ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

হাঁটুভাঙ্গা-কোমরভাঙ্গার রাজনীতি

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৬:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

প্রভাষ আমিন : দীর্ঘদিন ‘ঘরোয়া রাজনীতি’ করার পর মাঠে নেমেছে বিএনপি। আর বিএনপি নামার সাথে সাথেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজপথ। কথার লড়াই আগে থেকেই ছিল, এখন চলছে শক্তির লড়াইও। দুই পক্ষই নিজেদের পাকা খেলোয়াড় দাবি করে ‘খেলা হবে’ বলে ঘোষণা দিচ্ছেন।
দুই পক্ষই রীতিমত সাইরেন বাজিয়ে মাঠে নেমেছে। তবে খেলার মাঠটা সমতল নয়। সরকারি দল তো আছেই, তাদের সাথে আছে পুলিশ আর প্রশাসনও। তাই বিএনপি খেলার মাঠে ঠিক সুবিধা করতে পারছে না। মাঠে নামার পর থেকেই বিএনপি হামলার শিকার হচ্ছে। আবার মামলাও হচ্ছে তাদের নামেই। কোথাও সরকারি দল পেটাচ্ছে, কোথাও পুলিশ পেটাচ্ছে, কোথাও ১৪৪ ধারা জারি করে বিএনপির কর্মসূচি আটকে দেয়া হচ্ছে। নানামুখী আক্রমণেও অবশ্য মাঠ ছাড়েনি বিএনপি। মাটি কামড়ে হলেও এবার রাজপথে থাকার প্রত্যয় তাদের। এখন চলছে বিএনপির বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশ। চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া বিভাগীয় সমাবেশের দ্বিতীয়টি হয়েছে ময়মনসিংহে। বিভাগীয় সমাবেশ শেষ হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ দিয়ে। এরই মধ্যে বিএনপি নেতারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে। আপাতত জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, লোডশেডিং ইত্যাদি ইস্যুতে কর্মসূচি পালন করলেও বিএনপির মূল লক্ষ্য নির্বাচন। আন্দোলন করে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করেই তারা নির্বাচনে যেতে চায়। তবে বিএনপি আন্দোলন করে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে দাবি আদায় করে ফেলবে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিষয়টি তত সহজ নয়। আওয়ামী লীগ আন্দোলন করার ব্যাপারে যেমন ওস্তাদ, আন্দোলন দমন করার ব্যাপারেও ততটাই কৌশলী। আওয়ামী লীগ নেতারা শুরুতে বললেন, বিরোধী দলকে আন্দোলনে বাধা দেয়া হবে না। কিন্তু আন্দোলনে জনসমাগম বাড়তে দেখে কৌশল পাল্টালো আওয়ামী লীগ। হামলা-মামলায় আন্দোলন দমানোর চেষ্টা হলো। ভোলা, নারায়ণগঞ্জ আর মুন্সীগঞ্জে প্রাণ গেল চারজনের। বিভাগীয় সমাবেশেও সেই পুরোনো কৌশল। চট্টগ্রামে মোটামুটি বাধা ছাড়াই সমাবেশ করলো বিএনপি। তাতে জনসমাগম দেখে ময়মনসিংহের সমাবেশেই বাধা। বাস বন্ধসহ নানা কৌশলে লোক আটকানো হলো।
সরকারি দলে বাধা ঠেকাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে লাঠি নিয়ে আসতে শুরু করেছে। তাতে সংঘাতের আশঙ্কা আরো বাড়ছে। লাঠি নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়া আইনসম্মত নয়। কিন্তু আপনার যখন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তখন আত্মরক্ষার অধিকার আপনার থাকা উচিত। পুলিশ লাঠি নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দিতে নিষেধ করেছে। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা আইনের চোখে ঠিক আছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে, কর্মসূচিতে আসা-যাওয়ার পথে বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হবে না। কিন্তু সমস্যা হলো, পুলিশ তো সেটা করেই না। বরং অনেক জায়গায় পুলিশই আক্রমণকারী। তবুও পুলিশ লাঠির বিরুদ্ধে বলবে, লাঠি নিয়ে আসলে ব্যবস্থা নেবে; এটা তবু আইনের ভাষা। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখন লাঠির বিরুদ্ধে বলে, তখন আসলে বিষয়টা হাস্যকর লাগে। অতীতে সরকারি বিরোধী আন্দোলনের নামে সহিংসতা আওয়ামী লীগও কম করেনি। আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠার আন্দোলনের কথা এখন মানুষ ভোলেনি। এই লাঠি নিয়ে চলছে কথার লড়াই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হাঁটুভাঙ্গা বিএনপি লাঠির ওপর ভর করেছে। লাঠির দিন চলে গিয়েছিল বিএনপি আবার তা ফিরিয়ে এনেছে। তিনি লাঠি নিয়ে এলে এর জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে বিএনপির নাকি হাঁটু ভাঙ্গা। আমাদের হাঁটু যে ভাঙ্গা নয়, টের পাচ্ছেন। লাঠিও আমরা নিইনি, আপনাদের ইতিমধ্যে কোমর ভেঙে গেছে। সে জন্য আপনারা শুধু লাঠি নয়; ইতিমধ্যে রামদা, তলোয়ার এবং পুলিশের বন্দুকের ওপর হাঁটছেন।’
রাজনীতিতে পাল্টাপাল্টি কথার লড়াই চলে। কথাতেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চান সবাই। কথায় না পারলে লাঠি, গুলি, টিয়ার গ্যাস আসে। কিন্তু দুই প্রতিপক্ষ যখন একে অপরকে ‘হাঁটুভাঙ্গা’ আর ‘কোমরভাঙ্গা’ বলে বিদ্রুপ করেন; তখন আমরা বুঝি আসলে রাজনীতিরই হাটু, কোমর ভেঙ্গে দিয়েছি আমরা। ওবায়দুল কাদেরের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, বিএনপির যদি হাঁটু ভেঙ্গে গিয়েই থাকে, তবে এর দায় অবশ্যই আওয়ামী লীগের। বছরের পর বছর হামলা-মামলায় বিএনপির হাঁটুভাঙ্গার আয়োজন করেছেন তারাই। দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে বলেই বিএনপি এখন লাঠি নিয়ে মাঠে নামছে। আবার আওয়ামী লীগকে প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তোলার দায় কিন্তু বিএনপির। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামল ছিল বিভীষিকার সময়। বিশেষ করে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার পর বিএনপি আওয়ামী লীগের সম্পর্কটা আর স্বাভাবিক থাকেনি। আওয়ামী লীগ যে বিএনপির ব্যাপারে এতটা মারমুখী, সরবার যে বিএনপির হাঁটু ভাঙ্গতে চাইছে; তার কারণ অতীতের প্রতিহিংসা। আর প্রতিহিংসা ডেকে আনে আরো প্রতিহিংসা। তবে হাঁটুভাঙ্গা, কোমরভাঙ্গা- কোনোটাই রাজনীতির জন্য শুভ নয়। আমরা চাই, প্রতিহিংসা নয়, সন্ত্রাস নয়; রাজনীতিতে একটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকবে। বিরোধী দল মাঠে-ময়দানে-রাজপথে প্রতিবাদ করবে, বিক্ষোভ করবে। সরকারি দলও রাজনৈতিকভাবে তাদের মোকাবেলা করবে। বিএনপি একলাখ লোকের সমাবেশ করলে, আওয়ামী লীগ দুই লাখ লোকের সমাবেশ করে তার জবাব দেবে। ভাঙ্গাভাঙ্গি বাদ দিয়ে রাজনীতিতে সেই সুস্থ ধারা ফিরে আসুক।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাঁটুভাঙ্গা-কোমরভাঙ্গার রাজনীতি

আপডেট সময় : ০৯:৪৬:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২

প্রভাষ আমিন : দীর্ঘদিন ‘ঘরোয়া রাজনীতি’ করার পর মাঠে নেমেছে বিএনপি। আর বিএনপি নামার সাথে সাথেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজপথ। কথার লড়াই আগে থেকেই ছিল, এখন চলছে শক্তির লড়াইও। দুই পক্ষই নিজেদের পাকা খেলোয়াড় দাবি করে ‘খেলা হবে’ বলে ঘোষণা দিচ্ছেন।
দুই পক্ষই রীতিমত সাইরেন বাজিয়ে মাঠে নেমেছে। তবে খেলার মাঠটা সমতল নয়। সরকারি দল তো আছেই, তাদের সাথে আছে পুলিশ আর প্রশাসনও। তাই বিএনপি খেলার মাঠে ঠিক সুবিধা করতে পারছে না। মাঠে নামার পর থেকেই বিএনপি হামলার শিকার হচ্ছে। আবার মামলাও হচ্ছে তাদের নামেই। কোথাও সরকারি দল পেটাচ্ছে, কোথাও পুলিশ পেটাচ্ছে, কোথাও ১৪৪ ধারা জারি করে বিএনপির কর্মসূচি আটকে দেয়া হচ্ছে। নানামুখী আক্রমণেও অবশ্য মাঠ ছাড়েনি বিএনপি। মাটি কামড়ে হলেও এবার রাজপথে থাকার প্রত্যয় তাদের। এখন চলছে বিএনপির বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশ। চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া বিভাগীয় সমাবেশের দ্বিতীয়টি হয়েছে ময়মনসিংহে। বিভাগীয় সমাবেশ শেষ হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ দিয়ে। এরই মধ্যে বিএনপি নেতারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে। আপাতত জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, লোডশেডিং ইত্যাদি ইস্যুতে কর্মসূচি পালন করলেও বিএনপির মূল লক্ষ্য নির্বাচন। আন্দোলন করে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করেই তারা নির্বাচনে যেতে চায়। তবে বিএনপি আন্দোলন করে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে দাবি আদায় করে ফেলবে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিষয়টি তত সহজ নয়। আওয়ামী লীগ আন্দোলন করার ব্যাপারে যেমন ওস্তাদ, আন্দোলন দমন করার ব্যাপারেও ততটাই কৌশলী। আওয়ামী লীগ নেতারা শুরুতে বললেন, বিরোধী দলকে আন্দোলনে বাধা দেয়া হবে না। কিন্তু আন্দোলনে জনসমাগম বাড়তে দেখে কৌশল পাল্টালো আওয়ামী লীগ। হামলা-মামলায় আন্দোলন দমানোর চেষ্টা হলো। ভোলা, নারায়ণগঞ্জ আর মুন্সীগঞ্জে প্রাণ গেল চারজনের। বিভাগীয় সমাবেশেও সেই পুরোনো কৌশল। চট্টগ্রামে মোটামুটি বাধা ছাড়াই সমাবেশ করলো বিএনপি। তাতে জনসমাগম দেখে ময়মনসিংহের সমাবেশেই বাধা। বাস বন্ধসহ নানা কৌশলে লোক আটকানো হলো।
সরকারি দলে বাধা ঠেকাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে লাঠি নিয়ে আসতে শুরু করেছে। তাতে সংঘাতের আশঙ্কা আরো বাড়ছে। লাঠি নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়া আইনসম্মত নয়। কিন্তু আপনার যখন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তখন আত্মরক্ষার অধিকার আপনার থাকা উচিত। পুলিশ লাঠি নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দিতে নিষেধ করেছে। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা আইনের চোখে ঠিক আছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে, কর্মসূচিতে আসা-যাওয়ার পথে বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হবে না। কিন্তু সমস্যা হলো, পুলিশ তো সেটা করেই না। বরং অনেক জায়গায় পুলিশই আক্রমণকারী। তবুও পুলিশ লাঠির বিরুদ্ধে বলবে, লাঠি নিয়ে আসলে ব্যবস্থা নেবে; এটা তবু আইনের ভাষা। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখন লাঠির বিরুদ্ধে বলে, তখন আসলে বিষয়টা হাস্যকর লাগে। অতীতে সরকারি বিরোধী আন্দোলনের নামে সহিংসতা আওয়ামী লীগও কম করেনি। আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠার আন্দোলনের কথা এখন মানুষ ভোলেনি। এই লাঠি নিয়ে চলছে কথার লড়াই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হাঁটুভাঙ্গা বিএনপি লাঠির ওপর ভর করেছে। লাঠির দিন চলে গিয়েছিল বিএনপি আবার তা ফিরিয়ে এনেছে। তিনি লাঠি নিয়ে এলে এর জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে বিএনপির নাকি হাঁটু ভাঙ্গা। আমাদের হাঁটু যে ভাঙ্গা নয়, টের পাচ্ছেন। লাঠিও আমরা নিইনি, আপনাদের ইতিমধ্যে কোমর ভেঙে গেছে। সে জন্য আপনারা শুধু লাঠি নয়; ইতিমধ্যে রামদা, তলোয়ার এবং পুলিশের বন্দুকের ওপর হাঁটছেন।’
রাজনীতিতে পাল্টাপাল্টি কথার লড়াই চলে। কথাতেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চান সবাই। কথায় না পারলে লাঠি, গুলি, টিয়ার গ্যাস আসে। কিন্তু দুই প্রতিপক্ষ যখন একে অপরকে ‘হাঁটুভাঙ্গা’ আর ‘কোমরভাঙ্গা’ বলে বিদ্রুপ করেন; তখন আমরা বুঝি আসলে রাজনীতিরই হাটু, কোমর ভেঙ্গে দিয়েছি আমরা। ওবায়দুল কাদেরের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, বিএনপির যদি হাঁটু ভেঙ্গে গিয়েই থাকে, তবে এর দায় অবশ্যই আওয়ামী লীগের। বছরের পর বছর হামলা-মামলায় বিএনপির হাঁটুভাঙ্গার আয়োজন করেছেন তারাই। দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে বলেই বিএনপি এখন লাঠি নিয়ে মাঠে নামছে। আবার আওয়ামী লীগকে প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তোলার দায় কিন্তু বিএনপির। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামল ছিল বিভীষিকার সময়। বিশেষ করে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার পর বিএনপি আওয়ামী লীগের সম্পর্কটা আর স্বাভাবিক থাকেনি। আওয়ামী লীগ যে বিএনপির ব্যাপারে এতটা মারমুখী, সরবার যে বিএনপির হাঁটু ভাঙ্গতে চাইছে; তার কারণ অতীতের প্রতিহিংসা। আর প্রতিহিংসা ডেকে আনে আরো প্রতিহিংসা। তবে হাঁটুভাঙ্গা, কোমরভাঙ্গা- কোনোটাই রাজনীতির জন্য শুভ নয়। আমরা চাই, প্রতিহিংসা নয়, সন্ত্রাস নয়; রাজনীতিতে একটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকবে। বিরোধী দল মাঠে-ময়দানে-রাজপথে প্রতিবাদ করবে, বিক্ষোভ করবে। সরকারি দলও রাজনৈতিকভাবে তাদের মোকাবেলা করবে। বিএনপি একলাখ লোকের সমাবেশ করলে, আওয়ামী লীগ দুই লাখ লোকের সমাবেশ করে তার জবাব দেবে। ভাঙ্গাভাঙ্গি বাদ দিয়ে রাজনীতিতে সেই সুস্থ ধারা ফিরে আসুক।