চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় জশনে জুলুসের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিনের সই করা এক আদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং শান্তিশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলাধীন মীরের হাট থেকে এগারো মাইল সাবস্টেশন পর্যন্ত এবং উপজেলা গেট থেকে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, হাটহাজারী পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় শনিবার রাত ১০টা থেকে আগামীকাল (রোববার) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯৮৮ এর ১৪৪ ধারায় এ আদেশ জারি করা হলো।
এসময়ে উল্লিখিত এলাকায় সব প্রকার সভা-সমাবেশ বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সকল প্রকার দেশি অস্ত্র ইত্যাদি বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
এর আগে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনায় জড়িত আরিয়ান ইব্রাহীম (২০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ষোলশহর জশনে জুলুস থেকে ফেরার পথে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের শফিকিয়া দরবার শরীফ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ইব্রাহীম ওই এলাকার মৃত মো. মুছার ছেলে।
পুলিশ জানায়, দুপুরে চট্টগ্রামের জশনে জুলুসে যাওয়ার পথে হাটহাজারী মাদরাসার সামনে দাঁড়িয়ে অশালীন ভঙ্গি করে ছবি তোলে আরিয়ান। পরে সেটি ফেসবুকে পোস্ট করলে মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীর কওমি অঙ্গনে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) আরিয়ান নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গির পোস্টটি করেন এবং ফটিকছড়ি পৌরসভা ছাত্রদলের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে ফটিকছড়ি পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি একরাম উল্লাহ চৌধুরী বলেন, অভিযুক্ত আরিয়ান ইব্রাহিম ছাত্রদলের কেউ নন। তিনি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সংগঠনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং প্রশাসনকে আইনগত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এসি/আপ্র/০৬/০৯/২০২