ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হলুদ খামে খুশির বার্তা

  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

সাহিত্য ডেস্ক : একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনুষ্ঠান কিংবা উৎসবের আয়োজন হয়ে থাকে৷ আর এই আয়োজনজুড়ে থাকেন শিক্ষার্থীরা৷ যখন শ্রেণিকক্ষের দুয়ার বন্ধ। ক্যাম্পাসে শিক্ষকরা আছেন কিন্তু শিক্ষার্থী নেই, ঠিক সেই সময়ে শিক্ষকদের নিয়ে কিছু করার উদ্যোগ নেয় গণ বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (জিবিপিএস)। ভিন্নধর্মী আয়োজনের মধ্য দিয়ে বসন্ত বরণ করেন তারা৷ সেদিন সকালে কয়েকজন শিক্ষার্থী হলুদ খাম হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। ছুটে যান শিক্ষকদের কাছে। এক করিডর থেকে আরেক করিডরের শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে যায় বসন্তের বার্তা ও উপহার।
চিঠি পেয়ে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও গবির বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনসুর মুসা পড়লেন, ‘আজকের দিনটি ভালো কাটুক’। সঙ্গে ছিল একটি চকলেট।
তিনি বললেন, ‘চিরকুটটি দেয়ালে টানিয়ে রাখবো।’ দিনটিকে ফ্রেমবন্দী করতে শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদাম তলায় আমন্ত্রণ জানানো হয়৷এসময় শিক্ষকেরা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা থাকলে মুখরিত লাগে৷ আমরা ভাবিনি শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের শুভেচ্ছা জানাবে। এমন আনন্দময় মুহূর্ত উপহার দেবে।’
ঘড়িতে দুপুর ১টা৷ কাঠবাদাম গাছ চত্বরে শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, সিনিয়র ফটোগ্রাফার রফিকুর রহমান রেকু, সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা। উপস্থিত সবাইকে ফুল দিয়ে আন্তর্জাতিক ভালোবাসা দিবসেরও শুভেচ্ছা জানান তারা৷ফটোসেশনের পরে কেক কাটা হয়।
জিবিপিএস সহ-সভাপতি সুপর্ণা রহমান টুছি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধে পাশে ছিল না বন্ধুরা। কিন্তু দিনটি অবহেলা করলে তো চলে না। ক্যাম্পাসের প্রকৃতিও আমাদের থেমে থাকতে দেবে না। অনুষ্ঠানের বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করতে চাইলাম। শিক্ষার্থী শূন্য ক্যাম্পাসে শিক্ষকেরা একঘেয়েমি সময় কাটাচ্ছিলেন। তাদের ভালো কিছু সময় উপহার দিতে আমাদের এই প্রচেষ্টা।’
জিবিপিএস দপ্তর সম্পাদক হাসিব মীর বলেন, ‘মাত্র ৩ ঘণ্টা সময়ে প্রায় ২০০ জন শিক্ষকের কাছে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছানো চ্যালেঞ্জিং ছিল। শিক্ষকদের সাথে কাটানো হাস্যোজ্জ্বল মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করে ফিরেছি।’
পরে জিবিপিএস কার্যালয় পরিদর্শন করেন সেন্টার ফর মাল্টিডিসিপ্লিনারি রিসার্চের পরিচালক ডা. তরিকুল ইসলাম এবং সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান শহীদ মল্লিক। জিবিপিএস সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তৃতীয় লিঙ্গ প্রহরীদের সাথেও বসন্ত ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেন।
গবির সিনিয়র ফটোগ্রাফার রফিকুর রহমান রেকু বলেন, ‘জিবিপিএস-এর আয়োজন প্রশংসনীয়। ভালো কাজ করেছে৷আশা করি, তাদের সব ভালো উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় পাশে থাকবে।’
উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা না থাকায় তখন কর্তৃপক্ষ কোনো আয়োজন করতে পারেনি। তবে গণ বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি নিজ উদ্যোগে করেছে। এমন আয়োজনে আমরা খুশি।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে ক্যাম্পাস ফটোগ্রাফারদের সংগঠন জিবিপিএস। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে নথিভুক্ত একমাত্র সংগঠন এটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হলুদ খামে খুশির বার্তা

আপডেট সময় : ০৯:৩২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২

সাহিত্য ডেস্ক : একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনুষ্ঠান কিংবা উৎসবের আয়োজন হয়ে থাকে৷ আর এই আয়োজনজুড়ে থাকেন শিক্ষার্থীরা৷ যখন শ্রেণিকক্ষের দুয়ার বন্ধ। ক্যাম্পাসে শিক্ষকরা আছেন কিন্তু শিক্ষার্থী নেই, ঠিক সেই সময়ে শিক্ষকদের নিয়ে কিছু করার উদ্যোগ নেয় গণ বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (জিবিপিএস)। ভিন্নধর্মী আয়োজনের মধ্য দিয়ে বসন্ত বরণ করেন তারা৷ সেদিন সকালে কয়েকজন শিক্ষার্থী হলুদ খাম হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। ছুটে যান শিক্ষকদের কাছে। এক করিডর থেকে আরেক করিডরের শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে যায় বসন্তের বার্তা ও উপহার।
চিঠি পেয়ে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও গবির বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনসুর মুসা পড়লেন, ‘আজকের দিনটি ভালো কাটুক’। সঙ্গে ছিল একটি চকলেট।
তিনি বললেন, ‘চিরকুটটি দেয়ালে টানিয়ে রাখবো।’ দিনটিকে ফ্রেমবন্দী করতে শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদাম তলায় আমন্ত্রণ জানানো হয়৷এসময় শিক্ষকেরা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা থাকলে মুখরিত লাগে৷ আমরা ভাবিনি শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের শুভেচ্ছা জানাবে। এমন আনন্দময় মুহূর্ত উপহার দেবে।’
ঘড়িতে দুপুর ১টা৷ কাঠবাদাম গাছ চত্বরে শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, সিনিয়র ফটোগ্রাফার রফিকুর রহমান রেকু, সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা। উপস্থিত সবাইকে ফুল দিয়ে আন্তর্জাতিক ভালোবাসা দিবসেরও শুভেচ্ছা জানান তারা৷ফটোসেশনের পরে কেক কাটা হয়।
জিবিপিএস সহ-সভাপতি সুপর্ণা রহমান টুছি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধে পাশে ছিল না বন্ধুরা। কিন্তু দিনটি অবহেলা করলে তো চলে না। ক্যাম্পাসের প্রকৃতিও আমাদের থেমে থাকতে দেবে না। অনুষ্ঠানের বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করতে চাইলাম। শিক্ষার্থী শূন্য ক্যাম্পাসে শিক্ষকেরা একঘেয়েমি সময় কাটাচ্ছিলেন। তাদের ভালো কিছু সময় উপহার দিতে আমাদের এই প্রচেষ্টা।’
জিবিপিএস দপ্তর সম্পাদক হাসিব মীর বলেন, ‘মাত্র ৩ ঘণ্টা সময়ে প্রায় ২০০ জন শিক্ষকের কাছে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছানো চ্যালেঞ্জিং ছিল। শিক্ষকদের সাথে কাটানো হাস্যোজ্জ্বল মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করে ফিরেছি।’
পরে জিবিপিএস কার্যালয় পরিদর্শন করেন সেন্টার ফর মাল্টিডিসিপ্লিনারি রিসার্চের পরিচালক ডা. তরিকুল ইসলাম এবং সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান শহীদ মল্লিক। জিবিপিএস সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তৃতীয় লিঙ্গ প্রহরীদের সাথেও বসন্ত ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেন।
গবির সিনিয়র ফটোগ্রাফার রফিকুর রহমান রেকু বলেন, ‘জিবিপিএস-এর আয়োজন প্রশংসনীয়। ভালো কাজ করেছে৷আশা করি, তাদের সব ভালো উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় পাশে থাকবে।’
উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা না থাকায় তখন কর্তৃপক্ষ কোনো আয়োজন করতে পারেনি। তবে গণ বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি নিজ উদ্যোগে করেছে। এমন আয়োজনে আমরা খুশি।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে ক্যাম্পাস ফটোগ্রাফারদের সংগঠন জিবিপিএস। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে নথিভুক্ত একমাত্র সংগঠন এটি।