ঢাকা ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার, বোর্ড গঠন

  • আপডেট সময় : ০১:০৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবি নিষ্পত্তির জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেছে সরকার। তবে এই ট্রাস্টি বোর্ড কার্যকর হবে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বিধিমালা প্রণয়নের পর। বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করতে পারবে। তবে এসব আবেদন বোর্ড পুরোপুরি কার্যকরের পর নিষ্পত্তি হবে। বিধিমালা তৈরিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ফলে ক্ষতিপূরণ পেতে অপেক্ষা করতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের। সড়ক পরিবহন আইন -২০১৮ এর বিধিমালা সরকারি তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ ও পদ্ধতি নির্ধারণ করবে। সেখান থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে সড়ক দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের।
১২ সদস্যের এই বোর্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান। বাকিদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন সরকারি সংস্থার, দুজন পরিবহন নেতা এবং একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮ পাস হয়েছে তিন বছর আগে। বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব নিয়োগের প্রায় এক বছর পর বোর্ডগঠন হলো। দেশে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় বিপুল পরিমাণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ ঘটনা মোটরসাইকেল ও মহাসড়কে। এসব ঘটনায় আহতদের সংখ্যাও কম নয়। সড়কের রক্তাক্ত পরিস্থিতি ২০১৮ সালে আন্দোলনে রূপ নেয়। সে বছর দুটি বড় আন্দোলন গড়ে উঠে সড়কের নিরাপত্তার দাবিতে। আন্দোলনের পর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮ পাস হয়। যা অতীতের আইনগুলোর তুলনায় বেশ কঠোর। কিন্তু এই আইনে আপত্তি আছে পরিবহন সমিতির। তাদের চাপে সরকার আইন কার্যকর করতে দুই বছরেরও বেশি দেরি করে। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বিধিমালা প্রণয়ন করতে না পারায় আইনটি বর্তমানে আংশিকভাবে প্রয়োগ হচ্ছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার, বোর্ড গঠন

আপডেট সময় : ০১:০৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবি নিষ্পত্তির জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেছে সরকার। তবে এই ট্রাস্টি বোর্ড কার্যকর হবে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বিধিমালা প্রণয়নের পর। বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করতে পারবে। তবে এসব আবেদন বোর্ড পুরোপুরি কার্যকরের পর নিষ্পত্তি হবে। বিধিমালা তৈরিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ফলে ক্ষতিপূরণ পেতে অপেক্ষা করতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের। সড়ক পরিবহন আইন -২০১৮ এর বিধিমালা সরকারি তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ ও পদ্ধতি নির্ধারণ করবে। সেখান থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে সড়ক দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের।
১২ সদস্যের এই বোর্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান। বাকিদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন সরকারি সংস্থার, দুজন পরিবহন নেতা এবং একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮ পাস হয়েছে তিন বছর আগে। বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব নিয়োগের প্রায় এক বছর পর বোর্ডগঠন হলো। দেশে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় বিপুল পরিমাণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ ঘটনা মোটরসাইকেল ও মহাসড়কে। এসব ঘটনায় আহতদের সংখ্যাও কম নয়। সড়কের রক্তাক্ত পরিস্থিতি ২০১৮ সালে আন্দোলনে রূপ নেয়। সে বছর দুটি বড় আন্দোলন গড়ে উঠে সড়কের নিরাপত্তার দাবিতে। আন্দোলনের পর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮ পাস হয়। যা অতীতের আইনগুলোর তুলনায় বেশ কঠোর। কিন্তু এই আইনে আপত্তি আছে পরিবহন সমিতির। তাদের চাপে সরকার আইন কার্যকর করতে দুই বছরেরও বেশি দেরি করে। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বিধিমালা প্রণয়ন করতে না পারায় আইনটি বর্তমানে আংশিকভাবে প্রয়োগ হচ্ছে।