প্রযুক্তি ডেস্ক : স্মার্ট সিটির উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নসহ অনেক ক্ষেত্রে অবদান রাখছি এবং জাপান এখন স্মার্ট সিটির বিকাশে আগ্রহী।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত গত রোববার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি ) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে আইসিটি বিভাগের সভাকক্ষে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে এ আগ্রহের কথা জানান।
রাষ্ট্রদূত, জাপান ও বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিকাশের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার সহযোগিতা আরও বিস্তৃত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, আইসিটি এখন অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এজেন্সি (জাইকা) প্রযুক্তিনির্ভর মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ২০৪১ সালের জন্য মাস্টার প্ল্যান উন্নত, সমৃদ্ধ করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জাপানের সহযোগিতায় স্মার্ট সিটি প্রতিষ্ঠা, ইনফরমেশন শেয়ারিং লক্ষ্যে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, হাইটেক পার্কের অধীন জাপান-বাংলাদেশ আইটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, জাপানি টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের মাধ্যমে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট স্থাপন, জাপানি প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, এটুআই পরিচালনায় ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠিত, ই-গভর্নেন্স আরও টেকসই করা, বাংলাদেশ-জাপান ডিজিটাল সামিট ব্যবস্থা করাসহ বাংলাদেশের আইটি খাতে উন্নয়ন ও বিকাশে যৌথভাবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব জাপানের রাষ্ট্রদূতের কাছে উপস্থাপন করেন।
পলক বলেন, শুধু স্মার্ট সিটির বিকাশই নয়, আমরা পুরো বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশে পরিণত করতে এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অটোমোবাইল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে জাপান সহায়তা দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ইআরডিকে বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিল্প বিপ্লব ৪.০ এবং সোসাইটি ৫.০ সম্পাদনের জন্য বিশেষত্ব পূরণের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।