা খুব, খুব খারাপ।’ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ বৃহস্পতিবার বলেন, আলোচনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা কমিয়ে ফেলেছে ওয়াশিংটন। তাদের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাস খুব একটা আগ্রহী নয়।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, আলোচনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা কমিয়ে ফেলেছে ওয়াশিংটন। তাদের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাস খুব একটা আগ্রহী নয়। ইসরায়েলও বলেছে, তারাও কাতার থেকে তাদের আলোচক দল ফিরিয়ে নিয়েছে। কাতারে এ যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছিল। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিষয়ে হামাস বিস্ময় প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি বলেছে, তারা সত্যিই চাইছিল যেন মধ্যস্থতাকারীদের চেষ্টায় চুক্তি হয়। হামাস আরো বলেছে, মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিসর তাদের ‘গঠনমূলক ও ইতিবাচক’ অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, যুদ্ধবিরতির সময় তাঁরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি আটকশিবিরে সরিয়ে নেবেন; যেন পরে পুরো গাজা থেকে তাঁদের সরিয়ে ফেলা যায়।

গাজায় ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ রাখতে গত কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছে। এ যুদ্ধবিরতির আওতায় ১০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। তবে হামাসের দাবি, তারা একটা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায়।

স্টিভ উইটকফ এর আগে বলেছিলেন, এই যুদ্ধবিরতি গাজায় স্থায়ী শান্তির পথ খুলে দেবে। তবে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন, জিম্মিরা মুক্তি পাওয়ার পর তাঁরা আবার যুদ্ধ শুরু করবেন এবং গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে দেবেন।

এমনকি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, যুদ্ধবিরতির সময় তাঁরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি আটকশিবিরে সরিয়ে নেবেন; যেন পরে পুরো গাজা থেকে তাঁদের সরিয়ে ফেলা যায়। চলতি মাসের শুরুতে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনা হলেও গাজায় তাঁদের কাজ এখনো শেষ হয়নি।