ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

হাতি হত্যা বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ

  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : হাতি হত্যা বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বন ও পরিবেশসচিব, প্রধান বন সংরক্ষক ও বন্য প্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের পরিচালকসহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
হাতির নির্বিঘœ চলাচল নিশ্চিতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় বন বিভাগ থেকে হাতি চলাচলের জন্য চিহ্নিত ১২টি করিডর সংরক্ষণে নির্দেশনা চেয়ে রোববার ওই রিট করা হয়। বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করা ঢাকার মোহাম্মদপুরের তিন বাসিন্দা রিটটি করেন। তাঁরা হলেন আদনান আজাদ, ফারজানা ইয়াসমিন ও খান ফাতিম হাসান।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খান খালিদ আদনান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ২০ (১) ধারা অনুসারে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মতামত গ্রহণ করে ঘোষিত যেকোনো এলাকা, রক্ষিত বা সংরক্ষিত বন এলাকার সীমানার বাইরে কিন্তু এর সংলগ্ন যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি এলাকাকে বন্য প্রাণী চলাচলের উপযোগী বা বিশেষ উন্নয়ন সাধনের প্রয়োজনে বা ওই এলাকার যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কমানো বা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ল্যান্ডস্কেপ জোন বা করিডর হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে।
রুলে বেআইনি হত্যা থেকে হাতির জীবন রক্ষায় বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ওই বিধান অনুসারে বন বিভাগ থেকে চিহ্নিত ১২টি করিডর গেজেটের মাধ্যমে সংরক্ষিত করিডর হিসেবে ঘোষণায় নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বেআইনিভাবে হত্যা থেকে হাতির জীবন রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। বন ও পরিবেশসচিব, প্রধান বন সংরক্ষক ও বন্য প্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের পরিচালকসহ ১৪ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরে আইনজীবী খান খালিদ আদনান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ২০(১) ধারায় গেজেট দিয়ে করিডর সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করার বিধান আছে। ২০১৬ সালে বন বিভাগ বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় হাতি চলাচলের জন্য ১২টি করিডর চিহ্নিত করে। কিন্তু এগুলো গেজেটের মাধ্যমে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে করিডরগুলো ঘোষণা করা হয়নি। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১১৮টি হাতি হত্যা হয়েছে। সংরক্ষিত করিডর ঘোষণায় গেজেট প্রকাশ ও হাতির জীবন রক্ষায় নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হলে হাইকোর্ট রুলসহ ওই আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাতি হত্যা রোধে জনসচেতনতার জন্য তথ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাতি হত্যা বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ

আপডেট সময় : ০২:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : হাতি হত্যা বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বন ও পরিবেশসচিব, প্রধান বন সংরক্ষক ও বন্য প্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের পরিচালকসহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
হাতির নির্বিঘœ চলাচল নিশ্চিতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় বন বিভাগ থেকে হাতি চলাচলের জন্য চিহ্নিত ১২টি করিডর সংরক্ষণে নির্দেশনা চেয়ে রোববার ওই রিট করা হয়। বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করা ঢাকার মোহাম্মদপুরের তিন বাসিন্দা রিটটি করেন। তাঁরা হলেন আদনান আজাদ, ফারজানা ইয়াসমিন ও খান ফাতিম হাসান।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খান খালিদ আদনান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ২০ (১) ধারা অনুসারে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মতামত গ্রহণ করে ঘোষিত যেকোনো এলাকা, রক্ষিত বা সংরক্ষিত বন এলাকার সীমানার বাইরে কিন্তু এর সংলগ্ন যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি এলাকাকে বন্য প্রাণী চলাচলের উপযোগী বা বিশেষ উন্নয়ন সাধনের প্রয়োজনে বা ওই এলাকার যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কমানো বা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ল্যান্ডস্কেপ জোন বা করিডর হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে।
রুলে বেআইনি হত্যা থেকে হাতির জীবন রক্ষায় বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ওই বিধান অনুসারে বন বিভাগ থেকে চিহ্নিত ১২টি করিডর গেজেটের মাধ্যমে সংরক্ষিত করিডর হিসেবে ঘোষণায় নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বেআইনিভাবে হত্যা থেকে হাতির জীবন রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। বন ও পরিবেশসচিব, প্রধান বন সংরক্ষক ও বন্য প্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের পরিচালকসহ ১৪ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরে আইনজীবী খান খালিদ আদনান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ২০(১) ধারায় গেজেট দিয়ে করিডর সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করার বিধান আছে। ২০১৬ সালে বন বিভাগ বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় হাতি চলাচলের জন্য ১২টি করিডর চিহ্নিত করে। কিন্তু এগুলো গেজেটের মাধ্যমে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে করিডরগুলো ঘোষণা করা হয়নি। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১১৮টি হাতি হত্যা হয়েছে। সংরক্ষিত করিডর ঘোষণায় গেজেট প্রকাশ ও হাতির জীবন রক্ষায় নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হলে হাইকোর্ট রুলসহ ওই আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাতি হত্যা রোধে জনসচেতনতার জন্য তথ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’