কক্সবাজার প্রতিনিধি: হঠাৎ কক্সবাজারে এসেছেন সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
তার সঙ্গে ছিলেন কে এম আতিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া নামে আরো দুজন। তবে তাদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় মেলেনি।
বিমানবন্দর থেকে তারা সোজা নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে যান। সেখান থেকে স্পিডবোটে মহেশখালীতে পৌঁছান। মহেশখালীতে পিটার হাস ঘুরে দেখেন হোপ ফাউন্ডেশন ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ‘এক্সিলারেট হোপ হসপিটাল’।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক জানান, বেলা ১১টার দিকে তিনি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পৌঁছান বলে নিশ্চিত করেন।
হাসপাতালে প্রবেশের পর তাকে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর। এসময় হাসপাতালের অবকাঠামো ও চিকিৎসাসেবার নানান দিক ঘুরে দেখেন। পরে হাসপাতাল চত্বরে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতেও যোগ দেন। পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধিদলটি বড় মহেশখালীতে আরো কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দেয়।
পিটার হাস বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তরল প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ঘিরে তার এ সফর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে সম্প্রতি কক্সবাজারে এনসিপির পাঁচ নেতার সঙ্গে তার একটি গোপন বৈঠক হয়েছে এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও বৈঠকের সত্যতা মেলেনি। সেই আলোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই সাবেক রাষ্ট্রদূতের অকস্মাৎ কক্সবাজার সফর নিয়ে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, সাবেক রাষ্ট্রদূতের এ সফর নিছক হাসপাতাল ঘুরে দেখা বা আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং এর পেছনে থাকতে পারে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বার্তা। মহেশখালীর কৌশলগত অবস্থান এবং জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ-সবকিছু মিলিয়েই সফরটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।
সফর ঘিরে কক্সবাজারে ছিল কড়া নিরাপত্তা। বিমানবন্দর থেকে মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পিটার হাসের সফরসঙ্গী আতিকুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া কারা এ প্রশ্নও এখন ঘুরছে কক্সবাজারের রাজনৈতিক অঙ্গনে। স্পষ্ট তথ্য না থাকায় গুঞ্জন আরো ঘনীভূত হচ্ছে।
এদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন পিটার হাসের অকস্মাৎ কক্সবাজার আগমন নিশ্চিত করলেও কী কারণে এসেছেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি।
এসি/আপ্র/০৩/০৯/২০২৫