ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণ করবে ভূপৃষ্ঠের সম্পদ

  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ভূপৃষ্ঠের ৮০ শতাংশ সম্পদ সক্রিয় উপগ্রহ দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে খনিজ, কৃষিজমি ও অবকাঠামো। গত সপ্তাহে এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি ও ব্যবসাসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান গার্টনার। খবর দ্য হিন্দু।
স্ট্যামফোর্ডভিত্তিক গবেষণা সংস্থাটির মতে, আর্থ ইন্টেলিজেন্স একটি প্রযুক্তি; যেখানে স্যাটেলাইট, আকাশপথ ও মাটির উৎস থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে পৃথিবীর সম্পদ, পরিবেশ ও নানা কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। প্রযুক্তিটির মাধ্যমে স্যাটেলাইট চিত্র, রিমোট সেন্সিং ডাটা ও পরিবেশগত নানা উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবিক কার্যক্রম বোঝা যায়।

এ বিষয়ে গার্টনারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিশ্লেষক বিল রে বলেন, ‘এর অর্থ মানচিত্র ও চার্ট নয়। আর্থ ইন্টেলিজেন্স পৃথিবীর নিকেল উৎপাদন, থিম পার্কের আয়, গমের মতো ফসলের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নির্দিষ্ট সংখ্যাগত তথ্য সরবরাহ করে।’

গার্টনারের ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, এ প্রযুক্তির প্রয়োগ ক্ষেত্র এতাই বিস্তৃত যে এটি সব শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। প্রথমে প্রতিরক্ষা খাতে এটি ব্যবহার করা হলেও এখন ডাটার গুণগত মান ও বিশ্লেষণ পদ্ধতির উন্নতির ফলে দ্রুত অন্যান্য খাতেও এটি ছড়িয়ে পড়ছে। আর্থ ইন্টেলিজেন্স বাজার এখন মূলত তিন ভাগে বিভক্ত। একদল প্রতিষ্ঠান স্যাটেলাইট, ড্রোন বা মাটিভিত্তিক সেন্সরের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় দল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত সফটওয়্যার ব্যবহার করে সে তথ্য বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করে। তৃতীয় দল এ বিশ্লেষণ থেকে নির্দিষ্ট খাতের জন্য দরকারি তথ্য ও পরামর্শ তৈরি করে, যেমন কৃষি, প্রতিরক্ষা বা পরিবেশ রক্ষা খাতে।
গার্টনার ১২টি প্রযুক্তি শনাক্ত করেছে; যা আগামী পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব সময়ে ব্যবসার মৌলিক কাঠামো পরিবর্তনে মুখ্য ভূমিকা রাখবে।

এ প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে পলিফাংশনাল রোবট থেকে শুরু করে স্বয়ংক্রিয় সাইবার প্রতিরক্ষা ও আর্থ ইন্টেলিজেন্স। গার্টনার বলছে, এআই ও জেনারেটিভ এআই এসব প্রযুক্তি ক্ষেত্রকে গতিশীল করে তুলবে এবং নতুন পণ্য বাজারে আনার সময় কমিয়ে দেবে। প্রযুক্তিগুলোর প্রভাব কোনো নির্দিষ্ট খাতে সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং বিশ্বের নানা প্রান্তের বিভিন্ন আকার ও ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্রভাবিত হবে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণ করবে ভূপৃষ্ঠের সম্পদ

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ভূপৃষ্ঠের ৮০ শতাংশ সম্পদ সক্রিয় উপগ্রহ দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে খনিজ, কৃষিজমি ও অবকাঠামো। গত সপ্তাহে এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি ও ব্যবসাসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান গার্টনার। খবর দ্য হিন্দু।
স্ট্যামফোর্ডভিত্তিক গবেষণা সংস্থাটির মতে, আর্থ ইন্টেলিজেন্স একটি প্রযুক্তি; যেখানে স্যাটেলাইট, আকাশপথ ও মাটির উৎস থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে পৃথিবীর সম্পদ, পরিবেশ ও নানা কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। প্রযুক্তিটির মাধ্যমে স্যাটেলাইট চিত্র, রিমোট সেন্সিং ডাটা ও পরিবেশগত নানা উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবিক কার্যক্রম বোঝা যায়।

এ বিষয়ে গার্টনারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিশ্লেষক বিল রে বলেন, ‘এর অর্থ মানচিত্র ও চার্ট নয়। আর্থ ইন্টেলিজেন্স পৃথিবীর নিকেল উৎপাদন, থিম পার্কের আয়, গমের মতো ফসলের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নির্দিষ্ট সংখ্যাগত তথ্য সরবরাহ করে।’

গার্টনারের ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, এ প্রযুক্তির প্রয়োগ ক্ষেত্র এতাই বিস্তৃত যে এটি সব শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। প্রথমে প্রতিরক্ষা খাতে এটি ব্যবহার করা হলেও এখন ডাটার গুণগত মান ও বিশ্লেষণ পদ্ধতির উন্নতির ফলে দ্রুত অন্যান্য খাতেও এটি ছড়িয়ে পড়ছে। আর্থ ইন্টেলিজেন্স বাজার এখন মূলত তিন ভাগে বিভক্ত। একদল প্রতিষ্ঠান স্যাটেলাইট, ড্রোন বা মাটিভিত্তিক সেন্সরের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় দল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত সফটওয়্যার ব্যবহার করে সে তথ্য বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করে। তৃতীয় দল এ বিশ্লেষণ থেকে নির্দিষ্ট খাতের জন্য দরকারি তথ্য ও পরামর্শ তৈরি করে, যেমন কৃষি, প্রতিরক্ষা বা পরিবেশ রক্ষা খাতে।
গার্টনার ১২টি প্রযুক্তি শনাক্ত করেছে; যা আগামী পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব সময়ে ব্যবসার মৌলিক কাঠামো পরিবর্তনে মুখ্য ভূমিকা রাখবে।

এ প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে পলিফাংশনাল রোবট থেকে শুরু করে স্বয়ংক্রিয় সাইবার প্রতিরক্ষা ও আর্থ ইন্টেলিজেন্স। গার্টনার বলছে, এআই ও জেনারেটিভ এআই এসব প্রযুক্তি ক্ষেত্রকে গতিশীল করে তুলবে এবং নতুন পণ্য বাজারে আনার সময় কমিয়ে দেবে। প্রযুক্তিগুলোর প্রভাব কোনো নির্দিষ্ট খাতে সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং বিশ্বের নানা প্রান্তের বিভিন্ন আকার ও ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্রভাবিত হবে।