প্রযুক্তি ডেস্ক : একাধিক তালেবান ওয়েবসাইট এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হঠাৎ করেই অফলাইনে চলে গেছে। পশতু, দারি, আরবি, উর্দু এবং ইংরেজি ভাষায় পরিচালিত পাঁচটি তালেবান সাইট এখন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না।
কাজটি কারা করেছে বা কী কারণে ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট শুক্রবার। পাবলিক রেকর্ড বলছে, ওয়েব কাঠামো ও সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্লাউডফ্লেয়ার ওই পাঁচ ওয়েব পেইজের সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে। ক্লাউডফ্লেয়ার ওই পাঁচ ওয়েবসাইটের সুরক্ষা সরিয়ে নিয়েছে কি না বা বর্তমানে বিভ্রাট কবলিত সাইটগুলোকে সেবা দিচ্ছে কি না, তা জানা যায়নি। এ ব্যাপারে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়াও দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। সেবা বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়ার নজির রয়েছে ক্লাউডফ্লেয়ারের। বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদন বলছে, এর আগে উগ্রবাদী সংগঠনের অনলাইন উপস্থিতিতে একাধিকবার সেবা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৭ সালে নিও-নাৎসি ওয়েবসাইট ডেইলি স্টর্মার –এর সুরক্ষা সরিয়ে নিয়েছিল তারা। একই কাজ ২০১৯ সালে করেছিল অনলাইন মেসেজ ফোরাম ৮চ্যানের ক্ষেত্রেও।
অন্যদিকে, ‘এসআইটিই ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’ এর তথ্য অনুসারে, শুক্রবার একাধিক তালেবান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ অফলাইনে চলে গেছে। ‘এসআইটিই ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’ হচ্ছে মার্কিন অলাভজনক একটি সংস্থা যা ইন্টারনেটে উগ্রবাদী কর্মকা-ের বিষয়ে নজর রাখে। হোয়াটসঅ্যাপ মালিক ফেইসবুক অবশ্য সোমবারেই জানিয়েছে, তালেবানকে তারা উগ্রবাদী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে এবং তাদের প্ল্যাটফর্মে তালেবান সমর্থিত সব ধরনের কন্টেন্ট নিষিদ্ধ। তালেবানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে টুইটার ও ইউটিউবও পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। তবে, প্ল্যাটফর্ম দুটির এ সম্পর্কিত নীতিমালা এখনও অস্পষ্ট এবং টুইটারে একাধিক তালেবান মুখপাত্রের সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে।
তালেবানদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বন্ধের নেপথ্যে হোয়াটসঅ্যাপেরই হাত রয়েছে কি না, তা জানা যায়নি এখনও। এ বিষয়ে এনক্রিপ্টেড মেসেজিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি।
হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, “আমরা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আইন মেনে চলতে বাধ্য। এর মধ্যে তালেবানের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট হিসেবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করে এমন অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার বিষয়ও রয়েছে।
“আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ ব্যাপারে আরও তথ্য পাওয়ার জন্য সচেষ্ট রয়েছি।”