ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

হাজার উইকেটের উচ্চতায় অ্যান্ডারসন

  • আপডেট সময় : ১১:০৩:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : মাইলফলক ছুঁতে প্রয়োজন ছিল ৫ উইকেটের। প্রকৃতির বৈরিতায় সেই অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হলো আরও। বৃষ্টির কারণে খেলাই হয় না! অবশেষে প্রায় দেড় দিন পর শুরু হলো লড়াই। বলা ভালো, শুরু হলো জেমস অ্যান্ডারসনের সুইং বোলিংয়ের জাদু। ৫ উইকেট পেয়ে গেলেন যেন নিমিষেই। পৌঁছে গেলেন তিনি কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১ হাজার উইকেট পূর্ণ হলো ইংল্যান্ডের পেস বোলিং গ্রেট অ্যান্ডারসনের। টেস্ট ইতিহাসের সফলতম বোলারের এই অর্জন ধরা দিল সোমবার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে। ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কেন্টকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পথে তিনি ব্যক্তিগত প্রাপ্তিতেও স্মরণীয় করে রাখলেন ম্যাচ। সুইং বোলিংয়ের আদর্শ উইকেট ও কন্ডিশনে শুরু থেকেই কেন্টকে ভোগাতে থাকেন অ্যান্ডারসন। ম্যাচের প্রথম ওভারেই ফেরান ইংল্যান্ড দলের দলের সতীর্থ জ্যাক ক্রলিকে। নিজের পরের দুই ওভারে নেন আরও দুটি উইকেট। পরের দুই ওভার উইকেটশূন্য, এরপর আবার টানা দুই ওভারে দুই উইকেট। হয়ে যায় তার হাজার উইকেট। অ্যান্ডারসনের হাজারতম শিকার কেন্টের দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হাইনো কুন। ওই ওভার শেষে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় অবিশ্বাস্য, ৭-৫-৩-৫!
২০০২ সালের মে মাসে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে এই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শুরু হয়েছিল তার পথচলা। অভিষেকে নিয়েছিলেন চার উইকেট। ১৯ বছর পর সেই মাঠেই পা রাখলেন হাজার উইকেটে। থামেননি তিনি সেখানেই। নিজের পরের দুই ওভারেও ধরেন আরও দুই শিকার। টানা বোলিংয়ে পরে হয়তো একটু ক্লান্তি পেয়ে যায়। দশম ওভারে হজম করেন দুটি বাউন্ডারি। তার পরও ১০ ওভারের টানা স্পেল শেষে তার বোলিং ফিগার চোখধাঁধানো, ১৯ রানে ৭ উইকেট! কে বলবে, এই মাসেই তার বয়স হবে ৩৯! প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৬২ ম্যাচের পথচলায় এটিই তার সেরা বোলিং। আগের সেরা ছিল ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ৪২ রানে ৭ উইকেট। অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ড্যানি ল্যাম্বের ৩ উইকেট মিলিয়ে কেন্ট গুটিয়ে যায় ৭৪ রানেই। এই শতকে হাজার উইকেটে পা রাখা চতুদর্শ বোলার অ্যান্ডারসন। তাদের মধ্যে পেসার ছিলেন অ্যান্ডারসনের আগে কেবল ওয়াসিম আকরাম (১০৪২), ডেভন ম্যালকম (১০৫৪), মার্টিন বিকনেল (১০৬১) ও অ্যান্ডি ক্যাডিক (১১৮০)। তবে এই শতকে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার শুরু করে হাজার উইকেট নেওয়া একমাত্র বোলার অ্যান্ডারসনই।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাজার উইকেটের উচ্চতায় অ্যান্ডারসন

আপডেট সময় : ১১:০৩:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : মাইলফলক ছুঁতে প্রয়োজন ছিল ৫ উইকেটের। প্রকৃতির বৈরিতায় সেই অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হলো আরও। বৃষ্টির কারণে খেলাই হয় না! অবশেষে প্রায় দেড় দিন পর শুরু হলো লড়াই। বলা ভালো, শুরু হলো জেমস অ্যান্ডারসনের সুইং বোলিংয়ের জাদু। ৫ উইকেট পেয়ে গেলেন যেন নিমিষেই। পৌঁছে গেলেন তিনি কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১ হাজার উইকেট পূর্ণ হলো ইংল্যান্ডের পেস বোলিং গ্রেট অ্যান্ডারসনের। টেস্ট ইতিহাসের সফলতম বোলারের এই অর্জন ধরা দিল সোমবার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে। ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কেন্টকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পথে তিনি ব্যক্তিগত প্রাপ্তিতেও স্মরণীয় করে রাখলেন ম্যাচ। সুইং বোলিংয়ের আদর্শ উইকেট ও কন্ডিশনে শুরু থেকেই কেন্টকে ভোগাতে থাকেন অ্যান্ডারসন। ম্যাচের প্রথম ওভারেই ফেরান ইংল্যান্ড দলের দলের সতীর্থ জ্যাক ক্রলিকে। নিজের পরের দুই ওভারে নেন আরও দুটি উইকেট। পরের দুই ওভার উইকেটশূন্য, এরপর আবার টানা দুই ওভারে দুই উইকেট। হয়ে যায় তার হাজার উইকেট। অ্যান্ডারসনের হাজারতম শিকার কেন্টের দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হাইনো কুন। ওই ওভার শেষে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় অবিশ্বাস্য, ৭-৫-৩-৫!
২০০২ সালের মে মাসে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে এই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শুরু হয়েছিল তার পথচলা। অভিষেকে নিয়েছিলেন চার উইকেট। ১৯ বছর পর সেই মাঠেই পা রাখলেন হাজার উইকেটে। থামেননি তিনি সেখানেই। নিজের পরের দুই ওভারেও ধরেন আরও দুই শিকার। টানা বোলিংয়ে পরে হয়তো একটু ক্লান্তি পেয়ে যায়। দশম ওভারে হজম করেন দুটি বাউন্ডারি। তার পরও ১০ ওভারের টানা স্পেল শেষে তার বোলিং ফিগার চোখধাঁধানো, ১৯ রানে ৭ উইকেট! কে বলবে, এই মাসেই তার বয়স হবে ৩৯! প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৬২ ম্যাচের পথচলায় এটিই তার সেরা বোলিং। আগের সেরা ছিল ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ৪২ রানে ৭ উইকেট। অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ড্যানি ল্যাম্বের ৩ উইকেট মিলিয়ে কেন্ট গুটিয়ে যায় ৭৪ রানেই। এই শতকে হাজার উইকেটে পা রাখা চতুদর্শ বোলার অ্যান্ডারসন। তাদের মধ্যে পেসার ছিলেন অ্যান্ডারসনের আগে কেবল ওয়াসিম আকরাম (১০৪২), ডেভন ম্যালকম (১০৫৪), মার্টিন বিকনেল (১০৬১) ও অ্যান্ডি ক্যাডিক (১১৮০)। তবে এই শতকে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার শুরু করে হাজার উইকেট নেওয়া একমাত্র বোলার অ্যান্ডারসনই।