ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

সড়ক দখল, তিন ভবনের বর্ধিতাংশ গুঁড়িয়ে দিল ডিএনসিসি

  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করে সড়ক দখল করার দায়ে তিনটি ভবনের বর্ধিতাংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডের তিন নম্বর সড়কের তিনটি ভবনের বর্ধিতাংশ গুঁড়িয়ে দেয় নগর কর্তৃপক্ষ। সকালে রামচন্দ্রপুর খাল পরিদর্শনে গিয়ে উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম এই ভবনগুলো সনাক্ত করেন। এ সময় তিনি ভবনের বর্ধিতাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় একটি ভবনের সামনে পাকা করে ছাউনি তৈরি করা হয়েছিল, যা গুঁড়িয়ে দেয় নগর কর্তৃপক্ষ। অপর একটি ভবনে সড়ক দখল করে ভবনের মূল ফটক ও বাগান করা হয়েছিল, যা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর অপর একটি ভবনের গ্যারেজের মূল ফটকের পুরোটাই রাস্তার উপর শনাক্ত হয়। যা তাৎক্ষনিকভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উত্তর সিটি। এ বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘সবাই মিলে সবার ঢাকাকে দখল ও দূষণমুক্ত করে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় পরিণত করতে হবে।’
নভেম্বরে খালের সীমানা নির্ধারণ করবে সেনাবাহিনী : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন খালের সীমানা নির্ধারণের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সেনাবাহিনী আগামী মাসে খালের সীমানা নির্ধারণ করে দেবে বলে জানান মেয়র।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদিয়া হাউজিং লিমিটেড এলাকার রামচন্দ্রপুর খাল পরিদর্শনে এসে মেয়র আতিক বলেন, ‘খালের সীমানা আমরা পাইনি। সীমানা নির্ধারণের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বরে সেনাবাহিনী সীমানা নির্ধারণ করে দেবে।’
খাল সংলগ্ন স্থাপনা মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা খালের উপর বাড়ি করেছেন, তারা সরে যান। খালের পাড়ে বৃক্ষরোপণ করা হবে। জায়গা থাকলে সাইকেল লেন করা হবে।’
খালের পাড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে জানিয়ে উত্তরের মেয়র বলেন, ‘সিসি ক্যামেরায় আমরা যদি দেখি কেউ খালে ময়লা ফেলছে, তাহলে জেল, জরিমানা সব করে দিয়ে যাব। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করে যারা খালে ময়লা ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করব।’
এ সময় মেয়র খাল সংলগ্ন কয়েকটি বাড়ি ঘুরে দেখেন। বাড়ি থেকে সরাসরি খালে সুয়ারেজ লাইন দেওয়া হয়েছে দেখে আক্ষেপ প্রকাশ করেন মেয়র আতিক। সুয়ারেজের লাইন সরাসরি খালে না দিয়ে বাড়ির মধ্যে পয়ঃবর্জ্য প্লান্ট করার নির্দেশ দেন। এজন্য বাড়ি মালিকদের ছয় মাসের সময় বেঁধে দেন তিনি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডোর এস. এম. শরীফ উল ইসলাম, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সড়ক দখল, তিন ভবনের বর্ধিতাংশ গুঁড়িয়ে দিল ডিএনসিসি

আপডেট সময় : ১২:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করে সড়ক দখল করার দায়ে তিনটি ভবনের বর্ধিতাংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডের তিন নম্বর সড়কের তিনটি ভবনের বর্ধিতাংশ গুঁড়িয়ে দেয় নগর কর্তৃপক্ষ। সকালে রামচন্দ্রপুর খাল পরিদর্শনে গিয়ে উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম এই ভবনগুলো সনাক্ত করেন। এ সময় তিনি ভবনের বর্ধিতাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় একটি ভবনের সামনে পাকা করে ছাউনি তৈরি করা হয়েছিল, যা গুঁড়িয়ে দেয় নগর কর্তৃপক্ষ। অপর একটি ভবনে সড়ক দখল করে ভবনের মূল ফটক ও বাগান করা হয়েছিল, যা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর অপর একটি ভবনের গ্যারেজের মূল ফটকের পুরোটাই রাস্তার উপর শনাক্ত হয়। যা তাৎক্ষনিকভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উত্তর সিটি। এ বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘সবাই মিলে সবার ঢাকাকে দখল ও দূষণমুক্ত করে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় পরিণত করতে হবে।’
নভেম্বরে খালের সীমানা নির্ধারণ করবে সেনাবাহিনী : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন খালের সীমানা নির্ধারণের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সেনাবাহিনী আগামী মাসে খালের সীমানা নির্ধারণ করে দেবে বলে জানান মেয়র।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদিয়া হাউজিং লিমিটেড এলাকার রামচন্দ্রপুর খাল পরিদর্শনে এসে মেয়র আতিক বলেন, ‘খালের সীমানা আমরা পাইনি। সীমানা নির্ধারণের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বরে সেনাবাহিনী সীমানা নির্ধারণ করে দেবে।’
খাল সংলগ্ন স্থাপনা মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা খালের উপর বাড়ি করেছেন, তারা সরে যান। খালের পাড়ে বৃক্ষরোপণ করা হবে। জায়গা থাকলে সাইকেল লেন করা হবে।’
খালের পাড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে জানিয়ে উত্তরের মেয়র বলেন, ‘সিসি ক্যামেরায় আমরা যদি দেখি কেউ খালে ময়লা ফেলছে, তাহলে জেল, জরিমানা সব করে দিয়ে যাব। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করে যারা খালে ময়লা ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করব।’
এ সময় মেয়র খাল সংলগ্ন কয়েকটি বাড়ি ঘুরে দেখেন। বাড়ি থেকে সরাসরি খালে সুয়ারেজ লাইন দেওয়া হয়েছে দেখে আক্ষেপ প্রকাশ করেন মেয়র আতিক। সুয়ারেজের লাইন সরাসরি খালে না দিয়ে বাড়ির মধ্যে পয়ঃবর্জ্য প্লান্ট করার নির্দেশ দেন। এজন্য বাড়ি মালিকদের ছয় মাসের সময় বেঁধে দেন তিনি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডোর এস. এম. শরীফ উল ইসলাম, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।