ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজটে বছরে ক্ষতি ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি

  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক দুর্ঘটনা ও ঢাকার যানজটের কারণে প্রতি বছর ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় উল্লেখ করে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। যা বাংলাদেশের জিডিপির পাঁচ শতাংশ।
গতকাল রোববার দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) পরিচালিত ষষ্ঠ ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ টেকনিকস ফর ট্রান্সপোর্টেশন প্ল্যানিগ অ্যান্ড রোড সেফটি’ শীর্ষক ট্রেনিং প্রোগ্রামের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য উপস্থাপন করেন এআরআই অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী এবং বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এআরআই পরিচালক অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান।
অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু’স ভিশন ফর রোড সেফটি প্রমোশন: পলিসি ল্যাপস-গ্যাপস অ্যান্ড মুভিং টুয়ার্ডস ডিজাইনিং ইনটারভেনশন’ শীর্ষক প্রস্তাবনা পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন এআরআইয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার। এসময় তিনি জানান, দেশে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে বার্ষিক ৭০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয় যা পিডিপির ২ শতাংশ। এছাড়া শুধু ঢাকায় ট্রাফিক জ্যামের কারণে বার্ষিক ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় যা জিডিপির ৩ শতাংশ। বছরে মোট ক্ষতি ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে হলে গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। আমি চাইবো যেন নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণের উপর যথাযথ গবেষণা করা হয়। গবেষণা ফল থেকে পাওয়া সুপারিশ প্রস্তাবনা আকারে যেন একনেকের টেবিলে আসে।
সভাপতির বক্তব্যে সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার পর এর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে গবেষণা না করে বরং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে করণীয় নিয়ে গবেষণা করতে হবে। ড্রাইভারদের লাইসেন্স দেওয়ার পর তাদের মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে ১০০ নম্বরের মধ্যে মার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে কিংবা আইন না মানলে- নেগেটিভ মার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেই নম্বর ৪০ এর নিচে নামলে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এইভাবে পদক্ষেপ নেওয়া গেলে ড্রাইভাররা সচেতন হবেন। একইসঙ্গে ট্রাফিক সিস্টেমের উন্নয়ন করতে হবে। সর্বোপরি, গণমাধ্যম, বিলবোর্ড ইত্যাদি মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সড়ক আইন মানার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে তিন ক্যাটাগরিতে সেরা তিন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- ‘প্রপোজাল রাইটিং’- এ বিজন হালদার জয়, ‘কোশ্চেনেয়ার ডিজাইন’- এ মিজানুর রহমান এবং প্রেজেন্টেশন- রতœা খাতুন। ২০১৬ সাল থেকে সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বুয়েটের ‘অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই)’ এই চার মাস মেয়াদি এই ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করে আসছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করতে চায় জার্মানি

সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজটে বছরে ক্ষতি ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি

আপডেট সময় : ০১:৫৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক দুর্ঘটনা ও ঢাকার যানজটের কারণে প্রতি বছর ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় উল্লেখ করে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। যা বাংলাদেশের জিডিপির পাঁচ শতাংশ।
গতকাল রোববার দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) পরিচালিত ষষ্ঠ ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ টেকনিকস ফর ট্রান্সপোর্টেশন প্ল্যানিগ অ্যান্ড রোড সেফটি’ শীর্ষক ট্রেনিং প্রোগ্রামের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য উপস্থাপন করেন এআরআই অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী এবং বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এআরআই পরিচালক অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান।
অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু’স ভিশন ফর রোড সেফটি প্রমোশন: পলিসি ল্যাপস-গ্যাপস অ্যান্ড মুভিং টুয়ার্ডস ডিজাইনিং ইনটারভেনশন’ শীর্ষক প্রস্তাবনা পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন এআরআইয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার। এসময় তিনি জানান, দেশে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে বার্ষিক ৭০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয় যা পিডিপির ২ শতাংশ। এছাড়া শুধু ঢাকায় ট্রাফিক জ্যামের কারণে বার্ষিক ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় যা জিডিপির ৩ শতাংশ। বছরে মোট ক্ষতি ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে হলে গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। আমি চাইবো যেন নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণের উপর যথাযথ গবেষণা করা হয়। গবেষণা ফল থেকে পাওয়া সুপারিশ প্রস্তাবনা আকারে যেন একনেকের টেবিলে আসে।
সভাপতির বক্তব্যে সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার পর এর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে গবেষণা না করে বরং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে করণীয় নিয়ে গবেষণা করতে হবে। ড্রাইভারদের লাইসেন্স দেওয়ার পর তাদের মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে ১০০ নম্বরের মধ্যে মার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে কিংবা আইন না মানলে- নেগেটিভ মার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেই নম্বর ৪০ এর নিচে নামলে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এইভাবে পদক্ষেপ নেওয়া গেলে ড্রাইভাররা সচেতন হবেন। একইসঙ্গে ট্রাফিক সিস্টেমের উন্নয়ন করতে হবে। সর্বোপরি, গণমাধ্যম, বিলবোর্ড ইত্যাদি মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সড়ক আইন মানার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে তিন ক্যাটাগরিতে সেরা তিন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- ‘প্রপোজাল রাইটিং’- এ বিজন হালদার জয়, ‘কোশ্চেনেয়ার ডিজাইন’- এ মিজানুর রহমান এবং প্রেজেন্টেশন- রতœা খাতুন। ২০১৬ সাল থেকে সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বুয়েটের ‘অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই)’ এই চার মাস মেয়াদি এই ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করে আসছে।