ঢাকা ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

হাফিজুরের মৃত্যুর তদন্ত দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের

  • আপডেট সময় : ০১:২৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ চার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
গতকাল সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে হাফিজুরের সহপাঠী ও বন্ধুরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-২০১৬ সেশনের শিক্ষার্থী হাফিজুরের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করারও দাবি জানায়। একই সঙ্গে ঘটনার আগ মুহূর্তে তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা, হাফিজুরের লাশ নিয়ে পুলিশ সদস্য ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বের ‘অবহেলার’ ব্যাখা দাবি করেছে তারা। মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেবে- সেই পরিকল্পনা জানানোর দাবিও তোলা হয়েছে। গত ১৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর থেকে হাফিজুরের আর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। নিখোঁজের আটদিন পর পুলিশের সহায়তায় রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে হাফিজুরের লাশ শনাক্ত করেন তার বড় ভাই হাবিবুর রহমান। পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলেছে, ১৫ মে রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজের গলায় নিজেই ছুরিকাঘাত করেন হাফিজুর। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
কোনো ওয়ারিশ না পাওয়ায় লাশ হাসপাতালের মর্গে রেখে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তখন পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে।
মানববন্ধনে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন,”হাফিজুর নিখোঁজ হওয়ার পর শাহবাগ থানায় অবহিত করা হয়। কিন্তু তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজের এলাকায় যে লাশ পাওয়া গেছে, তা যে হাফিজুরের হতে পারে তা মিলিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করেনি। যে ঘটনা ঘটেছে তাতে দায়িত্বশীল বাহিনী পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
“কী ঘটেছিল এবং ঘটনার প্রেক্ষিতে আত্মহত্যা বা হত্যার ঘটনা ঘটেছিল কিনা তদন্তের ভিত্তিতে তা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সামনে পরিষ্কার করতে হবে।“ কারও দায়িত্বে অবহেলা থাকলে বিভাগীয় শাস্তির দাবি জানান তিনি। হাফিজুর রহমান মুকাভিনয় শিল্পী হিসেবে ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিভিত্তিক এই সংগঠনের সভাপতি লিজাইনুল ইসলাম রিপন বলেন,”হাফিজ মাইম একশনের হয়ে আত্মহত্যার বিপক্ষে লড়াই করেছে, এমন একজন মানুষ কেন আত্মহত্যা করতে যাবে? আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটা কখনো আত্মহত্যা হতে পারে না। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনুরোধ সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক।”
ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কোহিনূর আক্তার রাখী বলেন,” হাফিজের এই ঘটনার পেছনে যাদের প্ররোচনা ছিল তারা যেন সামনে আসে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক মিফতাহুল ইসলাম পান্থ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার লাবণ্য, ছাত্রলীগের উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের সভাপতি তানজীম আল আলামিন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ নোমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি সভাপতি তানজির আল ফারাবীও বক্তব্য দেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানীর কাছে গিয়ে তাদের দাবি পেশ করেন।
অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন,”হাফিজের এ ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই মর্মাহত। এ ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন।
“তাদের (শিক্ষার্থীদের) দাবির আগেই আমরা তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগির তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।”
এ ঘটনায় মামলা করা হবে কিনা জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন,”শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সত্য উদঘাটন করাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। এ ঘটনায় একটি জিডি আছে এবং পুলিশের পক্ষ থেকেও একটি মামলা আছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাবি উপাচার্যের শোক ও দ্রুত তদন্তের অনুরোধ : হাফিজুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,”উপাচার্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ডিএমপি কমিশনারকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।” এছাড়া উপাচার্য এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে প্রক্টরকেও নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাফিজুরের মৃত্যুর তদন্ত দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় : ০১:২৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ চার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
গতকাল সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে হাফিজুরের সহপাঠী ও বন্ধুরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-২০১৬ সেশনের শিক্ষার্থী হাফিজুরের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করারও দাবি জানায়। একই সঙ্গে ঘটনার আগ মুহূর্তে তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা, হাফিজুরের লাশ নিয়ে পুলিশ সদস্য ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বের ‘অবহেলার’ ব্যাখা দাবি করেছে তারা। মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেবে- সেই পরিকল্পনা জানানোর দাবিও তোলা হয়েছে। গত ১৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর থেকে হাফিজুরের আর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। নিখোঁজের আটদিন পর পুলিশের সহায়তায় রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে হাফিজুরের লাশ শনাক্ত করেন তার বড় ভাই হাবিবুর রহমান। পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলেছে, ১৫ মে রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজের গলায় নিজেই ছুরিকাঘাত করেন হাফিজুর। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
কোনো ওয়ারিশ না পাওয়ায় লাশ হাসপাতালের মর্গে রেখে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তখন পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে।
মানববন্ধনে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন,”হাফিজুর নিখোঁজ হওয়ার পর শাহবাগ থানায় অবহিত করা হয়। কিন্তু তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজের এলাকায় যে লাশ পাওয়া গেছে, তা যে হাফিজুরের হতে পারে তা মিলিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করেনি। যে ঘটনা ঘটেছে তাতে দায়িত্বশীল বাহিনী পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
“কী ঘটেছিল এবং ঘটনার প্রেক্ষিতে আত্মহত্যা বা হত্যার ঘটনা ঘটেছিল কিনা তদন্তের ভিত্তিতে তা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সামনে পরিষ্কার করতে হবে।“ কারও দায়িত্বে অবহেলা থাকলে বিভাগীয় শাস্তির দাবি জানান তিনি। হাফিজুর রহমান মুকাভিনয় শিল্পী হিসেবে ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিভিত্তিক এই সংগঠনের সভাপতি লিজাইনুল ইসলাম রিপন বলেন,”হাফিজ মাইম একশনের হয়ে আত্মহত্যার বিপক্ষে লড়াই করেছে, এমন একজন মানুষ কেন আত্মহত্যা করতে যাবে? আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটা কখনো আত্মহত্যা হতে পারে না। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনুরোধ সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক।”
ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কোহিনূর আক্তার রাখী বলেন,” হাফিজের এই ঘটনার পেছনে যাদের প্ররোচনা ছিল তারা যেন সামনে আসে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক মিফতাহুল ইসলাম পান্থ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার লাবণ্য, ছাত্রলীগের উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের সভাপতি তানজীম আল আলামিন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ নোমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি সভাপতি তানজির আল ফারাবীও বক্তব্য দেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানীর কাছে গিয়ে তাদের দাবি পেশ করেন।
অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন,”হাফিজের এ ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই মর্মাহত। এ ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন।
“তাদের (শিক্ষার্থীদের) দাবির আগেই আমরা তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগির তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।”
এ ঘটনায় মামলা করা হবে কিনা জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন,”শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সত্য উদঘাটন করাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। এ ঘটনায় একটি জিডি আছে এবং পুলিশের পক্ষ থেকেও একটি মামলা আছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাবি উপাচার্যের শোক ও দ্রুত তদন্তের অনুরোধ : হাফিজুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,”উপাচার্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ডিএমপি কমিশনারকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।” এছাড়া উপাচার্য এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে প্রক্টরকেও নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।