ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

স্মার্টফোন নিরাপদ রাখতে ৭ সহজ করণীয়

  • আপডেট সময় : ১০:৪৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য হিসেবে পরিণত হওয়া স্মার্টফোনের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে যারা ভাবেন, তারা ডিভাইসের নিরাপত্তা বাড়িয়ে নিতে পারেন সহজ কয়েকটি পদক্ষেপে।
স্মার্টফোন নিরাপদ রাখার কয়েকটি সহজ তরিকা বাতলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমসারির ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক অপারেটর ভেরাইজন। আসুন জেনে নেওয়া যাক সাধের স্মার্টফোন নিরাপদ রাখার ৭ সহজ উপায়।
১. ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকুন : টেক্সট মেসেজটি আপনার ব্যাংক পাঠিয়েছে মনে হলেও সেটা নাও হতে পারে। ইমেইল বা টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোনো প্রতিনিধি যদি আপনার ব্যক্তিগত ও গোপন তথ্য চেয়ে বসে, সত্যতা যাচাই করার জন্য সরাসরি ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। একই পরামর্শ খাটে ইমেইল বা টেক্সটে পাওয়া লিংকের ক্ষেত্রেও।
২. ফোনে পিন, পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন লক ব্যবহার করুণ : আপনার ফোনে অবশ্যই পিন, পাসওয়ার্ড অথবা প্যাটার্ন লক ব্যবহার করবেন। এই ফিচারটি চালু করাও সহজ। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ক্ষেত্রে ‘লোকেশন অ্যান্ড সিকিউরিটি সেটিংস’ থেকেই প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী পাবেন ব্যবহারকারী। আইওএস ব্যবহারকারীরা এই ফাংশনগুলো খুঁজে পাবেন ‘সেটিংস’-এর ‘জেনারেল’ অপশনে।
৩. অ্যাপ কেবল বিশ্বাসযোগ্য স্টোর থেকেই ডাউনলোড করুন : নতুন গেইম বা অন্য কোনো কাজের অ্যাপের খোঁজে থাকলে সেটি ‘গুগল প্লে’ বা অ্যাপলের ‘অ্যাপস্টোর’-এর মতো নির্ভরযোগ্য অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড করার সময় অ্যাপের রেটিং এবং রিভিউ দেখে নেবেন। এ ছাড়াও অ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি পড়ে নিলে জানা যাবে অ্যাপটি ব্যবহারকারীর কোন কোন তথ্য সংগ্রহ করবে সে বিষয়ে।
৪. ডেটার ব্যাকআপ রাখুন : হঠাৎ কোনো কারণে স্মার্টফোন নষ্ট হয়ে গেলে ডিভাইসে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুনরুদ্ধারে কাজে আসে ডেটা ব্যাকআপ। বাজারে ডেটা ব্যাকআপের বেশ কয়েকটি সেবা ও অ্যাপ ইতোমধ্যেই বিদ্যমান, চাইলে বিভিন্ন ক্লাউড সেবাতেও রাখা যেতে পারে ডেটার ব্যাকআপ।
৫. অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ আপডেট করে রাখুন : অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ নিয়মিত আপডেট করলে নতুন ফিচারের সুবিধা মেলে। পাশাপাশি নিয়মিত অ্যাপডেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরালো হয় সফটওয়্যারের।
৬. লেনদেন শেষে ওয়েবসাইট থেকে লগ আউট করুন : স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং বা কেনাকাটার অভ্যাস থাকলে লেনদেন শেষে ওই সাইট থেকে লগ আউট করতে ভুলবেন না। ইউজারনেইম আর পাসওয়ার্ডও সেইভ করে রাখবেন না ওয়েবসাইটগুলোতে। সবার জন্য উন্মুক্ত ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করে লেনদেন করবেন না।
৭. ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ সংযোগ বন্ধ রাখুন : ডিভাইসের ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ সংযোগ অপ্রয়োজনে চালু রাখবেন না, হ্যাকারদের পথ সুগম করে দিতে পারেন এতে। কাজ শেষে বন্ধ করে দেবেন ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ সংযোগ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্মার্টফোন নিরাপদ রাখতে ৭ সহজ করণীয়

আপডেট সময় : ১০:৪৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য হিসেবে পরিণত হওয়া স্মার্টফোনের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে যারা ভাবেন, তারা ডিভাইসের নিরাপত্তা বাড়িয়ে নিতে পারেন সহজ কয়েকটি পদক্ষেপে।
স্মার্টফোন নিরাপদ রাখার কয়েকটি সহজ তরিকা বাতলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমসারির ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক অপারেটর ভেরাইজন। আসুন জেনে নেওয়া যাক সাধের স্মার্টফোন নিরাপদ রাখার ৭ সহজ উপায়।
১. ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকুন : টেক্সট মেসেজটি আপনার ব্যাংক পাঠিয়েছে মনে হলেও সেটা নাও হতে পারে। ইমেইল বা টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোনো প্রতিনিধি যদি আপনার ব্যক্তিগত ও গোপন তথ্য চেয়ে বসে, সত্যতা যাচাই করার জন্য সরাসরি ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। একই পরামর্শ খাটে ইমেইল বা টেক্সটে পাওয়া লিংকের ক্ষেত্রেও।
২. ফোনে পিন, পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন লক ব্যবহার করুণ : আপনার ফোনে অবশ্যই পিন, পাসওয়ার্ড অথবা প্যাটার্ন লক ব্যবহার করবেন। এই ফিচারটি চালু করাও সহজ। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ক্ষেত্রে ‘লোকেশন অ্যান্ড সিকিউরিটি সেটিংস’ থেকেই প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী পাবেন ব্যবহারকারী। আইওএস ব্যবহারকারীরা এই ফাংশনগুলো খুঁজে পাবেন ‘সেটিংস’-এর ‘জেনারেল’ অপশনে।
৩. অ্যাপ কেবল বিশ্বাসযোগ্য স্টোর থেকেই ডাউনলোড করুন : নতুন গেইম বা অন্য কোনো কাজের অ্যাপের খোঁজে থাকলে সেটি ‘গুগল প্লে’ বা অ্যাপলের ‘অ্যাপস্টোর’-এর মতো নির্ভরযোগ্য অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড করার সময় অ্যাপের রেটিং এবং রিভিউ দেখে নেবেন। এ ছাড়াও অ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি পড়ে নিলে জানা যাবে অ্যাপটি ব্যবহারকারীর কোন কোন তথ্য সংগ্রহ করবে সে বিষয়ে।
৪. ডেটার ব্যাকআপ রাখুন : হঠাৎ কোনো কারণে স্মার্টফোন নষ্ট হয়ে গেলে ডিভাইসে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুনরুদ্ধারে কাজে আসে ডেটা ব্যাকআপ। বাজারে ডেটা ব্যাকআপের বেশ কয়েকটি সেবা ও অ্যাপ ইতোমধ্যেই বিদ্যমান, চাইলে বিভিন্ন ক্লাউড সেবাতেও রাখা যেতে পারে ডেটার ব্যাকআপ।
৫. অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ আপডেট করে রাখুন : অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ নিয়মিত আপডেট করলে নতুন ফিচারের সুবিধা মেলে। পাশাপাশি নিয়মিত অ্যাপডেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরালো হয় সফটওয়্যারের।
৬. লেনদেন শেষে ওয়েবসাইট থেকে লগ আউট করুন : স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং বা কেনাকাটার অভ্যাস থাকলে লেনদেন শেষে ওই সাইট থেকে লগ আউট করতে ভুলবেন না। ইউজারনেইম আর পাসওয়ার্ডও সেইভ করে রাখবেন না ওয়েবসাইটগুলোতে। সবার জন্য উন্মুক্ত ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করে লেনদেন করবেন না।
৭. ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ সংযোগ বন্ধ রাখুন : ডিভাইসের ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ সংযোগ অপ্রয়োজনে চালু রাখবেন না, হ্যাকারদের পথ সুগম করে দিতে পারেন এতে। কাজ শেষে বন্ধ করে দেবেন ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ সংযোগ।