ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

হতাশ মাহমুদউল্লাহ

  • আপডেট সময় : ১১:০৮:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা বুঝি একেই বলে। সংবাদ সম্মেলনে দলের হারের কারণ আর হতাশা নিয়ে কথা বলছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এসময়ই উচ্চস্বরে শোনা গেল গান। কাছেই স্কটল্যান্ডের ড্রেসিং রুম, তাদের আনন্দ উৎসব ভেসে এলো বাংলাদেশ অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনেও। বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন মাহমুদউল্লাহ। তার দীর্ঘশ্বাস যেন ভারী হয়ে উঠল আরও। একটু পরে মুখ খুললেন অধিনায়ক। কণ্ঠে ফুটে উঠল কেবল হতাশা, আক্ষেপ আর না পারার বেদনার কথাই। স্কটল্যান্ডের কাছে হারের দায় নিলেন নিজে, দায় দিলেন ব্যাটিং লাইন আপকে। স্কটল্যান্ডের কাছে এবারের আগে একবার খেলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেটি ছিল ৯ বছর আগের একটি দ্বিপাক্ষিক লড়াই। এবারের লড়াই বিশ্বমঞ্চে। হতাশার ওজনও তাই অনেক ভারী। বাংলাদেশ অধিনায়ক তা লুকানোর চেষ্টা করলেন না। উড়িয়ে দিলেন না সামনে পরিবর্তনের সম্ভাবনাও। “হতাশ তো অবশ্যই। হতাশ না হওয়া উচিতও হবে না। আমি খুবই হতাশ। ব্যাটিংই আমাদের চিন্তার জায়গা। ব্যাটিংয়ে আমাদের ভালো করতে হবে। আমার মনে হয়, আমাদের আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে। পরিস্থিতি যাই হোক।” “আমাদের ব্যাটিং লাইন আপ যথেষ্ট গভীর। সাইফ উদ্দিন ৯ নম্বরে খেলে। আমার মতে, ও খুব ভালো ব্যাটসম্যান। হয়তো আমাদের ব্যাটিং লাইনআপে বা অন্য কিছুতে যদি কোনো পরিবর্তনের দরকার হয়, আমরা সেই চিন্তা করব।” উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল যথেষ্টই। ১৪১ রান তাড়া করতে না পারার কারণই নেই। কিন্তু টপ অর্ডারে ব্যর্থ হন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম দীর্ঘ সময় উইকেটে থেকেও ছন্দ পাননি। উল্টো বিদায় নেন দলকে বিপদে ঠেলে।
একই পথের পথিক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও। ব্যাটে-বলে করতেই ধুঁকছিলেন তিনি। শেষ দিকে একটি ছক্কা মারলেও পরে আউট হয়ে যান ২২ বলে ২৩ রান করে। ম্যাচের প্রেক্ষাপটে যে ইনিংস দলকে পেছনে ঠেলে দেয় আরও। অধিনায়ক কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন নিজেকে। বললেন অন্যদের ব্যর্থতার কথাও। “আমি যেভাবে ব্যাটিং করতে চাচ্ছিলাম, পরিস্থিতি অনুযায়ী যেভাবে ব্যাটিং প্রয়োজন ছিল, সেভাবে ব্যাটিং করতে পারিনি। আমার কাছে যেটা মনে হয়, ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের আরও চিন্তা করতে হবে।” “সাকিব আর মুশফিকের জুটিটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মাঝখানে একটা জুটি দরকার ছিল। সেটা হতে পারত আমার আর আফিফ কিংবা সোহানের মাঝে। এই সময়ে একটা ১৫-১৬ রানের ওভার দরকার ছিল। ওদেরও (প্রতিপক্ষকে) কৃতিত্ব দিতে হবে। ওরা (পরিকল্পনা) খুব ভালো বাস্তবায়ন করেছে, আমি সিলি ভুল করেছি।” ম্যাচের প্রথম ভাগে একটা সময় যা অবস্থা ছিল, তাতে ১৪০ রানও করতে পারার কথা নয় স্কটল্যান্ডের। ৫৩ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়েও স্কটিশদের ১০০-১২০ রানের মধ্যে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে বোলারদের সেভাবে দায় দিচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ। আবারও বললেন তিনি ব্যাটিং ব্যর্থতার কথাই। “বোলারদের দোষ দেওয়াটা ঠিক হবে না। পাওয়ার প্লেতে পেসাররা ভালো একটা স্পেল করেছে। পরে স্পিনাররা ভালো করেছে। উইকেট তুলে নিয়েছে। সাকিব ভালো বোলিং করেছে। হয়ত আমরা ডেথে আরেকটু ভালো বোলিং করতে পারতাম। সব মিলিয়ে আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটিং খুবই বাজে ছিল।” “এটা খুবই হতাশাজনক। আমরা এই জিনিসগুলো এখন যদি খেয়াল না করি। পরের ম্যাচে যদি একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে তাহলে আমার মনে, আমাদের ভালো কিছু হবে না।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হতাশ মাহমুদউল্লাহ

আপডেট সময় : ১১:০৮:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা বুঝি একেই বলে। সংবাদ সম্মেলনে দলের হারের কারণ আর হতাশা নিয়ে কথা বলছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এসময়ই উচ্চস্বরে শোনা গেল গান। কাছেই স্কটল্যান্ডের ড্রেসিং রুম, তাদের আনন্দ উৎসব ভেসে এলো বাংলাদেশ অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনেও। বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন মাহমুদউল্লাহ। তার দীর্ঘশ্বাস যেন ভারী হয়ে উঠল আরও। একটু পরে মুখ খুললেন অধিনায়ক। কণ্ঠে ফুটে উঠল কেবল হতাশা, আক্ষেপ আর না পারার বেদনার কথাই। স্কটল্যান্ডের কাছে হারের দায় নিলেন নিজে, দায় দিলেন ব্যাটিং লাইন আপকে। স্কটল্যান্ডের কাছে এবারের আগে একবার খেলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেটি ছিল ৯ বছর আগের একটি দ্বিপাক্ষিক লড়াই। এবারের লড়াই বিশ্বমঞ্চে। হতাশার ওজনও তাই অনেক ভারী। বাংলাদেশ অধিনায়ক তা লুকানোর চেষ্টা করলেন না। উড়িয়ে দিলেন না সামনে পরিবর্তনের সম্ভাবনাও। “হতাশ তো অবশ্যই। হতাশ না হওয়া উচিতও হবে না। আমি খুবই হতাশ। ব্যাটিংই আমাদের চিন্তার জায়গা। ব্যাটিংয়ে আমাদের ভালো করতে হবে। আমার মনে হয়, আমাদের আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে। পরিস্থিতি যাই হোক।” “আমাদের ব্যাটিং লাইন আপ যথেষ্ট গভীর। সাইফ উদ্দিন ৯ নম্বরে খেলে। আমার মতে, ও খুব ভালো ব্যাটসম্যান। হয়তো আমাদের ব্যাটিং লাইনআপে বা অন্য কিছুতে যদি কোনো পরিবর্তনের দরকার হয়, আমরা সেই চিন্তা করব।” উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল যথেষ্টই। ১৪১ রান তাড়া করতে না পারার কারণই নেই। কিন্তু টপ অর্ডারে ব্যর্থ হন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম দীর্ঘ সময় উইকেটে থেকেও ছন্দ পাননি। উল্টো বিদায় নেন দলকে বিপদে ঠেলে।
একই পথের পথিক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও। ব্যাটে-বলে করতেই ধুঁকছিলেন তিনি। শেষ দিকে একটি ছক্কা মারলেও পরে আউট হয়ে যান ২২ বলে ২৩ রান করে। ম্যাচের প্রেক্ষাপটে যে ইনিংস দলকে পেছনে ঠেলে দেয় আরও। অধিনায়ক কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন নিজেকে। বললেন অন্যদের ব্যর্থতার কথাও। “আমি যেভাবে ব্যাটিং করতে চাচ্ছিলাম, পরিস্থিতি অনুযায়ী যেভাবে ব্যাটিং প্রয়োজন ছিল, সেভাবে ব্যাটিং করতে পারিনি। আমার কাছে যেটা মনে হয়, ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের আরও চিন্তা করতে হবে।” “সাকিব আর মুশফিকের জুটিটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মাঝখানে একটা জুটি দরকার ছিল। সেটা হতে পারত আমার আর আফিফ কিংবা সোহানের মাঝে। এই সময়ে একটা ১৫-১৬ রানের ওভার দরকার ছিল। ওদেরও (প্রতিপক্ষকে) কৃতিত্ব দিতে হবে। ওরা (পরিকল্পনা) খুব ভালো বাস্তবায়ন করেছে, আমি সিলি ভুল করেছি।” ম্যাচের প্রথম ভাগে একটা সময় যা অবস্থা ছিল, তাতে ১৪০ রানও করতে পারার কথা নয় স্কটল্যান্ডের। ৫৩ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়েও স্কটিশদের ১০০-১২০ রানের মধ্যে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে বোলারদের সেভাবে দায় দিচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ। আবারও বললেন তিনি ব্যাটিং ব্যর্থতার কথাই। “বোলারদের দোষ দেওয়াটা ঠিক হবে না। পাওয়ার প্লেতে পেসাররা ভালো একটা স্পেল করেছে। পরে স্পিনাররা ভালো করেছে। উইকেট তুলে নিয়েছে। সাকিব ভালো বোলিং করেছে। হয়ত আমরা ডেথে আরেকটু ভালো বোলিং করতে পারতাম। সব মিলিয়ে আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটিং খুবই বাজে ছিল।” “এটা খুবই হতাশাজনক। আমরা এই জিনিসগুলো এখন যদি খেয়াল না করি। পরের ম্যাচে যদি একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে তাহলে আমার মনে, আমাদের ভালো কিছু হবে না।”