ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

হরিণা মাছঘাটে ইলিশের মণ লাখ টাকা

  • আপডেট সময় : ০১:১৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুর সংবাদদাতা : চাঁদপুর সদরের মেঘনা উপকূলীয় অন্যতম হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন মাছঘাটে খুবই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ৯শ’ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ টাকা দরে। নদীতে ইলিশ কম এবং আমদানি না থাকায় বাজার দর এতো বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ওই ঘাটে কিছু সময় অবস্থান করে আড়তে আনা ইলিশের দরদাম জানা গেল। তবে এই ঘাটে সাধারণ ক্রেতার চাইতে খুচরা ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেশি। তারা ঘাটের আড়ত থেকে তাজা ইলিশ কিনে শহরে এনে বিক্রি করেন। এই মাছঘাটে দুটি সময় জেলেরা ইলিশ নিয়ে আড়তে আসেন। রাতে যারা মাছ ধরেন তারা নিয়ে আসেন ভোরে এবং সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যারা মাছ ধরেন তারা নিয়ে আসেন দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এছাড়াও দিনজুড়েই আড়তগুলোতে কম-বেশি ইলিশসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, তাজুল ছৈয়ালের আড়তে একজন জেলে নিয়ে আসেন বড় সাইজের ৩টি এবং ছোট সাইজের ৩টি ইলিশ। চাঁদপুর শহর থেকে আসা একজন খুচরা ব্যবসায়ী ছোট ৩টি ইলিশ (জাটকা সাইজ) কিনলেন ৮০০ টাকায়। আর মধ্যম সাইজের ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ৩টি কিনলেন ৩ হাজার টাকায়। এই আড়তেই ৫০০ গ্রাম সাইজের একটি চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকায়। পাশের আড়তে সকাল থেকে জমিয়ে রাখা ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে। একজন ক্রেতা ৪টি ইলিশ কিনলেন ৯ হাজার ৪০০ টাকায়। বিল্লাল হোসেন নামের মাছ ব্যবসায়ী বলেন, আজকে ছোট সাইজের ইলিশ প্রতিহালি বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা দরে। বড় সাইজেরগুলো কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বড় সাইজের পোয়া মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। নদীতে মাছ থাকলে প্রতিদিন এই আড়তে ১০ থেকে ১৫ মণ ইলিশ বিক্রি হয়। এই আড়তের প্রবীণ মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ছৈয়াল বলেন, নদীতে মাছ খুবই কম। আমদানি কম হলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো যায় না। যে কারণে দাম এখন খুবই চড়া। বছরের সবচাইতে বেশি দামে এখন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে এই আড়তের ইলিশ তাজা। বরফ ছাড়াও ক্রেতাদের নেওয়ার সুযোগ আছে। তিনি আরও বলেন, নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। বর্ষা মৌসুম আসন্ন। পানি আরো বাড়লে ও বৃষ্টি হলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের আমদানি বাড়বে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হরিণা মাছঘাটে ইলিশের মণ লাখ টাকা

আপডেট সময় : ০১:১৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

চাঁদপুর সংবাদদাতা : চাঁদপুর সদরের মেঘনা উপকূলীয় অন্যতম হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন মাছঘাটে খুবই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ৯শ’ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ টাকা দরে। নদীতে ইলিশ কম এবং আমদানি না থাকায় বাজার দর এতো বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ওই ঘাটে কিছু সময় অবস্থান করে আড়তে আনা ইলিশের দরদাম জানা গেল। তবে এই ঘাটে সাধারণ ক্রেতার চাইতে খুচরা ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেশি। তারা ঘাটের আড়ত থেকে তাজা ইলিশ কিনে শহরে এনে বিক্রি করেন। এই মাছঘাটে দুটি সময় জেলেরা ইলিশ নিয়ে আড়তে আসেন। রাতে যারা মাছ ধরেন তারা নিয়ে আসেন ভোরে এবং সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যারা মাছ ধরেন তারা নিয়ে আসেন দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এছাড়াও দিনজুড়েই আড়তগুলোতে কম-বেশি ইলিশসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, তাজুল ছৈয়ালের আড়তে একজন জেলে নিয়ে আসেন বড় সাইজের ৩টি এবং ছোট সাইজের ৩টি ইলিশ। চাঁদপুর শহর থেকে আসা একজন খুচরা ব্যবসায়ী ছোট ৩টি ইলিশ (জাটকা সাইজ) কিনলেন ৮০০ টাকায়। আর মধ্যম সাইজের ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ৩টি কিনলেন ৩ হাজার টাকায়। এই আড়তেই ৫০০ গ্রাম সাইজের একটি চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকায়। পাশের আড়তে সকাল থেকে জমিয়ে রাখা ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে। একজন ক্রেতা ৪টি ইলিশ কিনলেন ৯ হাজার ৪০০ টাকায়। বিল্লাল হোসেন নামের মাছ ব্যবসায়ী বলেন, আজকে ছোট সাইজের ইলিশ প্রতিহালি বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা দরে। বড় সাইজেরগুলো কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বড় সাইজের পোয়া মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। নদীতে মাছ থাকলে প্রতিদিন এই আড়তে ১০ থেকে ১৫ মণ ইলিশ বিক্রি হয়। এই আড়তের প্রবীণ মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ছৈয়াল বলেন, নদীতে মাছ খুবই কম। আমদানি কম হলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো যায় না। যে কারণে দাম এখন খুবই চড়া। বছরের সবচাইতে বেশি দামে এখন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে এই আড়তের ইলিশ তাজা। বরফ ছাড়াও ক্রেতাদের নেওয়ার সুযোগ আছে। তিনি আরও বলেন, নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। বর্ষা মৌসুম আসন্ন। পানি আরো বাড়লে ও বৃষ্টি হলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের আমদানি বাড়বে।