ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

হতাশা-তৃপ্তি দুটোই সঙ্গী গুয়ার্দিওলার

  • আপডেট সময় : ১১:০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : স্বপ্নপূরণের খুব কাছে গিয়েও সঙ্গী হয়েছে হতাশা। চেলসির কাছে হেরে হাতছাড়া হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। স্বাভাবিকভাবে হতাশ পেপ গুয়ার্দিওলা। তবে একটা জায়গায় তৃপ্তিও আছে তার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষটা রঙিন না হলেও মৌসুমের অন্যান্য সাফল্য নিয়ে খুশি সিটি কোচ।
পোর্তোর এস্তাদিও দো দ্রাগাওয়ে শনিবার অল ইংলিশ ফাইনালে টমাস টুখেলের দলের বিপক্ষে খুব একটা লড়াই করতে পারেনি সিটি। কাই হাভার্টজের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে হেরে যায় গুয়ার্দিওলার দল।
এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে সিটি। গত ১০ বছরে এটি তাদের পঞ্চম লিগ শিরোপা। ক্লাবটির দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ আসরে গুয়ার্দিওলার তৃতীয় লিগ ট্রফি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্নপূরণে আবারও ব্যর্থ তারা।
ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতায় এটি ছিল সিটির প্রথম ফাইনাল; কিন্তু চূড়ান্ত সাফল্য অধরাই রয়ে গেল। তবু ম্যাচ শেষে মৌসুমের বাকি অর্জনগুলোর দিকে তাকিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন গুয়ার্দিওলা।
“আমি বলব, এটা আমাদের জন্য অসাধারণ একটা মৌসুম ছিল। এখানে (চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে) আসতে পারাটা আমাদের জন্য ছিল একটা স্বপ্ন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা জিততে পারিনি।”
ফাইনালে হারের জন্য অনেকটা অনভিজ্ঞতার দায় দেখছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। আবারও একই মঞ্চে ফেরার প্রত্যয়ও জানালেন।
“আমাদের এই ক্লাবের অধিকাংশেরই এবারই প্রথম এখানে (চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে) আসা, তবে আবারও একদিন এখানে ফেরার চেষ্টা আমরা করব।”
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে দল যেভাবে খেলেছে তাতে খুশি গুয়ার্দিওলা। এই শিক্ষা সামনে কাজে লাগাতে চান তিনি।
“মহামারীর মধ্যে এটা ছিল কঠিন একটা মৌসুম। তবে ভবিষ্যতের জন্য এ থেকে আমরা শিক্ষা নেব। খেলোয়াড়দের প্রতি আমার অগাধ আস্থা আছে, তারা সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করেছিল, তবে আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব। অসাধারণ একটা মৌসুমের জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাতে চাই।”
কোচ হিসেবে দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন গুয়ার্দিওলা, দুইবারই বার্সেলোনার হয়ে। সবশেষটি ২০১১ সালে।
প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও এবারের লিগ কাপ জিতেছে গুয়ার্দিওলার দল। মৌসুমের অধিকাংশ সময় তারা ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু সবচেয়ে বড় ম্যাচেই তাদের পারফরম্যান্স ছিল অনেকটা মলিন। ম্যাচজুড়েই লক্ষ্যে তারা শট রাখতে পারে কেবল একটি! কিছু সুযোগ অবশ্য ছিল। সেগুলো কাজে লাগাতে না পারার হতাশা আছে গুয়ার্দিওলার।
“ম্যাচটা ছিল খুবই আঁটসাঁট এবং আমাদের কিছু সুযোগ ছিল, কিন্তু চেলসির রক্ষণ প্রাচীরের বিপক্ষে সুযোগগুলো কাজে লাগানো সহজ নয়।”
“আমরা লম্বা ও দ্বিতীয় পাসগুলোতে ভুগেছি। এই সময়ে নিজেদের উজ্জীবিত থাকা ও মান ধরে রাখাটা জরুরি। তিন-চারবার আমরা গোলের খুব কাছাকাছি ছিলাম, কিন্তু যথাসময়ে আমরা সঠিক জায়গায় উপস্থিত থাকতে পারিনি।”
মৌসুমের সার্বিক প্রসঙ্গ টেনে গুয়ার্দিওলা বললেন, কিছুদিনের বিশ্রামে যেতে চান তিনি। ফিরে এসে আবারও কাজ শুরু করতে চান আগামী মৌসুমের জন্য।
“আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছি, আবারও প্রিমিয়ার লিগ জিতেছি এবং মৌসুমজুড়ে দারুণ লড়াই করেছি। এখন আমি আমার পরিবারের কাছে যেতে চাই; অনেকদিন হলো আমি তাদের দেখি না। একটা বিশ্রাম নিে

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হতাশা-তৃপ্তি দুটোই সঙ্গী গুয়ার্দিওলার

আপডেট সময় : ১১:০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : স্বপ্নপূরণের খুব কাছে গিয়েও সঙ্গী হয়েছে হতাশা। চেলসির কাছে হেরে হাতছাড়া হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। স্বাভাবিকভাবে হতাশ পেপ গুয়ার্দিওলা। তবে একটা জায়গায় তৃপ্তিও আছে তার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষটা রঙিন না হলেও মৌসুমের অন্যান্য সাফল্য নিয়ে খুশি সিটি কোচ।
পোর্তোর এস্তাদিও দো দ্রাগাওয়ে শনিবার অল ইংলিশ ফাইনালে টমাস টুখেলের দলের বিপক্ষে খুব একটা লড়াই করতে পারেনি সিটি। কাই হাভার্টজের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে হেরে যায় গুয়ার্দিওলার দল।
এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে সিটি। গত ১০ বছরে এটি তাদের পঞ্চম লিগ শিরোপা। ক্লাবটির দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ আসরে গুয়ার্দিওলার তৃতীয় লিগ ট্রফি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্নপূরণে আবারও ব্যর্থ তারা।
ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতায় এটি ছিল সিটির প্রথম ফাইনাল; কিন্তু চূড়ান্ত সাফল্য অধরাই রয়ে গেল। তবু ম্যাচ শেষে মৌসুমের বাকি অর্জনগুলোর দিকে তাকিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন গুয়ার্দিওলা।
“আমি বলব, এটা আমাদের জন্য অসাধারণ একটা মৌসুম ছিল। এখানে (চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে) আসতে পারাটা আমাদের জন্য ছিল একটা স্বপ্ন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা জিততে পারিনি।”
ফাইনালে হারের জন্য অনেকটা অনভিজ্ঞতার দায় দেখছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। আবারও একই মঞ্চে ফেরার প্রত্যয়ও জানালেন।
“আমাদের এই ক্লাবের অধিকাংশেরই এবারই প্রথম এখানে (চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে) আসা, তবে আবারও একদিন এখানে ফেরার চেষ্টা আমরা করব।”
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে দল যেভাবে খেলেছে তাতে খুশি গুয়ার্দিওলা। এই শিক্ষা সামনে কাজে লাগাতে চান তিনি।
“মহামারীর মধ্যে এটা ছিল কঠিন একটা মৌসুম। তবে ভবিষ্যতের জন্য এ থেকে আমরা শিক্ষা নেব। খেলোয়াড়দের প্রতি আমার অগাধ আস্থা আছে, তারা সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করেছিল, তবে আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব। অসাধারণ একটা মৌসুমের জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাতে চাই।”
কোচ হিসেবে দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন গুয়ার্দিওলা, দুইবারই বার্সেলোনার হয়ে। সবশেষটি ২০১১ সালে।
প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও এবারের লিগ কাপ জিতেছে গুয়ার্দিওলার দল। মৌসুমের অধিকাংশ সময় তারা ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু সবচেয়ে বড় ম্যাচেই তাদের পারফরম্যান্স ছিল অনেকটা মলিন। ম্যাচজুড়েই লক্ষ্যে তারা শট রাখতে পারে কেবল একটি! কিছু সুযোগ অবশ্য ছিল। সেগুলো কাজে লাগাতে না পারার হতাশা আছে গুয়ার্দিওলার।
“ম্যাচটা ছিল খুবই আঁটসাঁট এবং আমাদের কিছু সুযোগ ছিল, কিন্তু চেলসির রক্ষণ প্রাচীরের বিপক্ষে সুযোগগুলো কাজে লাগানো সহজ নয়।”
“আমরা লম্বা ও দ্বিতীয় পাসগুলোতে ভুগেছি। এই সময়ে নিজেদের উজ্জীবিত থাকা ও মান ধরে রাখাটা জরুরি। তিন-চারবার আমরা গোলের খুব কাছাকাছি ছিলাম, কিন্তু যথাসময়ে আমরা সঠিক জায়গায় উপস্থিত থাকতে পারিনি।”
মৌসুমের সার্বিক প্রসঙ্গ টেনে গুয়ার্দিওলা বললেন, কিছুদিনের বিশ্রামে যেতে চান তিনি। ফিরে এসে আবারও কাজ শুরু করতে চান আগামী মৌসুমের জন্য।
“আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছি, আবারও প্রিমিয়ার লিগ জিতেছি এবং মৌসুমজুড়ে দারুণ লড়াই করেছি। এখন আমি আমার পরিবারের কাছে যেতে চাই; অনেকদিন হলো আমি তাদের দেখি না। একটা বিশ্রাম নিে