ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাইতির প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা

  • আপডেট সময় : ১১:৩২:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্যারিবীয় দেশ হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। স্বাধীনতা দিবসের বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে গত গত শনিবার আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অ্যারিয়েল হেনরিকে হত্যায় হামলা চালায় বন্দুকধারীরা।
হাইতির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইতির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত শনিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় গোনাইভস শহরের একটি গির্জায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি। সেখানেই তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় বন্দুকধারীরা।
হাইতির প্রধানমন্ত্রীর ওপর বন্দুক হামলার একটি ভিডিও অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে তীব্র গোলাগুলির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি ও তার সঙ্গে থাকা দলকে চিৎকার করতে করতে গাড়ির দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। এর আগে গত জুলাই মাসে নিজের বাসভবনে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন হাইতির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েস। এরপর থেকে দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়েছে।
হাইতির প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, অস্ত্রধারী ‘ডাকাত ও সন্ত্রাসীরা’ প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরিকে হত্যাচেষ্টার পেছনে রয়েছে। এছাড়া সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে আটকাদেশ জারি করা হয়েছে। ক্যারিবীয় এই দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার সময় বন্দুকধারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে হওয়া বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুইজন। উল্লেখ্য, ১৮০৪ সালে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয় হাইতি। দেশটি প্রথমে স্পেনীয় ও পরে ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। ফরাসি ঔপনিবেশিকদের উৎখাত করে বিশ্বে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নেতৃত্বাধীন সরকার গঠিত হয় দেশটিতে।
স্বাধীন হলেও বিগত দুই শতাব্দী ধরে দেশটি একের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা, আগ্রাসন আর দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে গেছে। এর মধ্যে পরিবারতান্ত্রিক দুভেলিয়ারদের স্বৈরতান্ত্রিক কর্তৃত্বাবাদী শাসনের শিকারও হয়েছে দেশটির মানুষ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাইতির প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা

আপডেট সময় : ১১:৩২:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্যারিবীয় দেশ হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। স্বাধীনতা দিবসের বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে গত গত শনিবার আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অ্যারিয়েল হেনরিকে হত্যায় হামলা চালায় বন্দুকধারীরা।
হাইতির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইতির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত শনিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় গোনাইভস শহরের একটি গির্জায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি। সেখানেই তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় বন্দুকধারীরা।
হাইতির প্রধানমন্ত্রীর ওপর বন্দুক হামলার একটি ভিডিও অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে তীব্র গোলাগুলির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি ও তার সঙ্গে থাকা দলকে চিৎকার করতে করতে গাড়ির দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। এর আগে গত জুলাই মাসে নিজের বাসভবনে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন হাইতির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েস। এরপর থেকে দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়েছে।
হাইতির প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, অস্ত্রধারী ‘ডাকাত ও সন্ত্রাসীরা’ প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরিকে হত্যাচেষ্টার পেছনে রয়েছে। এছাড়া সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে আটকাদেশ জারি করা হয়েছে। ক্যারিবীয় এই দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার সময় বন্দুকধারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে হওয়া বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুইজন। উল্লেখ্য, ১৮০৪ সালে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয় হাইতি। দেশটি প্রথমে স্পেনীয় ও পরে ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। ফরাসি ঔপনিবেশিকদের উৎখাত করে বিশ্বে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নেতৃত্বাধীন সরকার গঠিত হয় দেশটিতে।
স্বাধীন হলেও বিগত দুই শতাব্দী ধরে দেশটি একের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা, আগ্রাসন আর দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে গেছে। এর মধ্যে পরিবারতান্ত্রিক দুভেলিয়ারদের স্বৈরতান্ত্রিক কর্তৃত্বাবাদী শাসনের শিকারও হয়েছে দেশটির মানুষ।