নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগাম বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সুনামগঞ্জের হাওরে তিনটি স্থানে ফসল রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হাওরে ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে ফসল চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হাওরে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, ‘হাওরে আমি নিজে গিয়েছি। সেখানে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তবে আমি বলতে চাই, এ ক্ষেত্রে কারও কোনও গাফিলতি থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন প্রকল্প নিতে পারছি। এখনকার মতো এতে প্রকল্প কখনই নেওয়া হয়নি। সুনামগঞ্জের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। প্রকল্প ৫০ কোটি টাকার ওপরে হলে সমীক্ষার প্রয়োজন আছে। সুনামগঞ্জের জন্য প্রকল্প নিয়েছি ৪৯৪ কোটি টাকার। নদী খননের ১ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। একনেকে পাস হলে নভেম্বরে কাজ শুরু করবো। আমরা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। আগামী বছর থেকে এ সমস্যা হবে না। আগে এমন সমস্যা হয়নি।’
জাহিদ ফারুক বলেন, ‘গত ১ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সুনামগঞ্জে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২০৯ মিলিমিটার। প্রতিবছর আগাম বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকি, এবারও ছিলাম। অনেকে বলেছে কাজ দেরিতে হয়েছে। কাজ দেরির কারণ আমরা ডিসেম্বরে কাজ শুরু করে ফেব্রুয়ারিতে শেষ করি। কিন্তু পানি জমে থাকায় সময়মতো কাজ শেষ করতে পারিনি। জানুয়ারিতে শুরু করেছিলাম, কাজটি শেষ পর্যায়ে ছিল। ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
হাওরে ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ