মাহদী হাসান : সন্ধ্যাদেবীর আগমনী পথে হেলে পড়ে
রক্তিম দিবাকরের ম্লান ললা
অরণ্যক খোপা থেকে তুলে আনি বুনো রক্তজবার ক্ষত।
তোমার নিষ্পলক দৃষ্টি জুড়ে মোহময় রাতের আধার
নামে কলকল স্রোতে-
জল হাওয়ায় শীতঘুমের অনেক পরে,
কফিনে বন্দী সৌখিন শরীর তোমার পঁচতে থাকে-
জীবনানন্দ লিখেন তখন-
“শরীরে ঘুমের ঘ্রাণ আমাদের ঘুচে — গেছে জীবনের সব লেনদেন;
‘মনে আছে?’ শুধালো সে — শুধালাম আমি শুধু, ‘বনলতা সেন?’
ঘুম নয় স্বপ্ন নয়, রূঢ় কর্কশ কন্ঠে আক্ষেপ ঝুলে থাকে
স্মৃতি গুলোতে পর্যাপ্ত প্রিজারভেটিভ মাখিয়ে মমি করে
রাখা হয়েছে ল্যাবের কর্নারে।
কফিন খুলে কেউ কেউ দেখে,
কফিন খুললেই করোটি থেকে স্মৃতি হাওয়া হয়ে যায়,
বাহারি প্রজাপতির মত লাফায়।
ঠিক তখনই আমি ট্রাম লাইন ধরে হাঁটতে থাকি
পেছনে হুইশেল শোনা যায়-
চাকায় পিষতে পিষতে মনে হয়: পৃথিবীর সবচেয়ে দুখী যান হলো ট্রাম,
জীবনের আনন্দ যে আজ্ঞাবহ দাসের মত কেড়ে নিয়েছিল।