ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
আটকে গেল হাই কোর্টের আদেশ

ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই

  • আপডেট সময় : ০৫:১১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: হাই কোর্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দুই মাস স্থগিতের যে আদেশ দিয়েছিল তা এক ঘণ্টার মধ্যে আপিল বিভাগে আটকে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করে দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, চেম্বার আদালতের এই অন্তর্বর্তী আদেশের ফলে ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া চলতে কোনো বাধা থাকল না। এর ঘণ্টাখানেক আগে ডাকসু নির্বাচনের এক প্রার্থীর করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাই কোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেয়। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

হাই কোর্টের আদেশ স্থগিতের পর শিশির মনির বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করা এবং অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে খুবই সিরিয়াস এবং সিনসিয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ মনে করে যে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বা ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদের মধ্যে নতুন সংস্কৃতি তৈরি হবে। এজন্যই আমরা এটা আয়োজন করেছিলাম। এটির সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছিল ২৬ তারিখ; যেখানে আমরা ক্যান্ডিডেটদেরকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছি। তারপরে আজকে পাঁচ দিন পরে একটা রিট পিটিশন করে একটা রুল নেয়া হয়েছে এবং নির্বাচনটাকে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল।
তাৎক্ষণিকভাবে চেম্বার জজ আদালতে শরণাপন্ন হওয়ার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, এটি ইনস্ট্যান্টলি আমরা মাননীয় চেম্বার জজের আদালতে এই বিষয়টির যে গুরুত্ব এবং ইম্পোর্টেন্স বলে- আমরা চেম্বার জজের আদালতে হাতে লিখিতভাবে আবেদন করেছি। এই লিখিত আবেদন গ্রহণ করে মাননীয় চেম্বার জজ- হাই কোর্ট ডিভিশন ডাকসু নির্বাচনকে স্থগিত করে যে আদেশ দিয়েছিল, এই আদেশকে সিএমপি ফাইল বা সিভিল মিসিলেনিয়াস পিটিশন ফাইল এবং শুনানির আগ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

অর্থাৎ এই মুহূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে কোনো বাধা থাকল না। এবং যে যেখানে প্রচারণা করছেন, নির্বাচনের যে যেখানে প্রতিযোগিতা করছেন- তাদের প্রতিযোগিতা করার ক্ষেত্রেও এবং প্রচারণা করার ক্ষেত্রেও কোনো বাধা নাই।

শিশির মনির বলেন, আমরা আগামীকালকে সকালে অফিস খুললে সিএমপি দায়ের করব। আশা করি আগামীকালকেই গুরুত্বের বিচারে বাকিটা আদালতে শুনানি হবে। কিন্তু ইন দা মিনটাইম হাই কোর্ট ডিভিশনের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে। অর্থাৎ ডাকসু নির্বাচন আয়োজন, পরিচালনা, ক্যাম্পেইন, ছাত্রদের উৎসব, উৎসাহ- এই ব্যাপারে কোনো স্থগিতাদেশ থাকল না। তিনি বলেন, একজন ক্যান্ডিডেট তিনি নিজেও ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চাননি, তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন একজন প্রার্থীর ব্যাপারে। ফলে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত থাকাটা কেউই ভালোভাবে নেবে বলে আমি মনে করি না। এই কনসার্ন বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় চেম্বার জজ সিএমপি ফাইল এবং শুনানি পর্যন্ত এই (হাই কোর্টের) আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করে দিয়েছেন। এর আগে হাই কোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনের শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। হাই কোর্ট শুনানি নিয়ে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করে এবং আদেশের ১৫ দিনের মধ্যে জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালকে।
৫ আগস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন, এর পরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী হলেন– এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রোববার একটি রিট মামলা হয়। তিন বাম সংগঠন সমর্থিত ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম এ মামলা করেন।

রিট আবেদনকারী বিএম ফাহমিদা আলম সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ফরহাদের অবস্থান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং ফরহাদ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, তার কোনো পদত্যাগের প্রমাণ আমরা পাইনি।

ফরহাদের কর্মকাণ্ড ডাকসুর গঠনতন্ত্রের সঙ্গে ‘সাংঘর্ষিক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, টিএসসিতে তারা রাজাকারদের ছবি টানিয়েছিল। তাদেরকে জাতীয় বীর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার যে প্রচেষ্টা ছিল, সেটি ডাকসুর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশের সঙ্গে বিরোধিতা করে। এ রিট মামলা ডাকসু নির্বাচন ‘বানচাল করার জন্য নয়’ দাবি করে তিনি বলেন, মামলা করার পর থেকে বিভিন্ন ‘বট অ্যাকাউন্ট’ থেকে তিনি বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এর আগে সোমবার মামলা হওয়ার পর ফরহাদ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, “আমার প্রার্থিতাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়েরকারী বামজোটের নেত্রীকে তার উদ্যোগের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বিভিন্ন দল কর্তৃক দীর্ঘ সময় ধরে ছবি এডিট করে, ভিডিও বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার চেয়ে আপনার আইনি উদ্যোগ তুলনামূলক ভালো অ্যাপ্রোচ। বাধা, ষড়যন্ত্র কিংবা অপকৌশল মাড়িয়েই আমাদের নিয়মিত পথচলা; এই যাত্রায় আমরা থামব না, ইনশাআল্লাহ।

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের প্যানেলে ভিপি পদে লড়ছেন সাদিক কায়েম। আর ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ নামে প্যানেলে ভিপি পদপ্রার্থী হয়েছেন মো. নাইম হাসান হৃদয়। জিএস পদে লড়ছেন এনামুল হাসান অনয়। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল (বাংলাদেশ জাসদের ছাত্র সংগঠন) এর সমন্বয়ে এ প্যানেল গঠন করা হয়েছে।

এসি/আপ্র/সানা/০১/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

প্রতিষ্ঠানের স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখার আহ্বান ফায়ার সার্ভিস ডিজির

আটকে গেল হাই কোর্টের আদেশ

ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই

আপডেট সময় : ০৫:১১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: হাই কোর্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দুই মাস স্থগিতের যে আদেশ দিয়েছিল তা এক ঘণ্টার মধ্যে আপিল বিভাগে আটকে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করে দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, চেম্বার আদালতের এই অন্তর্বর্তী আদেশের ফলে ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া চলতে কোনো বাধা থাকল না। এর ঘণ্টাখানেক আগে ডাকসু নির্বাচনের এক প্রার্থীর করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাই কোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেয়। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

হাই কোর্টের আদেশ স্থগিতের পর শিশির মনির বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করা এবং অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে খুবই সিরিয়াস এবং সিনসিয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ মনে করে যে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বা ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদের মধ্যে নতুন সংস্কৃতি তৈরি হবে। এজন্যই আমরা এটা আয়োজন করেছিলাম। এটির সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছিল ২৬ তারিখ; যেখানে আমরা ক্যান্ডিডেটদেরকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছি। তারপরে আজকে পাঁচ দিন পরে একটা রিট পিটিশন করে একটা রুল নেয়া হয়েছে এবং নির্বাচনটাকে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল।
তাৎক্ষণিকভাবে চেম্বার জজ আদালতে শরণাপন্ন হওয়ার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, এটি ইনস্ট্যান্টলি আমরা মাননীয় চেম্বার জজের আদালতে এই বিষয়টির যে গুরুত্ব এবং ইম্পোর্টেন্স বলে- আমরা চেম্বার জজের আদালতে হাতে লিখিতভাবে আবেদন করেছি। এই লিখিত আবেদন গ্রহণ করে মাননীয় চেম্বার জজ- হাই কোর্ট ডিভিশন ডাকসু নির্বাচনকে স্থগিত করে যে আদেশ দিয়েছিল, এই আদেশকে সিএমপি ফাইল বা সিভিল মিসিলেনিয়াস পিটিশন ফাইল এবং শুনানির আগ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

অর্থাৎ এই মুহূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে কোনো বাধা থাকল না। এবং যে যেখানে প্রচারণা করছেন, নির্বাচনের যে যেখানে প্রতিযোগিতা করছেন- তাদের প্রতিযোগিতা করার ক্ষেত্রেও এবং প্রচারণা করার ক্ষেত্রেও কোনো বাধা নাই।

শিশির মনির বলেন, আমরা আগামীকালকে সকালে অফিস খুললে সিএমপি দায়ের করব। আশা করি আগামীকালকেই গুরুত্বের বিচারে বাকিটা আদালতে শুনানি হবে। কিন্তু ইন দা মিনটাইম হাই কোর্ট ডিভিশনের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে। অর্থাৎ ডাকসু নির্বাচন আয়োজন, পরিচালনা, ক্যাম্পেইন, ছাত্রদের উৎসব, উৎসাহ- এই ব্যাপারে কোনো স্থগিতাদেশ থাকল না। তিনি বলেন, একজন ক্যান্ডিডেট তিনি নিজেও ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চাননি, তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন একজন প্রার্থীর ব্যাপারে। ফলে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত থাকাটা কেউই ভালোভাবে নেবে বলে আমি মনে করি না। এই কনসার্ন বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় চেম্বার জজ সিএমপি ফাইল এবং শুনানি পর্যন্ত এই (হাই কোর্টের) আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করে দিয়েছেন। এর আগে হাই কোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনের শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। হাই কোর্ট শুনানি নিয়ে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করে এবং আদেশের ১৫ দিনের মধ্যে জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালকে।
৫ আগস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন, এর পরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী হলেন– এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রোববার একটি রিট মামলা হয়। তিন বাম সংগঠন সমর্থিত ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম এ মামলা করেন।

রিট আবেদনকারী বিএম ফাহমিদা আলম সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ফরহাদের অবস্থান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং ফরহাদ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, তার কোনো পদত্যাগের প্রমাণ আমরা পাইনি।

ফরহাদের কর্মকাণ্ড ডাকসুর গঠনতন্ত্রের সঙ্গে ‘সাংঘর্ষিক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, টিএসসিতে তারা রাজাকারদের ছবি টানিয়েছিল। তাদেরকে জাতীয় বীর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার যে প্রচেষ্টা ছিল, সেটি ডাকসুর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশের সঙ্গে বিরোধিতা করে। এ রিট মামলা ডাকসু নির্বাচন ‘বানচাল করার জন্য নয়’ দাবি করে তিনি বলেন, মামলা করার পর থেকে বিভিন্ন ‘বট অ্যাকাউন্ট’ থেকে তিনি বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এর আগে সোমবার মামলা হওয়ার পর ফরহাদ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, “আমার প্রার্থিতাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়েরকারী বামজোটের নেত্রীকে তার উদ্যোগের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বিভিন্ন দল কর্তৃক দীর্ঘ সময় ধরে ছবি এডিট করে, ভিডিও বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার চেয়ে আপনার আইনি উদ্যোগ তুলনামূলক ভালো অ্যাপ্রোচ। বাধা, ষড়যন্ত্র কিংবা অপকৌশল মাড়িয়েই আমাদের নিয়মিত পথচলা; এই যাত্রায় আমরা থামব না, ইনশাআল্লাহ।

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের প্যানেলে ভিপি পদে লড়ছেন সাদিক কায়েম। আর ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ নামে প্যানেলে ভিপি পদপ্রার্থী হয়েছেন মো. নাইম হাসান হৃদয়। জিএস পদে লড়ছেন এনামুল হাসান অনয়। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল (বাংলাদেশ জাসদের ছাত্র সংগঠন) এর সমন্বয়ে এ প্যানেল গঠন করা হয়েছে।

এসি/আপ্র/সানা/০১/০৯/২০২৫