ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

হত্যা মামলার তদন্তে সন্ধান মিললো ডাকাত চক্রের

  • আপডেট সময় : ০২:১৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : একটি মাইক্রোবাসে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকে তারা। গাড়িটিতে আগে থেকে যাত্রীবেশে ওঁৎ পেতে থাকে ডাকাতদলের সদস্যরা। এরপর যাত্রীরা উঠলেই কিছুদূর গিয়ে টাকা-মালামালসহ সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে নির্জন স্থানে গিয়ে নামিয়ে দেওয়া ভুক্তভোগী যাত্রীকে। এই ভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে বেড়ায় একটি চক্র। একটি হত্যা মামলার তদন্তের সূত্র ধরে চট্টগ্রাম নগরের অলঙ্কার মোড় এলাকা থেকে বুধবার (১২ জানুয়ারি) গ্রেফতার করা হয় ওই ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে। ওইদিনও তারা এক যাত্রীকে মাইক্রোবাসে তুলে তার পাসপোর্ট, ভিসা ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. শাহ আলম আকন (৩২), আবুল কালাম (৪৭), মো. জাকির হোসেন সাঈদ (৩৬), মো. আল আমিন (২৯), মিজানুর রহমান (৫৩), নাহিদুল ইসলাম ওরফে হারুণ (৩১)। ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর হোসেন মাস্টার নামের এক প্রবাসীকে অলঙ্কার মোড় থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় ডাকাতেরা। তাকে জোরারগঞ্জ এলাকায় নামিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ডাকাতেরা পথিমধ্যে তার পাসপোর্ট, মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর ভুক্তভোগী যাত্রীকে ফেলে দেওয়া হয় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতারিয়া এলাকায়।
এতে গুরুতর আহত হন হোসেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার পরদিন তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহতের ছেলে মঞ্জুর হোসেন বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর মামলাটির তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ। নজরদারি বাড়ানো হয় নগরের অলঙ্কার, একে খান ও সিটি গেট মোড় এলাকায়। একপর্যায়ে গত বুধবার অভিযুক্তরা আরেক যাত্রীকে গাড়িতে তুলে ছিনতাইকালে হাতেনাতে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) শামসুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, গ্রেফতার ছয়জনের মধ্যে চারজন প্রবাসী হোসেন মাস্টার হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এছাড়া ছয়জনের বিরুদ্ধে নগরের পাহাড়তলী থানায় নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হত্যা মামলার তদন্তে সন্ধান মিললো ডাকাত চক্রের

আপডেট সময় : ০২:১৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : একটি মাইক্রোবাসে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকে তারা। গাড়িটিতে আগে থেকে যাত্রীবেশে ওঁৎ পেতে থাকে ডাকাতদলের সদস্যরা। এরপর যাত্রীরা উঠলেই কিছুদূর গিয়ে টাকা-মালামালসহ সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে নির্জন স্থানে গিয়ে নামিয়ে দেওয়া ভুক্তভোগী যাত্রীকে। এই ভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে বেড়ায় একটি চক্র। একটি হত্যা মামলার তদন্তের সূত্র ধরে চট্টগ্রাম নগরের অলঙ্কার মোড় এলাকা থেকে বুধবার (১২ জানুয়ারি) গ্রেফতার করা হয় ওই ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে। ওইদিনও তারা এক যাত্রীকে মাইক্রোবাসে তুলে তার পাসপোর্ট, ভিসা ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. শাহ আলম আকন (৩২), আবুল কালাম (৪৭), মো. জাকির হোসেন সাঈদ (৩৬), মো. আল আমিন (২৯), মিজানুর রহমান (৫৩), নাহিদুল ইসলাম ওরফে হারুণ (৩১)। ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর হোসেন মাস্টার নামের এক প্রবাসীকে অলঙ্কার মোড় থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় ডাকাতেরা। তাকে জোরারগঞ্জ এলাকায় নামিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ডাকাতেরা পথিমধ্যে তার পাসপোর্ট, মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর ভুক্তভোগী যাত্রীকে ফেলে দেওয়া হয় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতারিয়া এলাকায়।
এতে গুরুতর আহত হন হোসেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার পরদিন তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহতের ছেলে মঞ্জুর হোসেন বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর মামলাটির তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ। নজরদারি বাড়ানো হয় নগরের অলঙ্কার, একে খান ও সিটি গেট মোড় এলাকায়। একপর্যায়ে গত বুধবার অভিযুক্তরা আরেক যাত্রীকে গাড়িতে তুলে ছিনতাইকালে হাতেনাতে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) শামসুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, গ্রেফতার ছয়জনের মধ্যে চারজন প্রবাসী হোসেন মাস্টার হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এছাড়া ছয়জনের বিরুদ্ধে নগরের পাহাড়তলী থানায় নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।