নিজস্ব প্রতিবেদক : চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং গাড়ি ভাংচুরের মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, আমিনুল হক, তাবিথ আউয়াল, রফিকুল আলম মজনুসহ ৭০ নেতা-কর্মী হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন। তাদের আগাম জামিন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি আবেদন নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ গতকাল বুধবার আদেশ দেয়। তাদের আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে আদালত বলেছে, এই সময়ের মধ্যে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।
জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রুহুল কুদ্দুস কাজল, নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, রুকুনুজ্জামান সুজা, কামরুল ইসলাম সুজন, আকতার রসুল মুরাদ, জিয়াউর রহমান ও আবিদুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম। নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় গত ১৭ আগস্ট তিনটি মামলা হয়।
“এর মধ্যে পুলিশের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৫৩ জনকে। তার মধ্যে ৪৭ জনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকি ১০৬ জনের মধ্যে ৭০ জন আজ জামিন নিয়েছেন।” রুকুনুজ্জামান সুজা বলেন, বাকিরাও আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনগুলো আগামী মঙ্গলবার শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। ঢাকা মহানগর বিএনপির নবগঠিত দুই কমিটির নেতৃত্বের সঙ্গে কয়েক হাজার কর্মী গত ১৭ আগস্ট সকালে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য চন্দ্রিমা উদ্যানে সামনে জড়ো হয়েছিল। সেখানে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস ও রবার বুলেটে ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তরের আহ্বায়ক আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এসময় শেরেবাংলা নগর, ফার্মগেইট এলাকার আশপাশের রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে বেশকিছু যানবাহন ভাংচুরও করে। সংঘর্ষ এবং গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট শেরেবাংলা নগর থানায় তিনটি মামলা হয়। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ দুটি এবং পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
হাই কোর্ট থেকে জামিন নিলেন আমান-তাবিথসহ ৭০ জন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ