প্রত্যাশা ডেস্ক: হামাস ইসরায়েলের শর্ত মেনে নিলে এখনই গাজা যুদ্ধ শেষ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি জানান, শর্ত পূরণ হলে গাজা নিরস্ত্রীকৃত হবে, ইসরায়েল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে এবং গাজার জনগণসহ অন্যান্য পক্ষ মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ সিভিল কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে যেটি ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি রাখবে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্ব) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময় নেতানিয়াহু এসব কথা বলেন।
হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অস্ত্র ত্যাগ করে আমাদের মানুষদের ছেড়ে দিন। সব জিম্মিদের এখনই মুক্ত করুন। যদি তা করেন, বেঁচে থাকবেন; না করলে, ইসরায়েল আপনাদের খুঁজে বের করবে।’
হামাসের হাতে জিম্মিদের উদ্দেশে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি এমন কিছু করতে চাই যা আগে কখনো করিনি। আমি এই ফোরাম থেকে সরাসরি জিম্মিদের উদ্দেশে কথা বলতে চাই, লাউডস্পিকারের মাধ্যমে। আমি গাজাকে ঘিরে রেখেছি বড় বড় লাউডস্পিকার দিয়ে, যা এই মাইক্রোফোনের সঙ্গে সংযুক্ত। আশা করছি আমাদের প্রিয় জিম্মিরা আমার বার্তা শুনতে পাবেন।
‘আমাদের সাহসী নায়কেরা, আমি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জাতিসংঘ থেকে সরাসরি তোমাদের উদ্দেশে কথা বলছি। আমরা এক সেকেন্ডের জন্যও তোমাদের ভুলিনি। ইসরায়েলের জনগণ তোমাদের পাশে আছে। আমরা হাল ছাড়ব না, বিশ্রাম নেব না-যতক্ষণ না তোমাদের সবাইকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারি।’
সতর্ক করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামাসের শিবিরের শেষ অলিখিত অংশগুলো গাজা সিটিতে লুকিয়ে আছে এবং তারা ৭ অক্টোবরের হামলার পুনরাবৃত্তির হুমকি দিচ্ছে।
ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে জাতিসংঘে নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপের দাবি তোলেন নেতানিয়াহু। বলেন, ‘ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ ধ্বংস করতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা স্মরণ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইরানের পারমাণবিক সামরিক ক্ষমতা পুনর্গঠনে কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না এবং বিশ্বকে সতর্ক থাকা জরুরি।
এর আগে নেতানিয়াহু বক্তব্য দিতে মঞ্চে উঠতেই শতাধিক কূটনীতিক অধিবেশনস্থল ত্যাগ করেন। গাজায় গণহত্যা চালানো এবং মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে হামলার প্রতিবাদে তাকে ওয়াকআউট করে।
ওআ/আপ্র/২৬/০৯/২০২৫