ঢাকা ০২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

হাত বলে দেবে ডায়াবেটিস বেড়েছে কি না!

  • আপডেট সময় : ০১:০১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। সঠিক খাদ্যাভাস, নিয়মিত শরীরচর্চা, ঘুম, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপনের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মানুষের শরীর যখন রক্তে থাকা শর্করাকে ব্যবহার করতে পারে না তখন ডায়াবেটিস হয়। এক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না বা ইনসুলিন তৈরি হলেও দেখা যায় শরীর তা ব্যবহার করতে পারে না। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকুন। ডায়াবেটিস রোগকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়- টাইপ ১ ও টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিস শিশুদের হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না। অন্যদিকে টাইপ ২ ডায়াবেটিস বড়দের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এক্ষেত্রে শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা পারলেও ঠিকমতো তা ব্যবহার করতে পারে না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে হতে পারে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি। এক্ষেত্রে হাত-পায়ের স্নায়ুর ক্ষতি হয়। মায়ো ক্লিনিকের প্রতিবেদন অনুসারে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। সাধারণত ৪ ধরনের ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হয়। তবে এর মধ্যে মোনোনিউরোপ্যাথির ক্ষেত্রে দেখা দেয় জটিল লক্ষণ। মনোনিউরোপ্যাথি রোগটির ক্ষেত্রে হাতে দেখা দিতে পারে অবশভাব। হাতের উপরিভাগের পাশাপাশি হাতের সমস্ত আঙুলেও দেখা দিতে পারে অবশভাব। এ কারণেই বলা হয়, হাত দেখেও টের পাওয়া যায় ডায়াবেটিস বেড়েছে কি না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, হাত দেখে কীভাবে বুঝবেন হাতে দুর্বলতা। মুখের একদিকে প্যারালিসিস। একদিকের চোখের পেছনে ব্যথা। ডাবল ভিসন বা চোখে সবকিছু জোড়া দেখা। চোখে ঝাপসা দেখা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা যা করবেন-ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি। দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা করুন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে। কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ ভাত, রুটি ও আলু কম খান। তার বদলে ফাইবার মানে সবজি, ওটস, ঢেঁকি ছাঁটা চাল বেশি মাত্রায় খান। নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করুন ঘরে। কমবেশি দেখলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাত বলে দেবে ডায়াবেটিস বেড়েছে কি না!

আপডেট সময় : ০১:০১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। সঠিক খাদ্যাভাস, নিয়মিত শরীরচর্চা, ঘুম, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপনের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মানুষের শরীর যখন রক্তে থাকা শর্করাকে ব্যবহার করতে পারে না তখন ডায়াবেটিস হয়। এক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না বা ইনসুলিন তৈরি হলেও দেখা যায় শরীর তা ব্যবহার করতে পারে না। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকুন। ডায়াবেটিস রোগকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়- টাইপ ১ ও টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিস শিশুদের হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না। অন্যদিকে টাইপ ২ ডায়াবেটিস বড়দের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এক্ষেত্রে শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা পারলেও ঠিকমতো তা ব্যবহার করতে পারে না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে হতে পারে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি। এক্ষেত্রে হাত-পায়ের স্নায়ুর ক্ষতি হয়। মায়ো ক্লিনিকের প্রতিবেদন অনুসারে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। সাধারণত ৪ ধরনের ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হয়। তবে এর মধ্যে মোনোনিউরোপ্যাথির ক্ষেত্রে দেখা দেয় জটিল লক্ষণ। মনোনিউরোপ্যাথি রোগটির ক্ষেত্রে হাতে দেখা দিতে পারে অবশভাব। হাতের উপরিভাগের পাশাপাশি হাতের সমস্ত আঙুলেও দেখা দিতে পারে অবশভাব। এ কারণেই বলা হয়, হাত দেখেও টের পাওয়া যায় ডায়াবেটিস বেড়েছে কি না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, হাত দেখে কীভাবে বুঝবেন হাতে দুর্বলতা। মুখের একদিকে প্যারালিসিস। একদিকের চোখের পেছনে ব্যথা। ডাবল ভিসন বা চোখে সবকিছু জোড়া দেখা। চোখে ঝাপসা দেখা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা যা করবেন-ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি। দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা করুন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে। কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ ভাত, রুটি ও আলু কম খান। তার বদলে ফাইবার মানে সবজি, ওটস, ঢেঁকি ছাঁটা চাল বেশি মাত্রায় খান। নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করুন ঘরে। কমবেশি দেখলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।