প্রযুক্তি ডেস্ক : স্মার্টফোন আমাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী। দিনের বেশির ভাগ সময়ই এখন কাটছে ফোনের স্ক্রিনে দিকে চেয়ে থেকে। কোনো একটি অ্যাপে ঢুকলেন কিংবা কোথাও ব্রাউজ করার পর নানান এড আসতে থাকে। ক্লিক করলেন তো বিপদ ঘরে নিয়ে এলেন। এসব এড কিংবা লিংকে থাকে ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার। এরপর আপনার ফোনের দফারফা অবস্থা করে ছাড়বে ভাইরাসগুলো। ফোনের তথ্য হ্যাক থেকে শুরু করেন নানান ধরনের ঝামেলায় পড়তে পারেন। যদিও স্মার্টফোনে ক্ষতিকারক ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যারের আক্রমণ নতুন ঘটনা নয়। এদের হাত থেকে নিজের ডিভাইসকে বাঁচাতে আপনাকে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
সবসময় স্মার্টফোনটিকে আপডেট করুন। এক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা গুগল সিকিউরিটি আপডেটের উপরে ভরসা রাখতে পারেন। এটি আপনার ডিভাইসকে ক্ষতিকারক ভাইরাস ও ম্যালওয়্যারদের হাত থেকে রক্ষা করবে। বর্তমানে এমন বহু ম্যালওয়্যার সামনে এসেছে যারা গুগলের নিরাপত্তাকে ধোকা দিতে সিদ্ধহস্ত। তাই আপনাকে আরও কৌশল অবলম্বন করতে হতে পারে। যে কোনো ভালো রেটিং যুক্ত অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করতে পারেন। প্রয়োজন পড়লে টাকার বিনিময়ে অ্যান্টিভাইরাস কিনে নিন। কিছু খরচ হলেও আপনার স্মার্টফোনটি তো রক্ষা পাবে।
চলুন কীভাবে এই ক্ষতিকারক ভাইরাস দূর করবেন তা জেনে নিন। এছাড়াও এর মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনার স্মার্টফোনে কোনো ক্ষতিকারক ভাইরাস আছে কি না-
প্রথমে গুগল প্লে-স্টোর থেকে কধংঢ়বৎংশু ঝবপঁৎরঃু ্ ঠচঘ অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন।
এবার অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করে এর নীতিমালা ও শর্তাবলি পড়ুন। ‘অমৎবব’ সিলেক্ট করে এগিয়ে যান।
অ্যাপের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি (অঢ়ঢ় চবৎসরংংরড়হং) প্রদান করুন।
পরবর্তী স্ক্রিনে আপনি সাবস্ক্রাইব (ঝঁনংপৎরনব) করার বিকল্প খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে বামদিকের ক্রস আইকন সিলেক্ট করে সাবস্ক্রিপশন এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
এবার স্ক্রিনে রেডি টু স্ক্যান (ৎবধফু ঃড় ংপধহ) মেসেজ ভেসে উঠলে স্ক্যান (ঝপধহ) বাটনে ক্লিক করুন।
স্ক্যান সম্পূর্ণ হলে রিপোর্টে স্মার্টফোনে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যারের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি সংক্রান্ত প্রতিটি তথ্য উঠে আসবে। ডিভাইস ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকলে পরবর্তী নির্দেশাবলী অনুসরণ করে ভাইরাস মুছে ফেলা যাবে।
ডিভাইসে ভাইরাস থাকলে অধিকাংশত ক্ষেত্রে অ্যাপ তা ‘ঁহরহংঃধষষ’ করার পরামর্শ দেবে। সেই পরিস্থিতিতে স্মার্টফোন থেকে ভাইরাস বিদায়ের জন্য শুধু ‘ড়শ’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এছাড়া রিপোর্টে উঠে আসা অন্যান্য ক্ষতিকারক ইস্যু সমাধানের জন্য অ্যাপের নির্দেশ অনুসরণ করুন।
সবশেষে ডিভাইস রিবুট (জবনড়ড়ঃ) করে পুনরায় ব্যবহার চালু করতে হবে।