ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

হঠাৎ মেঘনার ভাঙনে বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন

  • আপডেট সময় : ১১:১৬:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীর ভাঙনে দুইশ মিটার ভূমি ও সড়ক, ২০টি কাঁচাঘর ও যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপোর ইবাদতখানার একাংশসহ বেশকিছু স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে বিএডিসির সার গুদাম ও যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপোসহ আরও তিনটি তেলের ডিপো। গতকাল রোববার ভোরে ভৈরব বাজার ত্রি সেতু এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ফজরের আজানের আগমুহূর্তে হঠাৎ মেঘনা নদী পাড়ে ভাঙন শুরু হয়। মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয়েছে নদীর তীরঘেঁষা বাজারে প্রবেশের বাইপাস সড়কটি। এছাড়া ১০০ মিটার ভূমিসহ ২০টি কাঁচাঘর, যমুনা অয়েল কোম্পানি ডিপোর একাংশসহ বেশকিছু স্থাপনা মুহূর্তের মধ্যে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এখনো নদীভাঙন অব্যাহত থাকায় হুমকিতে পড়েছে কয়েক হাজার সারের বস্তাসহ বিএডিসি গোডাউন ও যমুনা অয়েল কোম্পানিসহ তিন তেলের ডিপো। এই অবস্থায় দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের। তবে অনেকের অভিযোগ, গত কয়েক সপ্তাহ যাবত মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ প্রান্তে অবৈধভাবে দিনরাত বালু উত্তোলনের কারণে ভৈরবে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তুহিন বলেন, গত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে মেঘনায় ভাঙন শুরু হয়। এই সময় অনেকেই ঘুমে থাকায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক এক করে কাঁচাঘর, যমুনা অয়েলের প্রতিরোধ দেওয়াল ও তেলের ডিপোর ইবাদতখানা ও তেলের পাইপলাইন নদীতেবিলীন হয়। ভোর হওয়ার পর অনেকে তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়। ভাঙনে ৫০ মিটার বাইপাস সড়কও নদীতেচলে যায়।
ভৈরবের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিদুওয়ান আহমেদ জানান, ভোরে হঠাৎ করে নদীভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বেশ কিছু কাঁচাঘর ও তেলের ডিপোর কিছু অংশ নদীতেবিলীন হয়েছে। খবর পেয়েই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হঠাৎ মেঘনার ভাঙনে বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন

আপডেট সময় : ১১:১৬:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীর ভাঙনে দুইশ মিটার ভূমি ও সড়ক, ২০টি কাঁচাঘর ও যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপোর ইবাদতখানার একাংশসহ বেশকিছু স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে বিএডিসির সার গুদাম ও যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপোসহ আরও তিনটি তেলের ডিপো। গতকাল রোববার ভোরে ভৈরব বাজার ত্রি সেতু এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ফজরের আজানের আগমুহূর্তে হঠাৎ মেঘনা নদী পাড়ে ভাঙন শুরু হয়। মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয়েছে নদীর তীরঘেঁষা বাজারে প্রবেশের বাইপাস সড়কটি। এছাড়া ১০০ মিটার ভূমিসহ ২০টি কাঁচাঘর, যমুনা অয়েল কোম্পানি ডিপোর একাংশসহ বেশকিছু স্থাপনা মুহূর্তের মধ্যে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এখনো নদীভাঙন অব্যাহত থাকায় হুমকিতে পড়েছে কয়েক হাজার সারের বস্তাসহ বিএডিসি গোডাউন ও যমুনা অয়েল কোম্পানিসহ তিন তেলের ডিপো। এই অবস্থায় দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের। তবে অনেকের অভিযোগ, গত কয়েক সপ্তাহ যাবত মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ প্রান্তে অবৈধভাবে দিনরাত বালু উত্তোলনের কারণে ভৈরবে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তুহিন বলেন, গত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে মেঘনায় ভাঙন শুরু হয়। এই সময় অনেকেই ঘুমে থাকায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক এক করে কাঁচাঘর, যমুনা অয়েলের প্রতিরোধ দেওয়াল ও তেলের ডিপোর ইবাদতখানা ও তেলের পাইপলাইন নদীতেবিলীন হয়। ভোর হওয়ার পর অনেকে তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়। ভাঙনে ৫০ মিটার বাইপাস সড়কও নদীতেচলে যায়।
ভৈরবের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিদুওয়ান আহমেদ জানান, ভোরে হঠাৎ করে নদীভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বেশ কিছু কাঁচাঘর ও তেলের ডিপোর কিছু অংশ নদীতেবিলীন হয়েছে। খবর পেয়েই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।