ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

হাওয়ার মিঠাই ও শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি

  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : লম্বা লাঠির মাথায় পলিথিনের ব্যাগে মোড়ানো গোলাপী, সাদা হাওয়াই মিঠাই ঘাড়ে করে ঘুরে বেড়ান ফেরিওয়ালা। হাওয়াই মিঠাই লাগবে? হাওয়াই মিঠাই…। মিষ্টি, নরম, গোলাপী, সাদা হাওয়াই মিঠাই…। এমন হাঁক-ডাক শুনলেই ছুটে যায় শিশু-কিশোররা। এখন শহর বা গ্রামে এমন দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না। তবে, একেবারে হারিয়ে যায়নি। চাহিদাও তেমন কমেনি। মাঝে মাঝেই দেখা মেলে হাওয়াই মিঠাইওয়ালার, যিনি হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো কাছে টানেন শিশু-কিশোরদের। এখনো হাওয়াই মিঠাই ফিরিয়ে আনে শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি।
হাওয়াই মিঠাই গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার। গ্রাম কিংবা শহর, সব অঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় এই মিষ্টান্ন। একসময় হাওয়াই মিঠাইয়ের দেখা মিলত শুধু গ্রামাঞ্চলে। এখন শহরের বিভিন্ন পার্কে বা মেলায় এই গোলাপী, সাদা হাওয়াই মিঠাই পাওয়া যায়। এত খাবারের ভিড়েও চাহিদা ধরে রেখেছে এ খাদ্যপণ্য।
মূলত, হাওয়ায় মিঠাই মিশে যায় বলে একে হাওয়াই মিঠাই বলা হয়। এ মিঠাইয়ে পেট ভরে না, তবে খেতে খুব মিষ্টি। দেখতে অনেক বড় মনে হলেও মুখের ভেতর নিমিষেই এটি গলে যায়। শিশুরা এই হাওয়াই মিঠাইয়ে বেশি আনন্দ পায়। তবে, বড়রাও মাঝে মাঝে এর স্বাদ নিতে ভুল করেন না। দাম কম হওয়ায় প্রায় সবাই কিনতে পারেন এ অনন্য মিঠাই।
লম্বা লাঠির মাথায় পলিথিনের ব্যাগে মোড়ানো গোলাপী, সাদা হাওয়াই মিঠাই ঘাড়ে করে ঘুরে বেড়ান ফেরিওয়ালা। তাদের মধ্যে কিশোর বয়সী ফেরিওয়ালাই বেশি। কিছু কিছু ব্যবসায়ী আজও এই হাওয়াই মিঠাইকে হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে দেননি। বংশপরম্পরায় ব্যবসা চালিয়ে আসছেন তারা। চিনিকে তাপ দিয়ে গলিয়ে তা একটি হাতে ঘোরানো যাঁতায় পিষে অল্প সময়ে তৈরি করা হয় হাওয়াই মিঠাই। একসময় লাল, গোলাপী, হলুদ, বেগুনি, সবুজসহ নানা রঙে তৈরি করা হতো এ মিঠাই। তবে, রাসায়নিক পদার্থ থাকায় এখন আর সব রঙ ব্যবহার করা হয় না। শুধু চিনির সাদা রঙই হলো এ মিঠাইয়ের রঙ। এখন গোলাপী আর সাদা রঙের হাওয়াই মিঠাই ছাড়া অন্য কোনো রঙে দেখা যায় না। গ্রাম্য মেলায় হাওয়াই মিঠাই বেশি বিক্রি হয়। তবে, প্রায় সারা বছরই গ্রাম-গঞ্জে দেখা যায় হাওয়াই মিঠাইয়ের ফেরিওয়ালাদের। গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাদার্ত্তী গ্রামের ষাটোর্ধ্ব রবিউল ইসলাম জানান, তিনি কিশোর বয়সের হাওয়াই মিঠাইয়ের স্বাদ আজও ভুলতে পারেন না। এখনকার ছেলে-মেয়েদের এসবের প্রতি খুব একটা আগ্রহ দেখা যায়না বলে তিনি খুব আক্ষেপ করেন। এখনও গ্রামে গ্রামে হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা আসলে তিনি তা কিনে শিশুদের সঙ্গে মজা করে খান। রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের সময়ে এক পয়সা দিয়ে হাওয়াই মিঠাই কিনে খেতাম। ওই সময় যখন দাদা, বাবা কিংবা কাকাদের সঙ্গে গ্রামের হাট-বাজার বা মেলায় যেতাম, তখন প্রথম দাবি ছিল, হাওয়াই মিঠাই খাওয়াতে হবে। তবে, ওই সময় সবখানেই পাওয়া যেত এটি। একই গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব শরীফা বেগম বলেন, হাওয়াই মিঠাই মজার জিনিস। খেতে খুব মিষ্টি। এটি খেয়ে পেট না ভরলেও মুখের স্বাদ মিটে। দামে সস্তা হওয়ায় আমরা ছোটবেলায় প্রচুর খেতাম। এখন আর খাওয়া হয় না। তবে, আমি খাই না বলে যে কিনি না, তা কিন্তু নয়। এখনও মাঝে মধ্যে হাওয়াই মিঠাইয়ের ফেরিওয়ালা আসলে দুই নাতি রিহান ও সাদাবের জন্য কিনি। এখন ওরা খুব মজা করেই খায়। ভাদার্ত্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রাফসান নূর রাফি (৯) বলে, হাওয়াই মিঠাই খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আমাদের গ্রামে বা স্কুলে ফেরিওয়ালা আংকেল হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করতে আসলে আমি ছুটে যাই। বাবা কিংবা মাকে টাকা দিতে বলি। একেকটা হাওয়াই মিঠাই মাত্র ১০ টাকা করে। আমি একসাথে দুইটা কিনি। একটা আমি খাই, আরেকটা আমার বড় আপুকে দিই। তবে, মাঝে মধ্যে খুব বেশি মজা লাগলে আমি দুটোই খেয়ে ফেলি।
শিশু রাফসানের বাবা নুরুল ইসলাম (৪০) বলেন, আমাদের সময়ে আমরা ১ টাকা করে কিনে খেয়েছি। সেই স্বাদ আর না থাকলেও বেড়েছে এ জিনিসের দাম। এখন সেই হাওয়াই মিঠাই আমাদের শিশুরা কিনে খায় ১০ টাকায়। একসময় আমিও আমার বাবার কাছে একই জিনিস খেতে আবদার করেছি এবং বাবা সেটা কিনে দিয়েছেন। এখন আমি আমার সন্তানদের আবদার রক্ষা করি। ভাদার্ত্তী গ্রামে ফেরি করে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করা কিশোর ফেরিওয়ালা সাগর মিয়া (১৭) জানায়, তার বাড়ি ময়সনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ওলামাকান্দা গ্রামে। বর্তমানে সে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর গ্রামে অন্য তিনজন হাওয়াই মিঠাই ফেরিওয়ালাদের সঙ্গে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে। সাগর মিয়া বলে, একজন মালিকের অধীনে আমরা তিনজন কাজ করি। মালিক থাকা-খাওয়ার ব্যয় বহন করেন। সকাল ৭টায় বের হয়ে ফিরি সন্ধ্যা ৭-৮টায়। একেক দিন কালীগঞ্জের একেক এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করি। কখনো কখনো পার্শ্ববর্তী পলাশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে যাই। প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি করলেও হাজিরা মিলে মাত্র ৩৫০ টাকা। এই টাকা বাড়িতে পাঠাই বাব-মা, ভাই-বোনের জন্য। একসময় বাবা কাজ করতেন। তার বয়স হয়েছে বলে জীবিকার তাগিদে ও পরিবারের হাল ধরতে কম বয়সে এ কাজ শুরু করেছি। হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো রঙিন নয় আমাদের জীবন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাওয়ার মিঠাই ও শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি

আপডেট সময় : ১১:৫৯:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নারী ও শিশু ডেস্ক : লম্বা লাঠির মাথায় পলিথিনের ব্যাগে মোড়ানো গোলাপী, সাদা হাওয়াই মিঠাই ঘাড়ে করে ঘুরে বেড়ান ফেরিওয়ালা। হাওয়াই মিঠাই লাগবে? হাওয়াই মিঠাই…। মিষ্টি, নরম, গোলাপী, সাদা হাওয়াই মিঠাই…। এমন হাঁক-ডাক শুনলেই ছুটে যায় শিশু-কিশোররা। এখন শহর বা গ্রামে এমন দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না। তবে, একেবারে হারিয়ে যায়নি। চাহিদাও তেমন কমেনি। মাঝে মাঝেই দেখা মেলে হাওয়াই মিঠাইওয়ালার, যিনি হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো কাছে টানেন শিশু-কিশোরদের। এখনো হাওয়াই মিঠাই ফিরিয়ে আনে শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি।
হাওয়াই মিঠাই গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার। গ্রাম কিংবা শহর, সব অঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় এই মিষ্টান্ন। একসময় হাওয়াই মিঠাইয়ের দেখা মিলত শুধু গ্রামাঞ্চলে। এখন শহরের বিভিন্ন পার্কে বা মেলায় এই গোলাপী, সাদা হাওয়াই মিঠাই পাওয়া যায়। এত খাবারের ভিড়েও চাহিদা ধরে রেখেছে এ খাদ্যপণ্য।
মূলত, হাওয়ায় মিঠাই মিশে যায় বলে একে হাওয়াই মিঠাই বলা হয়। এ মিঠাইয়ে পেট ভরে না, তবে খেতে খুব মিষ্টি। দেখতে অনেক বড় মনে হলেও মুখের ভেতর নিমিষেই এটি গলে যায়। শিশুরা এই হাওয়াই মিঠাইয়ে বেশি আনন্দ পায়। তবে, বড়রাও মাঝে মাঝে এর স্বাদ নিতে ভুল করেন না। দাম কম হওয়ায় প্রায় সবাই কিনতে পারেন এ অনন্য মিঠাই।
লম্বা লাঠির মাথায় পলিথিনের ব্যাগে মোড়ানো গোলাপী, সাদা হাওয়াই মিঠাই ঘাড়ে করে ঘুরে বেড়ান ফেরিওয়ালা। তাদের মধ্যে কিশোর বয়সী ফেরিওয়ালাই বেশি। কিছু কিছু ব্যবসায়ী আজও এই হাওয়াই মিঠাইকে হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে দেননি। বংশপরম্পরায় ব্যবসা চালিয়ে আসছেন তারা। চিনিকে তাপ দিয়ে গলিয়ে তা একটি হাতে ঘোরানো যাঁতায় পিষে অল্প সময়ে তৈরি করা হয় হাওয়াই মিঠাই। একসময় লাল, গোলাপী, হলুদ, বেগুনি, সবুজসহ নানা রঙে তৈরি করা হতো এ মিঠাই। তবে, রাসায়নিক পদার্থ থাকায় এখন আর সব রঙ ব্যবহার করা হয় না। শুধু চিনির সাদা রঙই হলো এ মিঠাইয়ের রঙ। এখন গোলাপী আর সাদা রঙের হাওয়াই মিঠাই ছাড়া অন্য কোনো রঙে দেখা যায় না। গ্রাম্য মেলায় হাওয়াই মিঠাই বেশি বিক্রি হয়। তবে, প্রায় সারা বছরই গ্রাম-গঞ্জে দেখা যায় হাওয়াই মিঠাইয়ের ফেরিওয়ালাদের। গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাদার্ত্তী গ্রামের ষাটোর্ধ্ব রবিউল ইসলাম জানান, তিনি কিশোর বয়সের হাওয়াই মিঠাইয়ের স্বাদ আজও ভুলতে পারেন না। এখনকার ছেলে-মেয়েদের এসবের প্রতি খুব একটা আগ্রহ দেখা যায়না বলে তিনি খুব আক্ষেপ করেন। এখনও গ্রামে গ্রামে হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা আসলে তিনি তা কিনে শিশুদের সঙ্গে মজা করে খান। রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের সময়ে এক পয়সা দিয়ে হাওয়াই মিঠাই কিনে খেতাম। ওই সময় যখন দাদা, বাবা কিংবা কাকাদের সঙ্গে গ্রামের হাট-বাজার বা মেলায় যেতাম, তখন প্রথম দাবি ছিল, হাওয়াই মিঠাই খাওয়াতে হবে। তবে, ওই সময় সবখানেই পাওয়া যেত এটি। একই গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব শরীফা বেগম বলেন, হাওয়াই মিঠাই মজার জিনিস। খেতে খুব মিষ্টি। এটি খেয়ে পেট না ভরলেও মুখের স্বাদ মিটে। দামে সস্তা হওয়ায় আমরা ছোটবেলায় প্রচুর খেতাম। এখন আর খাওয়া হয় না। তবে, আমি খাই না বলে যে কিনি না, তা কিন্তু নয়। এখনও মাঝে মধ্যে হাওয়াই মিঠাইয়ের ফেরিওয়ালা আসলে দুই নাতি রিহান ও সাদাবের জন্য কিনি। এখন ওরা খুব মজা করেই খায়। ভাদার্ত্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রাফসান নূর রাফি (৯) বলে, হাওয়াই মিঠাই খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আমাদের গ্রামে বা স্কুলে ফেরিওয়ালা আংকেল হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করতে আসলে আমি ছুটে যাই। বাবা কিংবা মাকে টাকা দিতে বলি। একেকটা হাওয়াই মিঠাই মাত্র ১০ টাকা করে। আমি একসাথে দুইটা কিনি। একটা আমি খাই, আরেকটা আমার বড় আপুকে দিই। তবে, মাঝে মধ্যে খুব বেশি মজা লাগলে আমি দুটোই খেয়ে ফেলি।
শিশু রাফসানের বাবা নুরুল ইসলাম (৪০) বলেন, আমাদের সময়ে আমরা ১ টাকা করে কিনে খেয়েছি। সেই স্বাদ আর না থাকলেও বেড়েছে এ জিনিসের দাম। এখন সেই হাওয়াই মিঠাই আমাদের শিশুরা কিনে খায় ১০ টাকায়। একসময় আমিও আমার বাবার কাছে একই জিনিস খেতে আবদার করেছি এবং বাবা সেটা কিনে দিয়েছেন। এখন আমি আমার সন্তানদের আবদার রক্ষা করি। ভাদার্ত্তী গ্রামে ফেরি করে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করা কিশোর ফেরিওয়ালা সাগর মিয়া (১৭) জানায়, তার বাড়ি ময়সনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ওলামাকান্দা গ্রামে। বর্তমানে সে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর গ্রামে অন্য তিনজন হাওয়াই মিঠাই ফেরিওয়ালাদের সঙ্গে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে। সাগর মিয়া বলে, একজন মালিকের অধীনে আমরা তিনজন কাজ করি। মালিক থাকা-খাওয়ার ব্যয় বহন করেন। সকাল ৭টায় বের হয়ে ফিরি সন্ধ্যা ৭-৮টায়। একেক দিন কালীগঞ্জের একেক এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করি। কখনো কখনো পার্শ্ববর্তী পলাশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে যাই। প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি করলেও হাজিরা মিলে মাত্র ৩৫০ টাকা। এই টাকা বাড়িতে পাঠাই বাব-মা, ভাই-বোনের জন্য। একসময় বাবা কাজ করতেন। তার বয়স হয়েছে বলে জীবিকার তাগিদে ও পরিবারের হাল ধরতে কম বয়সে এ কাজ শুরু করেছি। হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো রঙিন নয় আমাদের জীবন।