ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

হজম সহায়ক মুলা

  • আপডেট সময় : ১১:২৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : শীতকালীন সবজিতে এখন বাজার ভরপুর। এ মৌসুমের সবজির মধ্যে বেশ পরিচিত মুলা। কিন্তু মুলা দেখলেই অনেকেই নাক সিঁটকান। অনেকে আবার ঝাঁঝালো গন্ধের জন্য মুলা খেতে চান না। কারও কারও আবার মুলা খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়। তবে অনেকেরই হয়তো জানা নেই, মুলা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। এতে থাকা ফোলেট, ফাইবার, রাইবোফ্ল্যাবেন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ক্যালশিয়াম নানা রোগ ভোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। মুলা খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
পুষ্টিগুণে ভরপুর : মুলায় ফোলেট বা ভিটামিন বি-এর উপস্থিতি লোহিত রক্তকণিকা সংশ্লেষণে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। এ ছাড়াও, মুলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, যা শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে, পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতায় সাহায্য করে। এতে ক্যালসিয়ামও রয়েছে, যা কেবল হাড়ের শক্তিই বাড়ায় না, পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপও কমায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ : মুলায় রয়েছে গ্লুকোসিনোলেটস নামক এ ধরনের সালফার-সমৃদ্ধ যৌগ, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। ভবিষ্যতে ক্যান্সারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন কোষগুলির নির্মূল প্রক্রিয়ায়ও সহায়তা করে এই যৌগ।
হজমে সাহায্য করে : যারা প্রায়ই বদহজম, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যায় ভোগেন, তাদের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই মুলা রাখুন। মুলা ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করবে। মুলোয় পানির পরিমাণ প্রায় শসার মতোই। ১০০ গ্রাম মুলায় ৯৩ দশমিক ৫ গ্রাম পানি রয়েছে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী: ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্যতালিকায় অবশ্যই মুলা যোগ করুন। এই সবজিটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
হৃৎপি- ভালো রাখে : মুলা অ্যান্থোসায়ানিনের দারুণ উৎস। এটি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ ফ্ল্যাভোনয়েড, যা হৃৎপি-ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত মুলা খেলে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। সূত্র: বোল্ড স্কাই

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

হজম সহায়ক মুলা

আপডেট সময় : ১১:২৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : শীতকালীন সবজিতে এখন বাজার ভরপুর। এ মৌসুমের সবজির মধ্যে বেশ পরিচিত মুলা। কিন্তু মুলা দেখলেই অনেকেই নাক সিঁটকান। অনেকে আবার ঝাঁঝালো গন্ধের জন্য মুলা খেতে চান না। কারও কারও আবার মুলা খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়। তবে অনেকেরই হয়তো জানা নেই, মুলা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। এতে থাকা ফোলেট, ফাইবার, রাইবোফ্ল্যাবেন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ক্যালশিয়াম নানা রোগ ভোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। মুলা খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
পুষ্টিগুণে ভরপুর : মুলায় ফোলেট বা ভিটামিন বি-এর উপস্থিতি লোহিত রক্তকণিকা সংশ্লেষণে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। এ ছাড়াও, মুলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, যা শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে, পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতায় সাহায্য করে। এতে ক্যালসিয়ামও রয়েছে, যা কেবল হাড়ের শক্তিই বাড়ায় না, পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপও কমায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ : মুলায় রয়েছে গ্লুকোসিনোলেটস নামক এ ধরনের সালফার-সমৃদ্ধ যৌগ, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। ভবিষ্যতে ক্যান্সারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন কোষগুলির নির্মূল প্রক্রিয়ায়ও সহায়তা করে এই যৌগ।
হজমে সাহায্য করে : যারা প্রায়ই বদহজম, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যায় ভোগেন, তাদের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই মুলা রাখুন। মুলা ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করবে। মুলোয় পানির পরিমাণ প্রায় শসার মতোই। ১০০ গ্রাম মুলায় ৯৩ দশমিক ৫ গ্রাম পানি রয়েছে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী: ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্যতালিকায় অবশ্যই মুলা যোগ করুন। এই সবজিটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
হৃৎপি- ভালো রাখে : মুলা অ্যান্থোসায়ানিনের দারুণ উৎস। এটি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ ফ্ল্যাভোনয়েড, যা হৃৎপি-ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত মুলা খেলে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। সূত্র: বোল্ড স্কাই